সাহিত্য ও কবিতা

অমিত |||| সুশীল কুমার পোদ্দার

অমিত-সুশীল-কুমার-পোদ্দার

অমিত |||| সুশীল কুমার পোদ্দার

পূর্ব প্রকাশের পর…

পর্ব -৫

…অবশেষে পর্দায় ভেসে ওঠে আপন দেশের ছবি। আকাশ থেকে তোলা ছবিতে জলমগ্ন ভূমিতে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে স্মৃতি সৌধ। অমিত সেই স্মৃতি সৌধ দেখেই চিনতে পারে তার জন্মভূমির নগরীকে। সেই গায়ে গায়ে ঘেঁষা অট্টালিকার সারি আর নেই, তার জায়গা নিয়েছে অসংখ্য স্কাইস্কেপার। আজ থেকে শত বছর আগে যে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছিল তা যেন কর্পূরের মতো উবে গেছে। মনে হয় কোন ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে উঠেছে এক পরিকল্পিত নগরী। চোখে পড়ে অসংখ্য ভাসমান স্থাপনা। বহুজাতিক কোম্পানির অনেক বড় বড় অফিস। অমিত চিনতে পারে না তার দেশকে। জীবৎদ্দসায় সে সব সময় শুনত – এক মধ্যম আকারের ভূমিকম্পেই রাজধানী ঢাকা শহরের অসংখ্য স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হবে। তবে কি ঘটে গেছে কোন প্রকৃতির প্রলয়োংকরী ধ্বংসলীলা ? তার মনে জুড়ে জেগে ওঠে বুড়িগঙ্গা, সদর ঘাট। সে বুড়িগঙ্গার নোংরা কালো জলে পড়ে গেছে; ছোট্ট এক নৌকায় বুড়িগঙ্গা পার হতে যেয়ে অসংখ্য মানুষের সাথে সেও ঢুবে যাচ্ছে। আকাশ ভেঙ্গে মুষল ধারায় ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। বন্যার তোরে ভেসে আসা কচুরি পানার মাঝে সে হাবুডুবু খাচ্ছে। সে অনুভব করে একটা হাতের স্পর্শ। সে তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে; মুখে তার নোংরা নোংরা খিস্তি। কিন্তু কেন যেন তার মুষল ধারা বৃষ্টির মাঝে ভিজতে ইচ্ছে করে, বুড়িগঙ্গার সেই নোংরা জল গায়ে মাখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে ডুবে যেতে, অতল গহীনে।

আলখাল্লা তাকে কি যেন বলছে কোন এক পরাবাস্তব জগত থেকে। তার কিছু কানে পৌঁছে, কিছু পৌঁছে না। ওর যেন কি হয়েছে ! কখনো কখনো অতীত আর বর্তমানকে সে এক করে ফেলে। কেন যেন থেকে থেকে সে হারিয়ে যায় অতীতের স্মৃতি ভরা গহীন গুহার মাঝে। এক পথ থেকে আরেক পথ ঘুরতে ঘুরতে সে ভুলে যায় ফিরে আসার পথ। আলখাল্লার চটকা খেয়ে সে জেগে উঠে। লোকটার গায়েপড়া স্বভাব তার ভালো লাগে না। ভালো লাগে না তার অসভ্য আচরণ?

আরে ভাই, আপনাকে কখন থেকে ডাকতাছি, তা, কই থাকেন? কবি কবি ভাব, বড় চিন্তার বিষয় । লাঞ্ছের ছুটি হয়েছে; আরে ভাই, অতো ভাইব্যা কি হবো ! যুবক মানুষ, আপনাদেরই তো সময়; আমরাতো গেছি, ডায়াবেটিক, হাই ব্লাড প্রেসার। তারপর মইরাও শান্তি নাই। দেখেন না টিকটিকির মতো পিছে পিছে চইলা আইছে ! আলখাল্লার পেছনে বোরকা পড়া সেই মহিলাকে দেখে অমিত বুঝতে পারে তার সম্পর্কেই বলছে। অথচ অমিত বুঝে পায়না – এই সকালেই তো সে তার জীবন সঙ্গিনীর কতো প্রশংসা করে বলেছিল – সেলু, তুই ছিলি বলেই তো আমি বেঁচে আছি। তা না হলে আমিতো শ্যাস হইয়া যাইতাম। দেশে ধরা পরলে তেমন চিন্তা করতাম না। হাজার হইলেও একটা বড় স্ট্যাটাস ছিল। ফার্স্ট ক্লাস জেলে থাকতাম, খানা, পিনা সব ফার্স্ট ক্লাস। তার পর একদিন ফাঁক বুইঝা বাইর হইয়া আসতাম! কপাল, কপাল কারে কয়, ধরা পর তো, কেউটের ঘরে। জানিস, খালি মনে হইতো কোন এক জুম্মাবারে কোতয়ালী আইস্যা গলাটা কাইটা লইয়া যাইবো। করোনা আমারে বড় বাঁচাইয়া দিছে। আর বাইচা গেছি তোর বুদ্ধির গুনে।

খাবার টেবিলে আবারো সেই অপরিচিত খাবারের সারি দেখে আলখাল্লার অভিযোগের অন্ত নেই। খাবারের মেন্যু দেখে আলখাল্লা গেরুয়াকে ডেকে বলে – ভালই হইছে দাদা, সব খাবার দেখতেছি আপনার জন্য। পৃথিবী মনে হয় ঘাসের জগতে ফিইরে গেছে! খালি নিরামিষ খাবারের ছড়াছড়ি – মনে হয় সেফ নিশ্চয়ই সাউথ ইন্ডিয়ান; শালা, কোথাও তো ঘাস খাওয়া জানোয়ার চোখে পড়ে না। গেরুয়া মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বলে – কে বলছে আমি নিরামিশাসী ? আমি তো সর্বামিস, মানে কার্নিভোরাস। সব খাই, মরা জ্যাতা সব। গেরুয়া ও আলখাল্লা একে অপরের উপর হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে। অমিত এক কৃত্রিম প্রোটিনের টুকরোতে কামড় দিয়ে ওদেরকে বলে আপনারা খেয়ে দেখতে পারেন – খারাপ লাগবে না। নতুন পৃথিবীতে প্রাণীজ প্রোটিন অত্যন্ত মহার্ঘ এবং দুষ্প্রাপ্য । এখন আর মানুষ খাবার উদ্দেশে গরু, ছাগল পোষে না। এরা গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপাদন করে বলে পৃথিবী জুড়ে এদের উৎপাদন নিষিদ্ধ । তার স্থলে এসেছে ক্লিন মিট, সম্পূর্ণ কারখানায় প্রস্তুত। আর যদি প্রাণীজ প্রোটিন খেতে চান তবে খেতে হবে পোকা মাকড়। অমিতের কথা শুনে আলখাল্লা বিষণ্ণ হয়ে পড়ে । গেরুয়া আফসোস করে বলে অ্যা, খাসির কলিজা দিয়া পরোটা- আমরা কি সমটায়ই না পার করে এসেছি! তা হলে পৃথিবীতে বেঁচে থেকে কি লাভ হইলো ভাই?

আলখাল্লা, গেরুয়ার কথা শুনে দমক দিয়ে হেসে উঠে। তার হাসি শুনে চারপাশের মানুষ ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে। দাদা, ভিডিওতে যে দেখাইল বাংলাদেশের মেরিন ইকোনমির ছবি তা দেইখ্যা আপনার কি মনে হইলো? আলখাল্লার কথা শুনে অমিত উৎসাহ নিয়ে বলে উঠে – আমিতো দেখি নাই। তা দেখবা কেমনে? আমার তো মনে হয় তুমি দেশে কোন মনের মানুষ রাইখ্যা আইছ ! তাই তো মন এতো উরু উরু। আরে, ওরা তো মইরা ভুত হইয়া গ্যাছে । নতুন কথা ভাব। ভাববার সময় তো তোমাদেরই, কি বলেন দাদা?

অমিত নির্বাক হয়ে ওদের কথা শুনতে থাকে। আলখাল্লা ও গেরুয়া মনে হয় জীবনের নতুন কোন অর্থ খুঁজে পেয়েছে। দুজনেই দেশে যাবার জন্য ছটফট করে ওঠে। আলখাল্লা বলে উঠে দাদা, আমরা এখন থেকে পার্টনার । যে দৃশ্য দেখলাম তাতে তো চক্ষু চরখগাছ। পুরা সমুদ্র এলাকায় যেন দেশ সোনার খনি পাইছে। ভাইব্যা দেখছেন – সাগরে কতো শেওলা, কতো শামুক, ঝিনুক, কচ্ছপ । ধরমু আর বিদেশে চালান দিমু। আমি তো সেন্টমারটিন্সে বিশাল এক জমি কিনে রাখছিলাম। অ্যা, মনে হয় কতো দাম বাড়ছে ! দেশে খুব তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো, তা না হলে সুযোগ হারাইয়া ফেলমু। সাগরের নিচে নাকি অনেক বাড়ী ঘর, হোটেল হইতেছে। তাই আর দেরী নয়। গেরুয়া তার বস্ত্র খুলে ফেলে পরম উৎসাহে টেবিলে চাপড় দিয়ে বলে ওঠে – এ বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন, তা সবে অবোধ আমি… গুল্লি মার, কানাডা। চলেন যাই বাংলাদেশে। ওরা দুজন অমিতের দিকে তাকিয়ে বলে – চল যাই, তোমারে একটা ভাল চাকুরী দিয়ে দিমু- তুমি হইবা আমাদের চিপ আকাউনটেন্ট। কি নিবা নাকি চাকুরীটা?

