ফিচার্ড বিশ্ব

পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২

পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২, আহত ১৫০, আশঙ্কাজনক ৩০

পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩২ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন। এর মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। মসজিদটি পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকার ভিতরে। ফলে নিহত ও আহতদের মধ্যে প্রশাসনের লোকজন থাকতে পারেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার যোহরের নামাজ আদায় করার সময় মসজিদের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিল আত্মঘাতী হামলাকারী। নামাজের মধ্যেই সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মুসল্লিদের রক্তে ভেসে যায় ওই মসজিদ। তাদের আর্তচিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

আহতদের উদ্ধার করে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। ওই হাসপাতালে নেয়া হয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন আহতকে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকে আহতদের জন্য রক্তের জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার পর ওই শহরে মেডিকেল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের নোটিফিকেশনে পেশোয়ারের এমটিআইসহ সব সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সব ডাক্তার ও স্টাফদের জন্য জরুরি রেড এলার্ট দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।

এ ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিস্ফোরণ যখন ঘটে, তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। বলেন, বিকট এবং শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে চারদিক ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। চেতনা ফিরে দেখি মসজিদের ছাদ ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদটিতে কমপক্ষে ১২০ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এটা ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। কারণ, হামলাকারী মসজিদের ভিতর থেকে হামলা করেছে। যোহরের নামাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, এমন সময় সে বিস্ফোরণ ঘটায়। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য।

সিভিল সেক্রেটারিয়েট এসোসিয়েশন পেশোয়ারের প্রেসিডেন্ট তাছাভুর ইকবাল নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তিনি বলেছেন, মসজিদটি পুলিশ লাইনের ভিতরে হওয়ায় সব সময়ই তা থাকে সুরক্ষিত। কেউই পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বা শরীর তল্লাশি ছাড়া সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। তবু যে ঘটনা ঘটে গেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ। একবারে সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। বিস্ফোরণের পর আমরা শুনেছি এর ছাদ ধসে পড়েছে।

 

 



সংবাদটি শেয়ার করুন