প্রযুক্তির আশির্বাদে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজ সহজ হয়েছে। সেসব আশীর্বাদের মধ্যে রয়েছে রেফ্রিজারেটর, টিভি এবং ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এসব প্রযুক্তি সতর্কতার সাথে ব্যবহারের দিকে নজর রাখেন না। একবার কিনে এনে বাড়িতে রেখে দিলেই মনে করেন দায়িত্ব শেষ। কিন্তু এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। আপনার ছোট একটি ভুলের কারনে ফ্রিজে যেকোনো সময় আগুন লেগে যেতে পারে।
অনেকে মনে করেন আগুন লাগার ঘটনা কেবল মাইক্রোওয়েভ আর এসির ক্ষেত্রেই ঘটে। কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। এমনটা ঘটতে পারে আপনার সাধের ফ্রিজটির ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে। একটি বাড়িতে রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরিত হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর হয়েছে।
অবাক করা বিষয় হলো, সেই ফ্রিজটি অত্যাধুনিক ডাবল ডোর ফ্রিজ এবং খুব বেশি পুরনো ছিল না, মাত্র ৭ মাস আগেই কেনা হয়েছিল। আপনার ফ্রিজকে কীভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রেফ্রিজারেটরে কখন বিস্ফোরণ হয়?
রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরণের আগেই এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। ফ্রিজটি হঠাৎ শব্দ করতে শুরু করবে। ঠান্ডা হতে চাইবে না। যখন রেফ্রিজারেটর ঠিকভাবে কাজ করে, তখন কম্প্রেসার থেকে একটি হালকা আওয়াজ আসে। যদি আপনার ফ্রিজের কম্প্রেসার ঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সেই আওয়াজ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই সেদিকে নজর দিতে হবে আপনাকে।
রেফ্রিজারেটরে আগুন ধরে যায় কেন?
রেফ্রিজারেটর বিস্ফোরণের নেপথ্যে অনেক কারণ থাকে। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো কম্প্রেসার। ফ্রিজে রাখা জিনিসগুলোকে ঠান্ডা করতে কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়। যখন সেই কম্প্রেসারে কোনো সমস্যা হয়, তখনই বিপদ দেখা দেয়। বিস্ফোরণের আগে রেফ্রিজারেটরের পেছনের দিক খুব গরম হয়ে যায়। যে কারণে ফ্রিজের কম্প্রেসার ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এ কারণেই ফ্রিজে হঠাৎ করে আগুন ধরে যেতে পারে।
ফ্রিজ গরম হয়ে গেলে কী করবেন?
ফ্রিজটি গরম হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারলে সতর্ক হোন। যদি ফ্রিজ ঠান্ডা হতে না চায় তবে প্রথমেই ফ্রিজটি বন্ধ করে দিন। কোনোরকম বিদ্যুৎ সংযোগ যেন তাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে ফ্রিজটি বাইরে থেকেই ঠান্ডা হয়ে গেলে কোনো বিশেষজ্ঞকে ডেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন। –DhakaPost