পায়েল হালদার ও স্বামী অভিজিত বর্মন
গত ৩০ জুলাই ফ্রেন্ডশিপ ডে গেল! এদিন প্রত্যেকেই নিজের মত করে বন্ধুত্বের দিন উদযাপন করেছেন। নিজের ছোটবেলার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে তোলা একটা ছবি ফেসবুকে শেয়ার করার মূল্য যে নিজের জীবন দিয়ে চোকাতে হবে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতেও পারেননি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গৃহবধূ পায়েল হালদার। খবর জি নিউজের।
তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দিল স্বামী! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ পায়েলের পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিমবঙ্গের কালনার নিচুজাপট এলাকায়। কালনারও এক বেসরকারি সংস্থার মালিক অভিজিত বর্মনের সঙ্গে পায়েলের বিয়ে হয়েছে তাও ১০ বছর পেরিয়ে গেছে । কিন্তু এই দশ বছরে যে সম্পর্কের বুনিয়ার শক্ত হয়নি একফোঁটাও তারই প্রমাণ মিলল।
পায়েলের বাবার দাবি, অভিজিতের মায়ের প্রথম থেকেই পণ নিয়ে একটা আফসোস ছিলই! তার দাবি, বেয়ান বলেছিলেন ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে অনেক কিছুই পেতাম! স্বাভাবিকভাবেই পণ নিয়ে যে পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে ক্ষোভ রয়েছে, তা বুঝতে সময় লাগেনি। তবুও সংসারে মেয়েকে মানিয়ে চলারই পরামর্শ দিয়েছিলেন পায়েলের বাবা-মা। অত্যাচার চলত আগে থেকেই। পায়েলের ছেলে হওয়ার পরও অত্যাচার কমেনি একফোঁটাও ।
এইভাবেই দিন যাচ্ছিল । কয়েকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন পায়েল। সেখানে তার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেই বন্ধুর সঙ্গে নিজের সন্তান ও পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে একটি সেলফি তোলেন। ফ্রেন্ডশিপ ডে তে ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এটাই হয়ে যায় অপরাধ! অত্যাচারের সীমা ছাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে। অভিযোগ, স্বামী মারধর করতে থাকেন। পায়েলের শ্বশুরবাড়ির বক্তব্য, ছেলেদের মেয়ে বন্ধু থাকতেই পারে, কিন্তু মেয়েদের কেন ছেলে বন্ধু থাকবে?