পাঁচ সাংবাদিককে কক্ষে আটকে রাখলেন এসিল্যান্ড
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, জমি খারিজ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় সহকারী কমিশনার তাদের আটকের নির্দেশ দেন।
নির্দেশ পেয়েই অফিসের কর্মচারিরা ভবনের কলাপসিবল গেট আটকে দেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের মুক্ত করেন। তার উপস্থিতিতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই সাংবাদিকদের ‘দালাল’ বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে ওই সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরপরই সেখানে থাকা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সনের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকার অজুহাতে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকার।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, দুপরে সহকারী কমিশনারের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে কয়েকজন কর্মচারী জমিসংক্রান্ত শুনানি করছিলেন।
এ সময় মাইটিভির সাংবাদিক মাহফুজ সাজু ওই কক্ষে প্রবেশ করেন।
এতে ওই কর্মচারিদের একজন ক্ষীপ্ত হয়ে বাইরের ‘ওয়েটিং রুমে’ সাজুকে বসতে বলে সহকারী কমিশনারের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। পরে সহকারী কমিশনার অফিসে এলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়-এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে অফিস সহকারীরা জমির শুনানি করতে পারেন কি না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসিল্যান্ড সাজুকে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। পরে খবর পেয়ে আরও চার সাংবাদিক সেখানে গেলে তাদেরও আটকে রাখা হয়।
এটিএন বাংলা ও সমকাল প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, শনিবারের মধ্যে অভিযুক্ত এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: কালের কন্ঠ
CBNA24 রকমারি সংবাদের সমাহার দেখতে হলে
আমাদের ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে ক্লিক করুন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পোস্ট করুন।