মির মাহমুদ শাহ মসজিদ বা জিনের মসজিদ হয়দরাবাদের তেলেঙ্গানায় অবস্থিত চার শ বছরের প্রাচীন ও ক্ষুদ্রতম ঐতিহাসিক মসজিদ। ইমাদনগরে মির মাহমুদ কি পাহাদিতে এই ক্ষুদ্র মসজিদের অবস্থান। মসজিদ প্রাঙ্গণে সুফি মির মাহমুদ সুফির নির্মিত একটি দরগাহ আছে। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে গোলকোন্দার শাসক আবদুল্লাহ কুতুবের শাসনকালে মির মাহমুদ ইরাক থেকে এসে এ দরগাহ স্থাপন করেন।
মির মাহমুদ মসজিদে কুতুব শাহি আমলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলী পাওয়া যায়। বিশেষত ক্ষুদ্র মসজিদে একটি বারান্দা এবং একটি বড় খিলান আছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের জন্য একটি ছোট প্রাঙ্গণ আছে। বর্তমানে প্রাচীন কুতুব শাহি মসজিদের বিভিন্ন অংশ জরাজীর্ণ ও ভেঙে পড়ার উপক্রম। তা পুনর্নির্মাণ করা না হলে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে।
কয়েক বছর ধরে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজের পরও দরগাটির বেশির ভাগ শিলালিপি, জলকর্ম ও স্টুকো রং মুছে গেছে। তবে বাকি থাকা অংশ থেকে সমাধির একটি শৈল্পিক কাজ বোঝা যায়। গম্বুজের ভেতর কয়েকটি মূল্যবান ধ্বংসাবশেষ ও একটি বাক্স আছে, যা খুব কমই খোলা হয়।
এ ছাড়া মসজিদের দেয়াল থেকে চুন-প্লাস্টার ছিটকে পড়ছে। মসজিদে গমনপথে পাথর খসে পড়ায় চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওপরে ওঠার সিঁড়িতেও কোনো রেলিং নেই।
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এ মসজিদে মাত্র পাঁচজন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। ৪০০ বছরের পুরনো জিন মসজিদটি মাত্র ১১০ স্কয়ারফুট। ষষ্ঠদশ শতাব্দীর জিন মসজিদটি এখনো আর্কিওলোজিক্যাল সার্ভাইভর অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ভারতীয় ডেকান হেরিটেজের ট্রাস্টি ব্যবস্থাপক ড. মুহাম্মদ সফিউল্লাহ জানান, মসজিদের পরিধি মাত্র ১০ স্কয়ারফুট। জিন মসজিদে একটি মেহরাব আছে। মসজিদের ওপর একটি মিনারও আছে।
অবশ্য ক্ষুদ্রতম মসজিদ হিসেবে ভারতের ভূপাল প্রদেশের একটি মসজিদও বেশ পরিচিত। এ ছাড়া রাশিয়ার নাবেরেজনে চেলনি শহরের মসজিদ ছাড়াও তেলেঙ্গানার জিনের মসজিদটিকেও ক্ষুদ্রতম মসজিদ বলে অভিহিত করা হয়।
সূত্র : দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন