দেশের সংবাদ

দেশের পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত

দেশের পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত

দেশের পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত আসছে।  দেশের পোশাক রপ্তানি খাত বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানামুখী চাপের মুখে রয়েছে। যে কারণে এ খাতে রপ্তানি আয় অব্যাহতভাবে কমছে। একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পোশাক কারখানা। তৈরি পোশাক খাতের সংগঠনগুলো বলছে, গেল এক বছরেই নিট ও ওভেন পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে অন্তত ১৪৩টি। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার কর্মী। নতুন বিনিয়োগও আসছে না।

পোশাক খাতের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে চাহিদা কমা, ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারে সামঞ্জস্য না আনা, কমপ্লায়েন্ট ইস্যু, অর্ডার কমে যাওয়া, নিজেদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তির প্রসারকে কাজে লাগাতে না পারা, উদ্যোক্তাদের খরচ বাড়ার সঙ্গে পণ্যের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়া, চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবসহ বেশ কিছু কারণে প্রধান এ রপ্তানি খাত এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

উদ্যোক্তারা মনে করেন, বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দেশে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার ও উদ্যোক্তারা মিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান এ খাতটি চরম হুমকিতে পড়বে।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশের পোশাক খাতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা কমিটি করে দিয়েছি। তারা কয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেবে।’

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দিয়ে পোশাকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যেখানে হাত দেওয়া দরকার সেখানে কিছুই করা হচ্ছে না। আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, পোশাক খাতে সংস্কার আনতে হবে। টাকার বিনিময় হারে সামঞ্জস্য আনতে হবে। কিন্তু সরকার টাকার বিনিময় হারে সামঞ্জস্য আনছে না। সংস্কার কার্যক্রমও হাতে নিচ্ছে না।’

দেবপ্রিয় বলেন, ‘পৃথিবীজুড়েই এখন পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। সব কিছুই অনলাইনের দিকে চলে যাচ্ছে। আমাদের পোশাক উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু বাজারজাতকরণের পদ্ধতি আগের মতোই রয়ে গেছে। পৃথিবীতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। উৎপাদন ও বাজারজাতকরণেও পরিবর্তন আসছে। আমরা এসব নিয়ে চিন্তাই করছি না।’

জানা যায়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের তৈরি পোশাক খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম পরিচালনা, নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ফলে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায় খাতটি। তবে ক্রমেই বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া, ব্রেক্সিট ইস্যুর প্রভাব, ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সক্ষমতা হারানো এবং নিজেদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতাসহ বেশ কিছু কারণে রপ্তানিতে ভাটার টান পড়ে। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের কমপ্লায়েন্ট ইস্যুতে কোনো কোনো কারখানা সংস্কারে ব্যর্থ হয়ে হারিয়ে যায়, কর্মহীন হন হাজার হাজার পোশাককর্মী।

একদিকে ক্রেতাদের সংস্কারমূলক নজরদারি ও কমপ্লায়েন্ট ইস্যু, অন্যদিকে বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া—এ দ্বিমুখী চাপে পড়ে অর্ডার কমে গেছে। এখন কম অর্ডার ঘিরে নিজেদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, যা এ খাতে সংকট ডেকে আনে। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম থেকেই পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমতে থাকে। গত সাত মাসে আয় কমেছে ৫.৭১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এক হাজার ৯০৬ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৭১ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১৩.৮১ শতাংশ।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সাত মাসে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৯৬২ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের (২০১৮-১৯) একই সময়ের তুলনায় ৫.১৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১১.৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯৪৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.২৯ শতাংশ কম।

দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্র জানায়, রপ্তানি কমার অন্যতম কারণ ডলারের বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী হওয়া। গত সাত বছরে (২০১২-২০১৯) ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমেছে মাত্র ৫.১৮ শতাংশ। একই সময় ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ২.১ শতাংশ। চীনের ইউয়্যান ১১.২১ শতাংশ, ভিয়েতনামের মুদ্রা ১০.৭৮ শতাংশ, তুরস্কের লিরা ২২৫.৮৪ শতাংশ।

এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ববাজারে নানা প্রতিকূলতার কারণে দেশের পোশাক খাতের রপ্তানি বাজার কমছে। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে পোশাকশিল্প। ব্যাংক ঋণের সুদের হার, কারখানা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব, ডলারের বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী হওয়াকে অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন।

রুবানা হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো ক্রেতাদের কাছে আমাদের চেয়ে তুলনামূলক কমদামে কাজের প্রস্তাব দেওয়ার ফলে আমরা ক্রেতাদের কাছে কার্যাদেশ হারাচ্ছি।’ স্থানীয়ভাবেও নানা সমস্যা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো ব্যাংক খাত থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পায় না। এমনকি সরকারের দেওয়া ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ সুবিধা এবং ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ আমাদের কোনো উদ্যোক্তা নিজ ইচ্ছায় ঋণখেলাপি হন না।’

ন্যূনতম মজুরি বাড়লেও ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়ায়নি উল্লেখ করে ড. রুবানা হক বলেন, ফলে আয় কমেছে, কমছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ধারণা পরিবর্তন না হলে এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেশি মজুরি, বিশ্ব চাহিদা কম, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে দাম কম পাওয়ায় তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় নিয়মিত কমছে। ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দাও একটি কারণ। এ ছাড়া ভোক্তারা কাপড়ের চেয়ে ইলেকট্রনিকস পণ্য, ভ্রমণ খাতে তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে। ফলে বিশ্ব বাজারে পোশাকের চাহিদা কমছে।

