নারী কনস্টেবল হয়ে গেলেন পুরুষ, বিয়ে পছন্দের মেয়েকে
ভারতের মহারাষ্ট্রের নারী পুলিশ কনস্টেবল ললিতা সালভে নিজের মধ্যে শারীরিক পরিবর্তন টের পাচ্ছিলেন ২০১০ সাল থেকে। তারপর থেকে নিজেকে পুরুষ ভাবতেই স্বাচ্ছদ্য বোধ করতেন তিনি। কিন্তু অর্ধেক নারী আর অর্ধেক পুরুষের জীবন নিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নারী কনস্টেবল হয়ে গেলেন পুরুষ!
২০১৮ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে নিজেকে শারীরিকভাবে পুরুষে পরিবর্তিত করেন।
পরবর্তী মাসগুলিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা চলে তার। শেষ পর্যন্ত বিড জেলার মজলগাঁও তহসিলের রাজেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা একত্রিশ বছরের ললিতা সালভে একটি নতুন পরিচয় এবং নাম অর্জন করেন। ললিতা থেকে তিনি হয়ে যান ললিত সালভে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তিনি বিয়েও করেন নিজের পছন্দের পাত্রীকে।
জানা গেছে, ললিত যাকে বিয়ে করেছেন তিনি তারই দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়। ছেলেবেলা থেকেই তারা একে অন্যকে চিনতেন। ললিতের জীবনের পরিবর্তন মেনেই ওই পাত্রী তাকে বিয়ে করতে সম্মত হন।
গত রোববার আওরঙ্গবাদ শহরে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ললিতের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনেরাই শুধু উপস্থিত ছিলেন।
ললিত জানান, এক সপ্তাহ আগে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে দেখা হওয়ার পর তিনি সীমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তখন সীমা তাকে জানান, ললিতা থেকে ললিত হওয়া নিয়ে এ পর্যন্ত নিউজপেপারে ললিতকে নিযে যতগুলো খবর প্রকাশিত হয়েছে সবগুলোই সীমা নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। এ সময় সীমা তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বিয়েতে রাজীও হয়ে যান।
ললিতের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ২২ বছরের সীমা জানান, ললিত তাকে অস্ত্রোপচারের পুরো বিষয়টি খুলে বলেছেন। তিনি ললিতের সাহসের প্রশংসা করেন। সীমার পরিবারও এ বিয়েতে সমর্থন দিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অস্ত্রোপচারের পর ললিতের চাকরিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আরেক সমস্যা দেখা দেয়। কারণ পুরুষ হওয়ার পর তাকে পুরুষ বিভাগে স্থানান্তর করতে আপত্তি জানায় মহারাষ্ট্র পুলিশ। পরে অবশ্য আইনি লড়াইয়ে জিতে আদালতের নির্দেশে পুরুষ কনস্টেবল পদেই তিনি কাজ শুরু করেন। সূত্র: এনডিটিভি, মুম্বাই মিরর
আরও পড়ুনঃ