জাতিসংঘ

বিশ্ব শান্তিরক্ষায় নারী শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংযোজিত

বিশ্ব শান্তিরক্ষায় নারী শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

 

নিউইয়র্ক, ২৯ মে ২০২০:

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী কর্মরত নারী শান্তিরক্ষীদেরকে  অভিবাদন জানালেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি  ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি নারী শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। আজ, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ও অসামরিক নাগরিদের সুরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘শান্তির চাবি, নিরাপত্তার চাবি: কর্মক্ষেত্রে নারী শান্তিরক্ষী  (Key to Peace, Key to Protection: Women Peacekeepers in Action)’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন বাংলাদেশের স্থায়ী কপ্রতিনিধি। যৌথভাবে ইভেন্টটির আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডা, ঘানা ও জাম্বিয়া মিশন।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অর্থবহ, সমান ও পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধার স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জাতিসংঘের পোস্টাল অ্যডমিনিষ্ট্রেশনের সাথে যৌথভাবে একগুচ্ছ স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে। এই ডাকটিকেট ফোলিওতে রয়েছে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিয়োজিত বাংলাদেশের দুইজন নারী হেলিকপ্টার পাইলটের আইকনিক প্রতিকৃতি”। অন্যায়, বৈষম্য ও সংঘাতমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই স্মারক ডাকটিকেট গুচ্ছ অবমুক্ত করল জাতিসংঘ।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের পুরোভাগে নারীদের নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অটল প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেকথা পূনর্ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক যুগান্তকারী রেজুলেশন-১৩২৫ গ্রহণে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত রেজুলেশন বাস্তবায়নার্থে ‘জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা’ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে আইভরিকোস্টে নারী মিলিটারি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পদায়ন করে উদাহরণ সৃষ্টি করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সম্পূর্ণ নারী শান্তিরক্ষদের দ্বারা গঠিত ‘নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিট’ মোতায়েনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশ একটি। ২০১০ সালে হাইতিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিট মোতায়েন করা হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আজ অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ।

অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্য বক্তা ও প্যানেলিস্টগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সেস-ফিলিপ সাম্পেইন (François-Philippe Champagne)।

 

সি/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন