সাহিত্য ও কবিতা

বিড়াল চাটা ইলিশ |||| বিশ্বজিৎ মানিক


বিড়াল চাটা ইলিশ |||| বিশ্বজিৎ মানিক


ইদুর ভায়া ভয়ে মরে – বিড়াল ছানা দেখে
ইলিশ মাছের গন্ধ পেয়ে – বিড়াল ছানা ডাকে।


ডাক শুনে তাই, ইদুর ভায়ার – যাচ্ছে উড়ে প্রাণ
কাপছে ভয়ে, ভাবছে শুধু – ত্যাগ করতে স্থান।


ঘাপটি মেরে, বসেই ছিল – নিরব পাথর হয়ে
যেথায় ছিল, সেখানটাতেই – রইল পড়ে শুয়ে।


এমন সময়, গিন্নি এসে – মারলো তাকে বেত
মার খেয়ে সে, পেড়িয়ে গেল – ঘরের পিছের ক্ষেত।


পুকুর ঘাটে, স্নানে গেল – গিন্নি দোয়ার খুলে
বিড়াল ছানা, আসলো ঘরে – লেজটি তুলে তুলে।


ততক্ষণে ইদুর ভায়া – পালিয়ে গেল দুরে
বিড়াল ছানা, এসে দেখে – নেই তো কেহ ঘরে।


চুলোর উপর, রাখা ছিল – রান্না ইলিশ মাছ
আগের বারেই করেছিল – বিড়াল তাহা আচ।


নেই ঘরে কেউ, এই সুযোগে – পেট ভরে সে খেলো
স্নান সেরে পর, গিন্নি মাতা – ঘরে ফিরে এলো।


ঘরে ফিরে, দেখে হলো – চক্ষু চড়কগাছ
বিড়াল ছানা, খেয়ে গেল – রান্না ইলিশ মাছ।


অনেক দামে, বাবু তাহা – আনছে  কিনে কাল
খেতে হবে, স্বাদের ইলিশ – দুপুর, রাত ও সকাল।


রয়েছে যা, চুলোর উপর – যাবেনা তা ফেলা
আসলে বাবু, হবে দিতে – খেতে দুপুর বেলা।


দুপুর বেলা, আসলো বাবু – খাবার যখন খেতে
গিন্নি রাঁধা, ইলিশ মাছ – দিলো তার পাতে।


ইলিশ খেয়ে, বাবু বলে – হয়েছে ভীষণ মজা
বাজার থেকে, কেনার কালে – যায়না তা বুঝা।


ইদুর ভায়া, দেখে তাহা – খিলখিলিয়ে হাসে
বিড়াল চাটা, ইলিশ খাওয়ায় – গিন্নি বসে পাশে।


খাবার পরে, বাবু গেল – চলে তার কাজে
লাঠি হাতে, হন্যে হয়ে – গিন্নি বিড়াল খোঁজে।


হঠাৎ দেখে, বিড়াল ছানা – হাঁটছে পাশের ঘরে
রাগে ক্ষোভে, কান্না করে – বিড়ালটাকে মারে।


মারের চোটে, বিড়াল ছানার – নিঃশেষ হলো শ্বাস
ইদুর ভায়ার, ভাবনা গেল – পেল বাঁচার আশ।


রক্ষা পেল গিন্নি আবার – রক্ষা পেল ইদুর
বিড়াল চাটা, ইলিশ মাছ – খাওয়া হলো বাবুর।

০২/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
সংবাদটি শেয়ার করুন