দেশের সংবাদ

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের শান্তি মিশনে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে আবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬৭৩১ জন শান্তিরক্ষী প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পুনরায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশ নিয়ে বিশ্বে শান্তি রক্ষায় অবদান রেখে চলেছে।

 

ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম, ধারেকাছেও নেই অন্যদেশ

বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই এখন উৎপাদিত হচ্ছে বাংলাদেশে। মাত্র চার বছর আগে উৎপাদনের এই হার ছিল ৬৫ শতাংশ। সরকারের নানা কার্যকর পদক্ষেপের ফলে ধারাবাহিকভাবে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের চলতি মাসের হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতে গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুই দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশে কীভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ল।

ওয়ার্ল্ডফিশের তথ্য মতে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানে ইলিশের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশের পরই ইলিশের উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। পাঁচ বছর আগে দেশটিতে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদিত হতো। তবে চলতি বছর তাদের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশে নেমেছে। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। দেশটিতে ৩ শতাংশের মতো উৎপাদন হয়েছে। আর ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে বাকি ইলিশ উৎপাদন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মা ও জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ করায় আমাদের এখানে এই সাফল্য এসেছে। ইলিশের বড় হওয়ার জন্য অভয়াশ্রমগুলো বাড়ানো এবং সুরক্ষা দেয়াও ভূমিকা রেখেছে। ইলিশ ধরার জালের আকৃতি নতুনভাবে নির্ধারণ করায় ভবিষ্যতে আরো বাড়বে ইলিশের উৎপাদন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিবছর ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে এই মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ কর্মসূচিও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে ওয়ার্ল্ডফিশ, মৎস্য অধিদফতর ও মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এবার শুধু পরিমাণের দিক থেকেই নয়, আকৃতির দিকে থেকেও কোনো দেশ বাংলাদেশের ইলিশের ধারেকাছে নেই।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মৎস্য অধিদফতর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ওয়ার্ল্ডফিশ ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ যৌথভাবে ইলিশের জিনগত বৈশিষ্ট্য ও গতিবিধি নিয়ে প্রথম একটি গবেষণা করে।

সূত্রঃ সময় টিভি সংবাদ

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন