দেশের সংবাদ

‘হাজী’ পরিবারের বিস্ময়কর উত্থান

বিস্ময়কর উত্থান

‘হাজী’ পরিবারের বিস্ময়কর উত্থান

মোহাম্মদ ওমর ফারুক  ।। পিতার দুই সংসারের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান তিনি। অভাব-অনটনে বেড়ে ওঠা। অর্থভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। কিশোর বয়সেই নামতে হয় উপার্জনে। পুরান ঢাকার বাদামতলী ঘাট। যেখানে আসতো সিমেন্ট বোঝাই জাহাজ। হাজারো শ্রমিকের ভিড়ে নেমে পড়লেন তিনিও। এক সময় শুরু করেন সিমেন্টের বস্তার ব্যবসা।

‘হাজী’ পরিবারের বিস্ময়কর উত্থান যার খুঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়,  সময়ের ব্যবধানে তিনি এখন একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের কর্ণধার। তিনি হচ্ছেন ঢাকা-৭ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম। তার বাবা চান মিয়া ছিলেন মুদি দোকানি। পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে ছোট্ট একটি মুদি দোকান দিয়ে চলতো তাদের সংসার। অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের তেমন পড়াশুনা করাতে পারেননি তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন হাজী সেলিম। চকবাজার ও বাদামতলী এলাকার পুরনো বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাজী সেলিমের শুরুটা ছিল অভাব-অনটনের।

তবে শুরু থেকেই নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা গুণ ছিল তার। বছর ত্রিশেক আগে বাদামতলী ঘাটের প্রভাবশালী রতন মহাজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপরই বাদামতলী ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেন হাজী সেলিম। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অন্যায় আর অনিয়মের পথ ধরেই তার উত্থান।

১৯৯৪ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন হাজী সেলিম। একই সঙ্গে অবিভক্ত ঢাকা সিটির ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার (কাউন্সিলর) নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে একটি ওয়ার্ড ছেড়ে দিলে তার স্ত্রী গুলশান আরা সেলিম ঢাকা সিটি করপোরেশনে সরাসরি ভোটে সর্বপ্রথম মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার হাজী সেলিম জাতীয় নির্বাচনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজ দল বিএনপি তাকে মনোনয়ন না দেয়ায়, দল ছেড়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয় এবং তিনি এমপি নির্বাচিত হন। কাউন্সিলর থেকে এমপি হওয়ার পরই আরো বেশি আধিপত্য বাড়তে থাকে পুরান ঢাকায়। যদিও ওয়ার্ড কমিশনার থাকার সময়  থেকেই রাজধানীর লালবাগ, চকবাজারসহ পুরান ঢাকা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন হাজী সেলিম। এদিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগের অন্যতম  প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকেন তিনি। পুরান ঢাকার রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ দখলসহ নানা অভিযোগ উঠতে থাকে এ  নেতার বিরুদ্ধে।

কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী। পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বাইরে চলে যান তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন হাজী সেলিম সব সময়ই ছিলেন সুবিধাবাদী। তিনি রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তার করেন। বিএনপি  ও  তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রায় ১২০টি মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। খুন, খুনের চেষ্টা, নির্যাতন, চুরি এবং দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের কারণে এসব মামলা করা হয়। নিজের বিভিন্ন অপরাধে সবসময় সহায়তা পেয়েছেন সহধর্মিণী গুলশান আরার। ২০০৮ সালের এপ্রিলে ২৭ কোটি টাকা জ্ঞাতবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য ১৩ বছরের জেল হয় সেলিমের। আর সেই সম্পদ নিজের কাছে রাখার জন্য তিন বছরের জেল হয় তার স্ত্রী গুলশান আরার। ফলে ২০০৮ সালে হাজী সেলিম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।

ফলে সেই সময়ে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলেও মামলার কারণে নির্বাচন কমিশন তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে। ২০০৮ সালের ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এসময়  মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সঙ্গে নানা বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন হাজী সেলিম।  পরে নিজের অবস্থান জানান দিতেই ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু এবারও দলের সিদ্ধান্ত যায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের পক্ষে। কিন্তু দলের নির্দেশ না মেনে  বিদ্রোহী  প্রার্থী হন হাজী সেলিম। মহিউদ্দিনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে নির্বাচিত হন তিনি, যা বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিব্রত করে।  শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সেই সময়ে ‘স্বতন্ত্র এমপি জোট’ নামে একটি স্বতন্ত্র এমপিদের দিয়ে তিনি একটি জোটও গঠন করেন। এরপর তিনি হারান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদটি। পরে ২০১৮ সালে আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এই সংসদ সদস্য। পরে  ঢাকা-৭ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে হারান তিনি। সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম পুত্র ইরফান সেলিমকে ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর’ পদে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।  সেখানেও ছেলেকে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বানিয়ে নির্বাচন করিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজে এমপি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এবং  ভোটারদের ভয়ভীতি  দেখিয়ে  ছেলেকে বিজয়ী করেছেন হাজী সেলিম।

দখল করে বানিয়েছেন সাম্রাজ্য: স্থানীয়দের অভিযোগ, হাজী সেলিম কমিশনার থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ঘাট ও বাজার ইজারায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেও জমি দখল শুরু করেন মূলত সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই। তার আসনের আওতাধীন  প্রতিটি ওয়ার্ডেই তিনি গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। সোয়ারিঘাট, চকবাজার এলাকার  প্রতিটি মার্কেট থেকে মাসোহারা আদায়ে রয়েছে হাজী সেলিমের পৃথক কয়েকটি গ্রুপ। ট্রাকে ও লরিতে পণ্য আনা-নেয়ার  ক্ষেত্রেও  দৈনিক ভিত্তিতে টাকা গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, ১৯৯৬ সালের পর লালবাগ ও চকবাজার এলাকার মধ্যে যেখানেই খালি জমি পেয়েছেন, সেখানেই হাত পড়েছে হাজী সেলিমের। এ নিয়ে মুখ খুলতেও সাহস পায়নি কেউ। অন্যের বাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, নদী দখলসহ প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় দখল করতেও ছাড়েন না তিনি। পুরান ঢাকার সদরঘাট, লালবাগসহ সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পুরো এলাকা জিম্মি ওই এমপি’র কাছে। কেউ কথা বলে না তার ভয়ে। দু’একজন তাদের পরিচয় জানালেও অধিকাংশ ভুক্তভোগীই তাদের নাম  গোপন রাখছেন। অভিযোগ রয়েছে, চকবাজারের ছোটকাটারায় বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে হাজী সেলিমের ‘চান সরদার কোল্ড স্টোরেজ’। তবে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন কোল্ড স্টোরেজের জায়গাটি একাধিক মালিকের কাছ থেকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন হাজী সেলিম।

ওই জমির মধ্যে সাত কাঠা জমির মালিক বলে দাবি করেন পুরান ঢাকার হাজী বদিউজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, জমির সকল প্রকার কাগজপত্র আমাদের নামে। এর পরও জায়গাটি জোর করে দখল করে নিয়েছেন হাজী সেলিম। বিভিন্ন সময় আমরা জমিটি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও হুমকি-ধমকির কারণে শেষ পর্যন্ত পারিনি। স্থানীয় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকার জামিল স্টোরের পাঁচ কাঠা জমি, মদিনা আশিক টাওয়ার ও জাপান ইলেক্ট্রনিক্সের জায়গা দখল করেছেন হাজী সেলিম। অভিযোগ রয়েছে, বুড়িগঙ্গার তীরে পাটুয়াটুলী-ওয়াইজঘাট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল তার দখলে। এখানে হলটির আশেপাশে আরো কয়েকজনের জমি দখলে নিয়েছেন তিনি। সেখানে গড়ে তুলেছেন গুলশানারা সিটি। অভিযোগ রয়েছে, নবাব পরিবারের কিছু সম্পত্তিও এখানে রয়েছে। যেখানে তিনি অর্ধেক টাকা দিয়েছেন আরো অর্ধেক টাকা এখনো দেননি। নবাব পরিবারের একজন সদস্য নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের জায়গাটি সাড়ে চার কোটি টাকা হাজী সেলিমের কাছে বিক্রি করি। কিন্তু হাজী সেলিম আমাদের দুই কোটি টাকা দিলেও তিনি আর আমাদের কোনো টাকা দেননি। তার বিরুদ্ধে শতাধিক বাড়ি মার্কেট দখল করার অভিযোগ রয়েছে।

