কমলগঞ্জে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকার ঘোষিত উনিশ দফা নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ প্রায় ১৮মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাই অন্যরকম এক প্রাণ ফিরেছে ক্যাম্পাসগুলোতে।
আনন্দঘন পরিবেশে ২০২১ ও ২০২২ সালের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী ও ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়। করোনা মহামারির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। ফলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের ছেড়ে দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কেটেছে একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে খুশি তারা।
জানা যায়, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২ টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫২টি, ৫টি মাদ্রাসা, ৮টি জুনিয়র বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ৩০টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। রবিবার(১২ সেপ্টেম্বর) স্কুল খোলার সময় প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়েই সাবান দিয়ে হাত ধৌতকরা, হ্যান্ড সেনিটাইজিং করা, সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা নিশ্চিত করন করতে দেখা যায়। এছাড়া এসব কার্যক্রম শেষে কোন কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশের পূর্বে ফুল ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে বরন করে নিতে দেখা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মকবুল আলী উচ্চ বিদ্যালয়র, কমলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভানুগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শমসেরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় মুন্সিবাজার, দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়, ভান্ডারীগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমড়াকাপন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল।
কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুন্না রায় মিতু, রবিন মিয়া, শান্তনু দেবরায়, সামিউল সামি জানায়, বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে দেখা ও ক্লাস করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে তাদের।
কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুর আহমেদ মান্না বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে। পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুননাহার পারভীন বলেন, বিদ্যালয় সমূহের স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের তদারকি অব্যাহত থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় সমূহের স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনামত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে উপজেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করবে।
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান