করোনায় আরিজোনায় ২ এবং টেক্সাসে ১ প্রবাসীর মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম আরিজোনা স্টেটে দুই প্রবাসী এবং টেক্সাসের হিউস্টনে আরেক প্রবাসীর মৃত্যু হলো। বেশ কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশি কেউ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েননি। এর আগে করোনা মহামারীতে সারা আমেরিকায় ২৫২ প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান ও ফিনিক্স কমিউনিটির নেতা মাহাবুব রেজা রহিম ১ আগস্ট আরিজোনা থেকে টেলিফোনে এ সংবাদদাতাকে জানান, মনোয়ারা বেগম (৬৪) নামক একজন ফিনিক্সে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জুলাই শুক্রবার মারা গেছেন। আগে থেকেই জটিল রোগে যোগ হয়েছিল করোনা। এর আগে গত মঙ্গলবার শামসুল আলম (৬০) নামক ফিনিক্স কমিউনিটির প্রিয় এক সংগঠক মারা গেছেন ৩ সপ্তাহ টেম্পী হাসপাতালের আইসিইউতে থাকার পর। স্থানীয় মুসলিম গোরস্থানে উভয়কে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন টেক্সাস স্টেটের হিউস্টন হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জুলাই ভোররাতে ইন্তেকাল করেছেন ফাস্টফুড চেইন রেস্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ এস আলম টিটো (৬২)। ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান রেহান রেজা মরহুমের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদদাতাকে জানান, চট্টগ্রামের সন্তান টিটো ৪০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নেন ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন থেকে। তার প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে রেড রুস্টার, লুইজিয়ানা ফ্রাইড চিকেন এবং পাপা জন পিজ্জা। স্ত্রী এবং ১৫ বছর বয়েসী এক পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে হিউস্টনে অনেকের বাসায় খাদ্য-সামগ্রি পৌঁছে দেন টিটো। হিউস্টনে নিজস্ব ভূমিতে ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠায়ও টিটোর অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সমাজকর্মে বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জনকারি টিটো নিজেই আক্রান্ত হবার সংবাদ জেনে সিএনএন টিভি হাসপাতালে গিয়ে তার সাক্ষাতকার নিয়েছে। টিটোর মৃত্যুতে গোটা কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন