প্রবাসের সংবাদ

প্রবাসী রাশেদ, আলু ভর্তা, ডাল এবং একটি ভাইরাল ভিডিও

প্রবাসী রাশেদ
প্রবাসী রাশেদ

পোস্টের শেষে ভিডিও আছে।

মাত্র ১৮ বছর বয়স প্রবাসী রাশেদ এর। এই বয়সে যখন তার লেখাপড়া আর বন্ধুদের সঙ্গে দূরন্ত সময় পার করার কথা, তখন রাশেদ বিদেশে। পরিবারকে ভালো রাখতে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। থাকেন সৌদি আরবে। সেখানে কাজ করে যা আয় করেন তার অল্পকিছু রেখে পুরো টাকা পরিবারে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরিবারকে বেশি করে টাকা পাঠানোর জন্য শুধু আলু ভর্তা আর ডাল খেয়ে অর্থ সঞ্চয় করে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে এমনটাই জানান রাশেদ। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

মা ও তার পরিবারের জন্য রাশেদের এমন ত্যাগ সবাইকে বিস্মিত করেছে।

গত ২৬শে আগস্টে ‘প্রবাসী বাংলাদেশি’ নামক ফেসবুক পেজে রাশেদের সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি প্রকাশ হয়। তবে রাশেদের গ্রামের বাড়ি কোথায় সেটা জানা যায়নি। ভিডিওতে রাশেদ জানান, প্রতি মাসে এক হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ রিয়াল আয় করেন। যা বাংলাদেশি টাকায় হয় ৩৬ হাজার। এ আয়ের সিংহভাগ টাকা দেশে পাঠান তিনি। প্রতিমাসে বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার বা ২৮ হাজার পরিবারের কাছে পাঠান রাশেদ। আর মাত্র ২০ থেকে ২৫ রিয়াল নিজের রাখেন নিজের খরচের জন্য। যা দিয়ে কোনোমতো চলে তার দিন। এ টাকাতো মোবাইলের কার্ড কিনতেই চলে যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ বলেন, আমি মোবাইল কার্ড ব্যবহার করি না। শুধু আলু ভর্তা আর ডাল থাকে তার খাবারের তালিকায়। ভিডিও ধারণকারী এ সময় জানান, তিনি কখনো রাশেদকে মাছ-মাংস কিনতে দেখেননি। এভাবে টাকা সঞ্চয় করে তিনি দেশে মায়ের জান্য টাকা পাঠান।

রাশেদ জানান, টাকা বেশি খরচ হবে বলে মাছ-মাংস খান না। সৌদিতে আসার প্রথম দিকে মাছ-মাংস খেতেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দেন রাশেদ। ভিডিও গ্রহণের দিন রাশেদ বেগুন ও আলু খেয়েছেন বলেও জানান। দেশে সবচেয়ে বেশি কাকে মিস করেন? প্রতিত্তোরে রাশেদ বলেন, মাকে সবচেয়ে মিস করি। তখন সাক্ষাতগ্রহণকারী নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণের অপারগতা জানিয়ে বলেন, এত অল্প বয়সে মা-বাবার কর্তব্য পালন করতে যে কষ্ট তুমি করছ তা দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের শেখা উচিত। তোমার মতো বয়সের ছেলেরা দোকানে আড্ডা মারে, সড়কে আড্ডা মারে। কিন্তু ১৭ বছর বয়সে পরিবারের জন্য তুমি বিদেশে এসেছো যা সত্যিই অকল্পনীয়।

হাসিমুখে রাশেদ বলেন, ভাই ছোট, লেখাপড়া করে। বোনকে বিয়ে দিতে হবে। এই মাসে বাড়তি টাকা পাঠাতে হবে। আর টাকা মায়ের কাছে পাঠাই। পরিবারসহ মায়ের জন্য কষ্ট করছি। মা হাশরে কষ্টের কথা বলবে। মা আমাকে ১০ মাস ১০ দিন কষ্ট করে জন্ম দিয়েছে। আমি মায়ের কষ্ট না বুঝলে কে বুঝবে?

সূত্রঃ মানবজমিন

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন