দেশের সংবাদ

করোনাভাইরাস : আজ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার পেরিয়ে ১৬শ’র ঘরে

করোনাভাইরাস , কানাডায় করোনায় আক্রান্ত , করোনা শনাক্ত

 

করোনাভাইরাস : আজ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার পেরিয়েছে। মৃত্যুও রেকর্ড পরিমাণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত আরও ১৬০২ জন, আর এ সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ২১২ জন।

এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৩,৮৭০ জন। আর এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৪৯ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় মোট নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছে ৯,৭৮৮ টি।

আজ রবিবার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয় গত ৮ মার্চ।

এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস এর আঘাত আসে। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্রঃ অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন

 

ঢাকায় নিয়ম মানার বালাই নেই, ঈদের আগে-পরে সান্ধ্য আইন জারির পরামর্শ

নভেল করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলমান, সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে নিয়মিত। গত মার্চ মাসে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটির নিয়ম প্রথম এক সপ্তাহ মানা হলেও তার পর থেকে অনেকটাই হ-য-ব-র-ল। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতাকে কিছুতেই তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ। ছুটিতে জনসাধারণকে ঘরে থাকার কথা জানালেও তারা মোটেই মানেননি তা। আর রমজান মাসে আরো বেশি মানুষ বাইরে ছুটোছুটি করা শুরু করে দিয়েছেন। এরফলে সংক্রমণের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বারবার সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তা কর্ণপাত করছেন না তারা।

বরং সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দেদারছে নানা অযুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন সবাই। আর সে চিত্রটা ঈদকে ঘিরে রাজধানীতে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামাজিক কিংবা শারীরিক কোনো দুরত্বই মানছেন না কেউ। তবে এমন অবস্থা যদি নিয়মিত চলতে থাকে তাহলে করোনা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের আগে ও পরে ঢাকার দুই সিটিতে সান্ধ্য আইন জারির পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ রোধে এটাই একমাত্র পথ বলে তারা মনে করছেন। গত ১৫ই মে এক সভায় তারা এ পরামর্শ দেন। এই বিশেষজ্ঞরা একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও।

সেদিন ওই সভার কার্যবিবরণীতে এ বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই কাজে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টাস্কফোর্স গঠন করা দরকার। স্থানীয় সাংসদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এনজিও প্রতিনিধি, চিকিৎসক, মসজিদের ইমামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। সঙ্গে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোনো এলাকায় লকডাউন সফল করতে তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মুনির গণমাধ্যমকে জানান, আমরা মনে করছি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনগুলোতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। বড় শহরগুলোতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে সারা দেশে তা কমানো যাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজধানীর টোলারবাগে ও বুয়েট এলাকায় সফলভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ওই অভিজ্ঞতা ঢাকার অন্য এলাকায় ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো কাজ করা হলে তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের কাজে অংশ নিতে সিটি করপোরেশন প্রস্তুত আছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো স্থান থেকে প্রস্তাব বা নির্দেশনা পেলে কাজে যুক্ত হব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আট বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ঈদের আগে ও পরে ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারি করার কথা ভাবা যেতে পারে। আইইডিসিআর’র ১৬ই মের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট আক্রান্তদের ৫৭ শতাংশই ঢাকা শহরের মানুষ। মহামারির শুরু থেকেই ঢাকায় সংক্রমণের হার বেশি ছিল। পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া, লকডাউন শিথিল করা, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার কারণে রাজধানীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়টি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড়, রাস্তায় যানজটও দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কড়াকড়ি ব্যবস্থা না নিলে ঈদের সময় রাস্তায়-বাজারে জনসমাগম আরও বাড়বে। সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। সেই বিবেচনা থেকে তারা বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থার কথা বলেছেন।

তবে সতর্কতার বিষয়ে অনেক স্থানেই নেই কোনো কর্মসূচি। বিশেষ করে সিটি করোপরেশন এলাকায় মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি বলে দাবি বিশিষ্টজনদের। তারা মনে করছেন, এসব এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা মেয়র-কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা ছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।

সূত্রঃ মানবজমিন

 

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন