বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। ফাইল ছবি
প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ শনিবার সকালে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাংবাদিকতা জগতে কামাল লোহানী অবিস্মরণীয় নাম ।
৮৬ বছর বয়সী কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। তার ছেলে সাগর লোহানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর দুদিন আগে ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার কারণে কামাল লোহানীকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওইদিন কামাল লোহানীর বড় মেয়ে বন্যা লোহানী জানান, বাবাকে বিকেল ৫টার দিকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে পরিবারের তরফ থেকে শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এ সংগঠককে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার আগ্রহের কথা জানানো হয়। তবে শয্যা খালি না থাকায় তাকে সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেও জানান বন্যা।
কামাল লোহানীর প্রকৃত নাম আবু নাইম মোহা. মোস্তফা কামাল খান লোহানী। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া গ্রামের খান মনতলা গ্রামে ১৯৩৪ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৫২ সালে। পরে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে।
পাবনা জেলা স্কুলে শেষ বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে কামাল লোহানীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৫৩ সালে নুরুল আমিনসহ মুসলিম লীগ নেতাদের পাবনা আগমন প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাকে জেলেও যেতে হয়।
মুক্ত হতে না হতেই আবার ১৯৫৪ সালে গ্রেপ্তার হন কামাল লোহানী। সেই সময় তিনি কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে দীক্ষিত হন। পরের বছর আবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে একই কারাকক্ষে তার বন্দিজীবন কাটে।
১৯৫৮ সালে কামাল লোহানী যুক্ত হন নৃত্যশিল্পের সঙ্গে। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবর্ষ পালনে পাকিস্তানি নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ছায়ানটের নেতৃত্বে কামাল লোহানী ও হাজারো রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কর্মী সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
১৯৬২ সালে কামাল লোহানী ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। পরে ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন রাজনৈতিক আদর্শের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি’। ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর হয়ে গান গাইতেন আলতাফ মাহমুদ, শেখ লুৎফর রহমান, সুখেন্দু দাশ, আবদুল লতিফসহ প্রথিতযশা শিল্পীরা ।
ষাটের দশকের শেষ ভাগে ন্যাপের (ভাসানী) রাজনীতিতে জড়িয়ে কামাল লোহানী যোগ দেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পূর্ব বাংলার শিল্পীরা যে ভূমিকা রেখেছেন, তার সঙ্গেও কামাল লোহানী সম্পৃক্ত ছিলেন পুরোপুরি। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে কামাল লোহানী একজন শিল্পী, একজন সাংবাদিক ও একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেন। সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালকের দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন কামাল লোহানী। ১৯৮১ সালে দৈনিক বার্তার সম্পাদকের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে নতুন উদ্যমে সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন। পরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
কামাল লোহানীর সাংবাদিকতার শুরু হয়েছিল দৈনিক মিল্লাত দিয়ে। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। সাংবাদিক ইউনিয়নে দুই দফা যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুই বার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন কামাল লোহানী। ছায়ানটের সম্পাদক ছিলেন পাঁচ বছর। তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা পদেও আছেন।
১৯৬০ সালে কামাল লোহানীর বিয়ে হয় দীপ্তি লোহানীর সঙ্গে। দীপ্তি লোহানী বেশ কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে হলেন বন্যা ও ঊর্মি লোহানী, আর ছেলে সাগর লোহানী।
কামাল লোহানীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের শোক
একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
আজ এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কামাল লোহানী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। বিবৃতিতে তারা মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
কামাল লোহানীকে উদীচীতে শেষ শ্রদ্ধা
প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মরদেহে উদীচীতে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ উদীচী কার্যালয়ে নেওয়া হলে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় লোহানীকে উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মোস্তাক হোসেন, কবি মোহন রায়হান, সংকর শাওজাল ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
অন্যদিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, উদীচী, লবণাক্ত সাংস্কৃতিক সংগঠন, খেলাঘর, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তার মরদেহ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সনাতলা গ্রামের উদ্দেশে নেওয়া হয়।
শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এর আগে গতকাল শুক্রবার কামাল লোহানীর করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে বলে জানান তার মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যায়ও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।
এর দুদিন আগে ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার কারণে কামাল লোহানীকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে কামাল লোহানীকে
বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীকে সিরাজগঞ্জে দাফন করা হবে। কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার বাবাকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। বাবাকে উল্লাপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে আমার মা দীপ্তি লোহানীর কবরে দাফন করা হবে।
প্রচার ও তথ্য বিভাগের সম্পাদক আরিফ নূর জানান, বেলা ২টায় সাংবাদিক কামাল লোহানীর মরদেহ উদীচী কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উনার প্রতি সাংস্কৃতিক কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন কামাল লোহানী (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কামাল লোহানী দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে বলে শুক্রবার তার মেয়ে বন্যা লোহানী জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তারা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি চিকিসাধীন ছিলেন।
বন্যা লোহানী জানান, কামাল লোহানী অনেক দিন ধরেই ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। শুরুতে টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা বেশ গুরুতর হয়ে পড়লে গত ১৮ মে তাকে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২ জুন তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ।
কামাল লোহানী হিসেবে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার খান সনতলা গ্রামে তার জন্ম। বাবা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মুসা খান লোহানী। মা রোকেয়া খান লোহানী।
কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
দুইবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন।বাসস
সাংবাদিকতা জগতে কামাল লোহানী অবিস্মরণীয় নাম: আইনমন্ত্রী
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকতা জগতে কামাল লোহানী অবিস্মরণীয় নাম ।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এক শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক জগতে কামাল লোহানী একটি অবিস্মরণীয় নাম। আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিবেদিত এ মহান ব্যক্তির মৃত্যুতে দেশ এক কৃতি সন্তানকে হারালো। তাঁর মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক জগতের যে ক্ষতি হল, তা পূরণ হবার নয়।
সূত্রঃ মানবজমিন, ইত্তেফাক থেকে সংকলিত
সি/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন