মত-মতান্তর

মৌলভীবাজারের মেয়র ফজলুর রহমানের হাতে কাস্তে

মৌলভীবাজারের মেয়র ফজলুর রহমানের হাতে কাস্তে

 

করোনার মহামরীতে ডায়নামিক মৌলভীবাজারের মেয়র ফজলুর রহমানের হাতে কাস্তে ,  এ যেনো  বিনা বেতনে কৃষকের চাকুরি।  তথাকথিত মিলিয়নার আর কোটিপতি এবং কিছু নেতাদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ.যাদেরকে করোনা মহামারীতে জনগণের পাশে দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতি যদি হয় মানুষের জন্য, সমাজের সেবার জন্য তাহলে যে সব  মন্ত্রী এমপি  সরকার ও বিরোধী দলের  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তথাকথিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, তথাকথিত মৌলানা যারা বড় টাকার চুক্তির বিনিময়ে অসংখ্য ওয়াজে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে প্রচুর অর্থ বানিয়েছেন। এমনকি বড় বড় আমলা বা নেতারা যারা বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে প্রচুর অর্থ জমিয়েছেন এসব জমিদারের অনেকেকেই কেনো এই মহাসংকটে মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না! অবৈধ বা বৈধ ভাবেই  যারা প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন ; একটু ভাবা উচিৎ নয় কি এতো টাকা এতো সম্পদ কেউতো আর কবরে নিয়ে যেতে পারবেন না;  একদিনতো চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে যাবার বেলায় যে  কাফনের কাপড় দেওয়া হবে এর কোনো পকেট ও থাকবে না ; সব রেখে যাবেন ; শেষ বিচারের বেলায় হাসরের ময়দানে  নিজের হিসাব নিজেকেই দিতে হবে ; ছেলে মেয়ে স্ত্রী আত্তীয় স্বজন কেউই সে সময় পাশে থাকবে না। দুনিয়ার দিখে ছেয়ে দেখুন, এই করোনা ভাইরাসের কারনে কি চিত্র দেখা যাচ্ছে ; টাকা থাকা সত্তেও অনেককে টাকা বাচাতে পারছেনা ; বিশ্বের মানবজাতির মহাবিপর্যয় নামিয়ে এনেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস, অদৃশ্য এক দৈত্য এই ক‌রোনা ভাইরা‌স এ যেনো এক যুদ্ধ. দেশে দেশে চলছে মৃত্যুর মিছিল।

সমগ্র বিশ্ব হয়ে গেছে লক ডাউন। সারা দুনিয়ার মানুষ আজ ঘরবন্দী.রাজা রানী ধনী গরীব ধর্ম বর্ণ জাতি নেই কেনো ব্যাবধান। সমগ্র বিশ্ব আজ আতংকিত ; হয়ে গেছে যেনো জিন্দা লাশ. সবাই আজ দিশাহারা. একে অন্যের কাছ থেকে সবাই  বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন; তাই বলছি, ‘একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? মানুষ মানুষের জন্য জীবন কি জীবনের জন্য হতে পারে না। এই মহামারী করোনা যুদ্ধে আমদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদার অব ইউমিনিটি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ যে সব মন্ত্রী এমপি সরকার ও বিরোধী দলের নেতা কমীরা জনপ্রতিনিধি- শিল্পপতি- সুশীল সমাজ, মাওলানা আমলা- ডাক্তার নার্স হাসপাতালের  চাকুরিরত সংশ্লিষ্টরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠন এবং  সরকারি আধা সরকারি ও বাংলাদেশের সমাজসেবামূলক সামাজিক সংগঠনসমূহের সদস্যবৃন্দ যারা এই করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধ করতে দিন- রাত মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার জন্মস্থান যে এলাকার আলো বাতাসে আমি লালিত পালিত হয়েছি সেই প্রিয় মৌলভীবাজারের একজন মানবিক জননন্দিত ডায়নামিক মেয়র ফজলু রহমান কাস্তে হাতে বিনা বেতনে কৃষকের চাকুরি নিয়েছেন এই সংবাদ দেখে আজ কিছু লেখার ইচ্ছা হলো। ফজলুর রহমান যাকে সবাই এক নামে চিনেন; আমাদের ফজলু ভাই মৌলভীবাজার জেলার একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন যার সাথে ৯০ এর গণ আন্দোলনে রাজপথে একসাথে ছাত্র- রাজনীতি করেছিলাম, তিনি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি;  গণতন্ত্রের মাতৃভৃমি নামে মাল্টিন্যাশনাল ও মাল্টি ক্সলচারাল বৃটেনে  আমি আসার  সময় মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমার বিদায়ী সংর্বধনা     অনুষ্ঠানে সভাপতির  বক্তব্যে তিনি  বলেছিলেন মকিস লন্ডন যাচ্ছে আমার বিশ্বাস সে সেখানে গিয়েও মৌলভীবাজার এর জন্য কাজ করবে আমাদেরকে  ভুলে যাবে না। প্রবাসে এসেছি  সত্য  কিন্ত আজ ও মৌলভীবাজার জেলাকে ভুলিনি, ভূলিনি বাংলাদেশ।  এখনও ঘুমে, জেগে, সপ্নে দেখি  প্রিয় জন্মভূমি প্রানের বাংলাদেশ। আর তা-ই তো প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা বহন করার পাশাপাশি বাংলাদেশের যে কোনো সুখবরে যেভাবে মন আনন্দে ভরে যায় আবার কোনো দূঃসংবাদ শুনলে অন্তর কাদে. তাইতো প্রবাসে বসেও দেশের জন্য মা- মাটির জন্য আপনজনদের জন্য কিছু করতে পারার মানসে সবসময় কাজ করতে চাই আপন গতিতে। দেশে বা বিদেশে  যারা দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করেন তাদের মত ফজলু ভাইয়ের সাথে ও আমার বা  আমদের  আত্মার আত্মীয়তা,  আমাদের বন্ধন আজ ও  আছে  অটুট, আমি বলছিলাম ফজলুর রহমান এর কথা যিনি ছাত্ররাজনীতির পর করেছেন যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও  জেলা যুবলীগের  সভাপতি হিসাবে যুব রাজনীতিতে ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। একজন সফল  ব্যাবসায়ী হিসাবে একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতার সনদ ও গ্রহণ করেছেন। বিপুল ভোটে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করার মাধ্যমে একজন জননন্দিত মেয়র হিসাবে নাগরিকদের মনজয় করতে সক্ষম হয়েছেন। করোনা ভাইরাসের এই মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুযায়ী একদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও অন্যদিকে মেয়র হিসাবে করোনা ভাইরাসের মহামারীর এই  দু:সময়ে নিজ ও নিজের পরিবারের দিকে না চেয়ে  দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করাসহ গরিব, অসহায়, দিনমজুর, হতদরিদ্র, কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে  জনগণের সেবায় মানবতার কল্যাণে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা অবশ্য প্রশংসার দাবি রাখে।
এই ধারাবাহিকতায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারনে লকডাউন থাকায় মহাসংকটে মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলের কৃষক। কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস মাথায় নিয়ে করোনা সংকটের সময়েও আশির্বাদ হয়ে এসেছে বোরো ধানের বাম্পার ফলন। তবে শ্রমিক সঙ্কটের কারনে যথাসময়ে বোরোধান ঘরে তোলা নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা। গত  ২২ এপ্রিল সকাল থেকে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের অন্তেহরী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস পৌর কাউন্সিলার মনবীর রায় মঞ্জু, কাউন্সিলার ও প্যানেল মেয়র ফয়সল আহমদ ও পৌর কাউন্সিলার জালাল আহমদসহ   পৌর কাউন্সিলাররা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে  মেয়র ফজলুর রহমান কাস্তে হাতে বোরোধান কাটা শুরু করেন। এসময় স্থানীয় কৃষকদের সাথে তারা প্রায় ১২০ শতাংশ ভুমিতে বোরোধান কেটে কৃষকের ঘরে ধান তুলতে সহায়তা করেছেন বলে জানা গেছে। এতে উনারা কোনো পারিশ্রমিক নেন নি বিনা বেতনে  কৃষকের চাকুরি করার জন্য ডায়নামিক মেয়র ফজলুর রহমানের টিমকে অভিনন্দন ও স্যালুট জানিয়ে সবার প্রতি বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাতে চাই  প্লিজ প্লিজ সরকার প্রনিত দিক- নির্দেশনা মেনে চলুন, ঘরে থেকে নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধ করুন।
মকিস মনসুরসাংবাদিক, লেখক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যুক্তরাজ্য।
সংবাদটি শেয়ার করুন