অমিত কোন উত্তর দেয় না। ওদের দিকে তাকিয়ে ওর তীব্র ঘৃণা জন্মে। সে আবারো ফিরে যায় তার আপন ভূমিতে। শ্রাবনের বৃষ্টির মাঝে সে ভিজে ভিজে ঘরে ফিরছে। দ্রুত পা বাড়ায় সে। ও মনে হয় পথ পানে চেয়ে আছে। ঘরের জানালায় তার উদ্বিগ্ন মুখাবয়ব চোখে ওঠে ভেসে…

 

পর্ব -৬

…আস্তে আস্তে সেই মুখাবয়ব ব্যাপ্ত হয় বিশ্ব চরাচর জুড়ে। শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা গড়িয়ে পড়ে তার মায়াময় দুটো চোখ থেকে। অমিতের মনে পড়ে তার হারিয়ে যাওয়া নাম। ও ডেকে ওঠে বৃষ্টি বৃষ্টি বলে। নামের ডাক মিলিয়ে যায় বৃষ্টিভেজা দিগন্তের মাঝে, কচুগাছ গুলো জল ভরা পাতা নিয়ে তাকিয়ে থাকে তার দিকে, অদূরে এক কোলা ব্যাঙ সশব্দে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুকুরের জলে। সে শব্দে এক মৃদু তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে অমিতের মনের অন্দরে। অমিত ফিরে আসে বাস্তবতায়।

ওরা তার দিকে তাকাতেই অমিত লজ্জায় মুখ সরিয়ে নেয়। ওরা সশব্দে হেসে ওঠে । কি ফিস ফিস করতাছ মিয়া ! তোমার বংশের কেউ পাগল ঠাগল ছিল নাকি; আলামত তো তেমনি দেখতাছি। লাঞ্চ ব্রেক শ্যাস। চল, আবারো ওদের বকবকানি শুনি। মনে রাইখ্য কাল কিন্তু ইমিগ্রেশনের লোকজন আসব, ভুইল্য না। অমিত নিঃশব্দে ওদের পিছু নেয়। পথমাঝে আলখাল্লা হঠাৎ করে থেমে যায়। অমিতকে ডেকে বলে তোমায় দেখে তো বুদ্ধিমানই মনে হয়। মনে হয় তুমি অনেক খবরই রাখ! আচ্ছা, আমাদের দেশের সাহেদ কাপুর মানে সাহেদকে কি তুমি চেন? ঔ কি আমাদের মতো কোন হাসপাতালে ঘুমিয়ে ছিল? অমিত নিঃস্পৃহ মাথা নেড়ে বলে – কে সাহেদ? আরে সাহেদ – ঐ যে ভুড়ি মোটা সর্বজ্ঞানী লোকটা। কি স্মার্ট, আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য; ঐ রকম একজন বুদ্ধিমান মানুষকে চিনতে পারে নাই । পৃথিবীতে খোদা দুইটা মানুষই বানাইছিল – এক জার্মানির গয়েবলস আর আরেকজন হইল সাহেদ। টিভিতে সুশীল ব্যক্তিদের সাথে কি সুন্দর করে কথা বলত, দুনিয়ার জ্ঞান ছিল ওর পেটে ( এই জন্যই তো ওর পেটটা মোটা)। কি সহজে জলজ্যান্ত মিথ্যাকে ও নিরেট সত্য হিসেবে চালিয়ে দিতো ! কি কারিস্ম্যাটিক লোক রে বাবা ! অথচ লোকটাকে সামান্য দোষে কেমন করে জাতি বেইজ্জত করল। যেমন করে বেইজ্জত করছে দাদাকে। অথচ দাদা কতো শিক্ষিত, কতো বড় নাম করা ইউনিভার্সিটি থাইক্যা ইঞ্জিনিয়ার হইছে । যাক সে কথা…। সাহেদ যদি বাইচ্যা থাকতো, আমরা ওকে আমাদের ব্যবসার মুখপাত্র বানাইতাম।

বলতে বলতে ওরা এসে ঢুকল সেই বিশাল হল রুমে। সুমসাম নীরবতা। ওরা সম্ভবত দেরী করে ফেলেছে। অমিত এক গভীর অপরাধবোধ নিয়ে ওদের দিকে তাকায়। আলখাল্লা মুখে হাসি নিয়ে বলে – অনুষ্ঠানে সব সময় একটু লেট করে আসতে হয়- এতে করে ওজন বাড়ে ।

এবার ওদের আত্ম পরিচয় দেবার পালা। মঞ্চে এলেন দুই সৌদি যুবরাজ। তাদের জিজ্ঞেস করা হল তাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ? ওরা একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করে অপ্রতিভ হয়ে বলল – সৌদি রাজবংশ আরও শত বছর পর টিকে থাকে কিনা তা দেখার জন্য। এবার এলেন আফ্রিকার এক স্বৈরশাসক। সে হেসে বলল – দেশের জন্য সে অনেক করেছে, মানুষ তাকে খুব ভালবাসত, সে ছিল তাদের কাছে ঈশ্বরের মতো। তার সম্পর্কে ইতিহাস কি বলে তা দেখার জন্যই তার এ অভিপ্রায়। এবার ডাক পড়লো আলখাল্লার। আলখাল্লা বলল- সে তার জীবৎদশায় হাজার হাজার মেহনতি মানুষের জন্য রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করেছ, অথচ মানুষ তাকে ভুল বুঝেছে; সেই ভুল বুঝা দূর করতেই সে বেঁচে থাকতে চেয়েছে। তার আজন্ম ইচ্ছা জনগণের সেবা করা। তেমন সুযোগ পেলে সে আরও বড় কোন দায়িত্ব নিতে পারে। মুহুমুহু করতালিতে প্রকম্পিত হল সারা হল ঘর।

অমিত অত্যন্ত সাধারণ মানুষ তাই ওর নাম কেউ ডাকবে না ভেবে ও ডেস্কের সাথে সংযুক্ত হরেক রকম ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। একটা চশমার মতো দেখতে যন্ত্রাংশের গায়ে লেখা ‘মাইন্ড টিভি’। আগ্রহ হল পড়ে দেখার। অমিত সেটা চোখে পড়তেই চোখ দুটো মুদে এলো। একটা বাটনে চাপ দিতেই মনের পর্দায় ভেসে উঠল কিছু সচল ছবি। অমিতের বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা নতুন শতাব্দীর টিভি প্রোগ্রাম। হঠাৎ করে অমিতের মনে হল কে যেন তার কোড নাম ধরে বার বার ডাকছে। অপ্রস্তুত অমিত উঠে দাঁড়ায়। মঞ্চে আরও চার জন। ওদেরকে বিশেষ ভাবে পরিচয় করে দেবার জন্য মঞ্চে এলেন এক সমাজ কর্মী। তিনি উদাত্ত কন্ঠে বললেন – বন্ধুগন, এই যে পাঁচজন মানুষকে দেখছেন এদের কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। বামে দাড়িয়ে আছেন এককালের জাঁদরেল চিকিৎসকবৃন্দ। তারা তাদের জীবন দিয়ে অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। করোনা কালীন সময়ে শতশত মানুষের চিকিৎসা করেছেন ক্লান্তিহীন ভাবে। আমার পাশের এ ভদ্র মহিলা একজন নার্স। আমরা উনাদের বাঁচিয়ে রেখেছি নতুন পৃথিবীতে মানবতার জীবন্ত সাক্ষী হিসেবে। আর আমার সর্ব ডানে যে জন- ওর আসল নাম অমিত রায়হান। মানবিক গুণাবলীতে ভরপুর এ যুবক। নিউইয়র্ক হাসপাতালে অসংখ্য করোনাক্রান্ত রোগী, তাদের ভেন্টিলেশন দেবার মতো প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর ছিল না তখন। ও ওর ভেন্টিলেটর খুলে ওর চেয়ে আরও অধিক বিপদগ্রস্ত রোগীকে দেবার জন্য ডাক্তারদের অনুরোধ করেছিল। ও তার মৃত্যুর আগে আরও অনুরোধ করেছিল ওর দেহ যেন কোন গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। আজকে যে অমিতকে আপনারা দেখছেন ওর উপরে হয়েছে অনেক cryonic experiment । ওর সারা শরীর ব্যবচ্ছাদিত। অজস্র কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ওর সারা শরীর জুড়ে। আজ ওকে অভিনন্দন জানিয়ে ছোট করতে চাইনা।

অমিত নিরবে দাড়িয়ে থাকে। হল রুম জুড়ে অজস্র করতালি, অজস্র মানুষের উচ্ছ্বাস ওর কানে পৌঁছে না। এক উতলা হাওয়া দোল দিয়ে যায় ওর মনের অন্দরে। ও ভাসতে ভাসতে এগিয়ে চলে জনরন্য থেকে দূরে, অনেক দূরে …


 

সুশীল পোদ্দার  ওয়াটারলু, কানাডা নিবাসী ।  ফলিত পদার্থ বিদ্যা ও ইলেকট্রনিক্স,  মাস্টার্স,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স,   ইহিমে বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পি, এইচ, ডি,   ইহিমে বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান। সিস্টেম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স,  ওয়াটারলু, বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা ।।


 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন