প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

আরব আমিরাতে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সুখবর

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটিতে সাধারণ ক্ষমায় আওতায় ভিসাবিহীন অবৈধ হয়ে পড়া প্রবাসীরা বিনা জেল জরিমানায় বৈধকরণ কিংবা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সুযোগ পাবেন। আজ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সুযোগ প্রবাসীরা নিতে পারবেন। গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার আমিরাতের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামীকাল সোমবার যথারীতি অফিস চালু হবে।

বিভিন্ন কারণে অনিয়মিত/আনডকুমেন্টেড/অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তারা এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন। সাধারণ ক্ষমার সেবা পেতে দুবাইর ভিসাধারীগণকে আল-আবীর ইমিগ্রেশনে এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীগণকে সংশ্লিষ্ট প্রদেশের ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদেরকে ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টারে যেতে হবে।

দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট পেতে মূল পাসপোর্ট এবং দূতাবাস/ কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট লাগবে। ভিসাবিহীন থাকার জন্য কাউকে সাধারণ ক্ষমা চলাকালে কোনো জরিমানা দিতে হবে না। তবে ডকুমেন্ট প্রসেসিং এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।

যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন তার মেয়াদ থাকবে।

বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে।

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর কেউ যদি ‌‌পলাতক/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে।

তবে সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার ব্যান/নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।

স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে/দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে যা কনস্যুলেটে/দূতাবাসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।

সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার্স ভিসা ইস্যু করা হবে।

সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

এফএইচ বিডি / অনলাইন ডেস্ক
সংবাদটি শেয়ার করুন