দেশের সংবাদ ফিচার্ড

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম আরোও বেড়েছে : মধ্যবিত্তের আমিষে টান

ডিম-ও-ব্রয়লার-মুরগির-দাম

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নবিত্তের আমিষের জোগানে আগেই টান পড়েছিল। দাম বাড়ার এই ধারা এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের আমিষের জোগানেও টান দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা হয়েছে। ডজনে ডিমের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

এ ছাড়া মাছ ও সবজির দামও বাড়তি। গরুর মাংস আগের দামে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকটি কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ডজন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

সরকার ডিম আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এখন আবার দাম বাড়ছে। পশ্চিম শেওড়াপাড়ার করিমের ট্যাগ বউবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, লেয়ার ৩২০ টাকা, সোনালি ২৯০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫১০ টাকা।

মুরগির ডিম ১৬০ টাকা ডজন। হাঁসের ডিম ২০০ টাকা। বাজারের বেশির ভাগ মাছই ২০০ টাকা কেজির ওপরে। এই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মুকুল ব্যাপারী কালের বলেন, ব্রয়লার গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি ছিল ৫০০ টাকা।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের নজর শুধু আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর। যেসব কম্পানি ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। নিলে মুরগির দাম বাড়ত না।’

এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা। গোল বেগুন ১২০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। এ ছাড়া বরবটি ১০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা এবং কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

শহরের অন্যান্য এলাকার চেয়ে কারওয়ান বাজারে কিছুটা কম দামে পাওয়া যায় সবজি। তবে এখানেও ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া হাইব্রিড করলা ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শাহবাগের একটি হাসপাতালে চাকরি করেন মমিনুর রহমান। মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি বেতন পান। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ যদি ১৫ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁর বাসা ভাড়া সাত হাজার টাকা, থাকে আট হাজার। এই টাকা দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খাওয়া সম্ভব?’

সূত্র: কালের কন্ঠ

অনলাইন ডেস্ক (এফএইচ/বিডি)
সংবাদটি শেয়ার করুন