‘গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস-দ্বিতীয় সংস্করণ!, লক্ষণ কী? ছোট্ট একটা আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনাভাইরাস। কী তার অসীম ক্ষমতা! অদৃশ্য এই শত্রু বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে, গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোন ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে। এখনও সফলতার মুখ দেখেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা তো বলেই দিয়েছেন, এসব চেষ্টাতে কোনো লাভ হবে না। অদূর ভবিষ্যতে করোনার কার্যকরি কোনো প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা দিচ্ছেন আরেক উদ্বেগের খবর। এসে গেছে করোনার দ্বিতীয় সংস্করণ ‘গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস’।
করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো সাধারণত কাশি এবং জ্বর হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তবে গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসটি এখন বাড়ছে – তবে এটি কী? এবং এর থেকে বাঁচতে আমাদের কী উপায় সন্ধান করা দরকার?
অবিরাম জ্বর, কাশির লক্ষণযুক্ত নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার। তবে, এখনো লোকেরা কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় সংস্করণ-গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানে না। সবে এটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।
মাস্ক কি সত্যিই করোনাভাইরাস থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে?
কম লক্ষণযুক্ত পেটে উদ্ভূত গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসটি এখন প্রথম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অনেকের ক্ষেত্রেই এখন গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যা সাধারণ করোনার উপসর্গের সঙ্গে মেলে না। তবে এটা নোরোভাইরাসের সঙ্গে এর লক্ষণের অনেকটা মিল থাকতে পারে।
সুতরাং, আমাদের জানতে হবে গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস কি? এর উপসর্গগুলো কি? এবং কীভাবে আপনি চিনবেন যে এটা করোনাভাইরাস না নোরোভাইরাস? আপনার এখন যা জানা দরকার তা হল-
গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাস কী?
এই ভাইরাস প্রথমে কোনও ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করার পরিবর্তে পেটে আক্রমণ করবে। কাশির সাধারণ উপসর্গ দেখা যাবে না। এটি প্রায়শই ফুসফুসের নীচের অংশে নিউমোনিয়ার একটি সংস্করণ যা পেটের ব্যথার কারণ হয়।
গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো কী কী?
যদি কোনো ব্যক্তির পেটে ব্যথা অনুভব হয় বা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে এটি গ্যাস্ট্রো কভিড -১৯ এর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। পেটে শক্ত কিছু অনুভূত হতে পারে, পেট ব্যথা বা পেটের নিচের অংশে নিস্তেজ ব্যথা হতে পারে। এগুলো প্রাথমিক লক্ষণ। এরপর কাশি ও জ্বরের মতো সাধারণ উপসর্গগুলো আসবে।
যাইহোক, এই লক্ষণগুলি অন্যান্য অনেক পেটের সমস্যাগুলোর কারণেও হতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রো-করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না সেটা বুঝতে নিজেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
নোরোভাইরাস এবং করোনাভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য কি?
মূলত, এটিতেও পেট ব্যথা ও ডায়েরিয়ার সঙ্গে করোনার অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলো (অবিরাম কাশি ও উচ্চ তাপমাত্রা) দেখা দেয়। যা যা দুটি অসুস্থতাকে আলাদা করে দেয়। এছাড়াও, নোরোভাইরাস সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়।
সূত্র- এলবিসি নিউজ।
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন