আটাশ মে আটত্রিশ শুরু |||| বিশ্বজিৎ মানিক
খোকাবাবু হলেন এক – সরকারি চাকুরে
কর্মস্থল আন্তঃজেলায় – সুনামগঞ্জ শহরে।
আটাশ মে হলো তার – চাকরিতে ঢোকা
সেদিন ছিল খোকাবাবু – সত্যিকারেই ‘ খোকা ‘।
সরকারি চাকরি পাওয়া – ছিল তার প্রত্যাশা
তিরাশিতেই পূর্ণ হলো – খোকার মনের আশা।
গতকাল ছিল তার – সাইত্রিশ বছর শেষ
চাকরিটা কাটিয়ে দিলো – খোকা ভালো বেশ।
আজ হলো কর্মক্ষেত্রে – আটত্রিশ বছর শুরু
মন্মথ বাবু ছিলেন তার – কর্ম কালের গুরু।
পাঁচশত পয়ষট্টি টাকা – ছিল তার বেতন
কিছু টাকা রাখা যেতো – করে সযতন।
হতো যদি বেতন তার – বিশ টাকা দিন
তা হলে এসে যেতো – খোকার সুদিন।
খোকাবাবু এ বেতনেই – হয় খুব খুশী
সময় হলে বাড়বে বেতন – আরো আরো বেশী।
দিন যায়, মাস যায় – যায় বছর, যুগ
একে একে এসে যায় – পদোন্নতির সুযোগ।
পদোন্নতি হয় খোকার – মোট তিনবার
শেষবারে খোকা হলো – এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার।
সুনামগঞ্জ জেলায় তার – পদায়ন হলো
বিভাগের মধ্যে হওয়ায় – বাহির থেকে ভালো।
এর আগে খোকা ছিল – এ জেলার নাজির
কতৃপক্ষের তলব মাত্র – থাকতে হতো হাজির।
প্রটোকলের দায়িত্ব ছিল – খোকার উপর ন্যস্ত
তাইতো ছিল খোকাবাবু – সব সময়েই ব্যস্ত।
সারা জেলার দখলদেহী – ক্রোক,উচ্ছেদের কাজ
পুলিশ নিয়ে সরজমিনে – করতো খোকা সাজ।
ঝুকিপূর্ণ কাজগুলো সব – খোকার দ্বারাই হতো
চাকরি কালে কঠিন কাজেও – হয়নি খোকা নত।
পদোন্নতি পেয়ে খোকার – থাকা হয়নি ঘরে
ফেব্রুয়ারীর পঁচিশ তারিখ – কাজে যোগদান করে।
এক মাস অফিস করে – অফিস হলো বন্ধ
সবার সাথে হয়নি গড়া – পুরোপুরি সম্বন্ধ।
এই হলো খোকাবাবুর – চাকরি সমাচার
খোকাবাবু প্রত্যাশা করে – ভালোবাসা সবার।
আটাশ মে আটত্রিশ শুরু
২৮/০৫/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।