সংগঠনটির আরেক সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ পোশাক খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত শনিবার তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খাতটি চরম সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। একদিকে ব্রেক্সিট ইস্যু, ডলারের দাম সমন্বয় না করা, বিশ্ববাজারে চাহিদা কমায় পণ্যের দাম কমে যাওয়া, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ ইত্যাদি কারণে রীতিমতো সারভাইভ করতে কষ্ট হচ্ছে। সেখানে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস ইস্যু।’ তিনি জানান, ওভেন কাপড়ের ৩০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বেশির ভাগই আসে চীন থেকে। ডেনিমেরও একটি অংশ আসে চীন থেকে। স্যুয়েটারের আসে ৬০ শতাংশ। ইনটিমেট প্রডাক্টের ৭০ শতাংশ আসে চীন থেকে। এসব পণ্যের কাঁচামালের একটি বড় নির্ভরতা চীন। এখন দেশটিতে করোনার প্রভাবে কারখানায় ছুটি চলছে। ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ খোলার কথা ছিল; এখন ১৭ তারিখে খুলবে। এতে যাদের পণ্য আসার কথা ছিল, তা ঝুলে গেল। এতে ক্রেতাদের অর্ডার শিপমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি অর্ডার বাতিলও হতে পারে। অন্যত্র চলে যেতে পারে অর্ডার। কারণ ক্রেতা তো তার শেলফ খালি রাখবে না।

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এমনিতেই তিন মাসের কম সময়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারি না। তার মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর যখন পণ্য আসবে, তা যদি দুই দিনের মধ্যে খালাস না করা যায় তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তার মানে আমাদের এখন টাইম ম্যানেজমেন্ট করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই। বলতে পারেন পোশাক খাত এখন সবচেয়ে ভালনেরেবল অবস্থায় আছে।’

দেশের বস্ত্র খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে চীন আগামী মার্চ মাসের এক তারিখ পর্যন্ত তাদের কারখানা বন্ধ রাখছে। ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের ওভেন রপ্তানিকারকদের সাময়িক সমস্যা তৈরি হবে। কেননা ওভেন পোশাক রপ্তানিকারকরা বেশ একটি বড় অংশের কাপড় আমদানি করেন চীন থেকে। তবে বস্ত্র খাতে প্রভাব পড়ার তেমন আশঙ্কা নেই। কেননা তাঁরা সুতা বা তুলা কোনোটাই চীন থেকে আমদানি করেন না।’

তৈরি পোশাক খাতের নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওভেন খাতের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কাপড় এবং এক্সেসরিজের অধিকাংশ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে আমদানি বন্ধ থাকলে পোশাক খাত কঠিন সংকটে পড়তে পারে।’ তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাজারে দেশের রপ্তানি কমার ফলে নিট পোশাক খাতের প্রায় ৭৩টি কারখানা গত বছর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানায় গড়ে ৫০০ করে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক এ সময় কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ অবশ্যই ইতিমধ্যে বিভিন্ন বড় কারখানায় যোগ দিয়েছে। আবার কেউ কেউ নিজেরা ছোট ছোট ব্যবসা করছে। তবে কিছু শ্রমিক দেশের বাইরেও যাচ্ছে। তাদের সংখ্যা খুবই কম।

পোশাক খাতের এক্সেসরিজ জোগানদাতাদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর সভাপতি আবদুল কাদের খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এখন কাজ নেই। ফলে অনেক শ্রমিক বসে থাকতে হচ্ছে। কারখানা পরিচালনার খরচ বাড়ছে। অল্প অর্ডারের ফলে আমাদের নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কেউ কেউ কাজ পাওয়ার জন্য কম দামেই অর্ডার নিয়ে নিচ্ছে। এতে সুবিধা পাচ্ছে ক্রেতারা। এটা ঠিক যে ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্ট ইস্যুতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সংখ্যা কমলেও অনেক বড় বড় কারখানার সক্ষমতা অনেক বেশি। সেই সক্ষমতাও কাজে লাগছে না অর্ডার কমে যাওয়ায়। আসলে ছোট কারখানাগুলো সাবকন্ট্রাক্ট করে টিকে ছিল। অর্ডার যেহেতু কমেছে, তাই এখন সাবকন্ট্রাক্টও নেই।’

দেশের অন্যতম শীর্ষ ডেনিম বা জিন্স প্যান্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনসের পরিচালক সৈয়দ এম তানভির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। এখন অর্ডার কমে যাওয়ায় পুরো ক্যাপাসিটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রযুক্তির ফলে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। তবে তাতে কর্মীরা খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। এটা বরং তাঁদের দক্ষতা বাড়াচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে সাময়িকভাবে পোশাক খাত কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আমাদের কিছু অর্ডার কমছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে আমি আশা করি এ সংকট থাকবে না।’ পোশাক খাতের সার্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডলার অতিমূল্যায়িত হয়েছে। এতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে। প্রতিযোগীরা সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের কর্মীদের বেতন বাড়ানোর ফলে খরচ বেড়েছে। আবার পোশাকের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের উচিত হবে বিজিএমইএকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় ঠিক করা।’

অন্যদিকে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি আয় কমায় কারখানা চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন মালিকরা। কেউ কেউ কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। গেল এক বছরে ওভেন পোশাকের প্রায় ৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার কর্মী। তাঁদের কেউ কেউ চাকরি পেলেও এ সংখ্যা কম। কারণ নতুন করে এ খাতে তেমন বিনিয়োগ হচ্ছে না। নতুন কারখানা হচ্ছে না। আবার সম্প্রসারণও হচ্ছে না।

তবে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি দাবি করেছেন, যে হিসাব বলা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে। তাঁর হিসাবে এ সময়ে দেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৫০০ কারখানা বন্ধ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ                                 

কানাডার সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − one =