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তি বেড়েছে শতগুণ: ২০১৪ সালের নির্বাচনী হলফ নামার তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৮ সালে নির্বাচনী হলফনামায় হাজী মো. সেলিমের স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২০৪ গুণ। তখন তিনি দেখিয়েছেন তার স্ত্রীর হাতে নগদ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫৭০ টাকা রয়েছে। ২০১৩ সালে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু তার নিজের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ কম দেখিয়েছেন। হলফনামা অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাজী সেলিমের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৮ টাকা। ২০১৩ সালে এই আসনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তার হাতে নগদ ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ টাকা। এই হিসেবে হাজী সেলিমের চেয়ে তার স্ত্রীর কাছে প্রায় ৭০ গুণ বেশি নগদ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হাজী সেলিমের নামে জমা আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার ১০৫ টাকা। আগে ছিল ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮ টাকা। এই খাতে এখন তার স্ত্রীর নামে জমা আছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকা। আগে তার নামে ছিল ১ কোটি ৬৪ হাজার ১৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার বাবদ হাজী সেলিমের নামে জমা আছে ৪৬ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে আছে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আগে এই খাতে হাজী সেলিমের নামে ছিল ২৬ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ছিল ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৩ সালে হাজী সেলিমের বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে ছিল ১০ লাখ টাকা।

এবার স্ত্রীর নামে আগের পরিমাণ টাকা জমা আছে। কিন্তু হাজী সেলিমের সঞ্চয় নেই। হাজী সেলিম তখন হলফনামায় দেখিয়েছেন, তার আয়ের বড় উৎস ব্যবসা। তিনি মদিনা গ্রুপ, মদিনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবসা বাবদ তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৪ টাকা। আগের বছরের তুলনায় তার বার্ষিক আয় ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৮ টাকা কম। এছাড়া বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ এবার বার্ষিক আয় ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৫ টাকা। আগে ছিল ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৮ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, এই রাজনীতিবিদের নেই নিজস্ব কোনো জমি (কৃষি ও অকৃষি জমি) এবং বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট। হলফনামা অনুযায়ী তার রয়েছে দালান, যার আর্থিক মূল্য ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯ হাজার ৬২৮ টাকা। একাদশের নির্বাচনী হলফনামায় এমন চিত্রের দেখা মিলেছে। হলফনামায় কৃষি জমির পরিমাণ ও অকৃষি জমির পরিমাণের ঘরে লেখা রয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’। একই সঙ্গে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যার ঘরেও লেখা রয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’। তার স্ত্রীর কৃষি জমির পরিমাণ, অকৃষি জমির পরিমাণ এবং বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যার ঘরটি ফাঁকা। যদিও তার ঘনিষ্ঠরা জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়ি রয়েছে হাজী সেলিমের।

এসব ব্যাপারে জানতে হাজী সেলিম এমপি’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) বেলাল হোসেন বলেন, এমপি মহোদয় বাসায় আছেন। টেলিফোনে কথা বলতে পারবেন না।

ওদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিমকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল আদালতে তার সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়ার তার বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব। এসব মামলার তদন্তভার আজকালের মধ্যেই ডিবিতে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে তদন্ত সূত্র জানিয়েছে।

-মানবজমিন

 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন