সাহিত্য ও কবিতা

পাওনাদারের বাঁশ |||| বিশ্বজিৎ মানিক


পাওনাদারের বাঁশ |||| বিশ্বজিৎ মানিক


পাশের গাঁয়ের সুরুজ আলী করছে গরু পালন
গরুই তার আয়ের উৎস তাইতো করে লালন।


পাঁচটি গরু আছে তার গাভী বাছুর মিলে
বাড়বে আরো দু’টি গরু এবার বাছুর দিলে।


বাছুর দেবার সময় হলো দু’টি গাভীর তার
আনন্দটা বেড়েই গেছে সুরুজ আলী মিয়ার।


গেন্দা মিয়ার কাছ থেকে সে করে টাকা ধার
কিনছে সুরুজ টিন কিছু তার গোয়াল ঘরের চালার।


বাছুর দিলে গাভী গুলো দেবে অনেক দুধ
বিক্রি করে দুধের টাকায় ঋন হবে তার শোধ।


গেন্দা মিয়া তাগিদ দিলে সুরুজ বলে ভাই
এ মাসেতেই বাচ্চা দেবে আমার দু’টো ‘গাই ‘।


একটুখানি সবুর করো দিয়েই দেবো টাকা
সত্যি করেই বলছি আমি বুলি নয় মোর ফাঁকা।


সময় তোমায় দিলাম আমি আরও একটি মাস
টাকা ফেরত না দেও যদি দেব তোমায় বাঁশ।


গেন্দা মিয়ার কথায় উঠে সুরুজ আলীর ঝাল
ঘরে আমার গরু আছে আল্লার দেয়া মাল।


বিক্রি করেই করবো আমি তোমার টাকা শোধ
বাছুর দিলেই দিতো গাভী অনেক টাকার দুধ।


বউয়ের সাথে আলাপ করে সুরুজ আলী ঘরে
গেন্দার টাকা ফিরিয়ে দেবো গাভী বিক্রি করে।


কথা শুনে বলে বধু কষ্ট পেয়ে মনে
তোমার দেয়া দুল আছে না আমার দু’টো কানে?


দুধের টাকায় কিনছিলে তা গত ঈদের আগে
ঘরে আমি বসেই থাকি কোন কাজে তা লাগে?


দুল গুলো মোর বেঁচেই তুমি গেন্দার টাকা দাও
গাভী বিক্রির কথা তুমি বলবে না আর ফাও।


কষ্ট করে পালছি গরু তোমার সাথে মিলে
থাকবেনা আর অভাব ঘরে গাভী বাছুর দিলে।


যেমন পারি চলবো মোরা হিসাব নিকাশ করে
কিছুই করা ভালো নয় ঋন কর্জ ধারে।


সুরুজ আলীর মনে হলো গনি মিয়ার কথা
করবে না কেউ ঋণ কর্জ ধার নিচু করে মাথা।


পরের টাকায় কিছু করা মোটেই নহে ভালো
গেন্দা মিয়া ধাক্কা দিয়ে ফুটিয়ে দিলো আলো।


৩০/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।




সংবাদটি শেয়ার করুন