দেশের সংবাদ

নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা

রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা

নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা । ইন্ধনের অভিযোগ আসছে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা এর কারনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা নতুন কিছু নয়। ক্যাম্পগুলো থেকে এমন কোনো না কোনো খবর আসছে প্রতিদিনই। অভিযোগ রয়েছে, অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পেছনে ইন্ধন জোগায় কয়েকটি গোষ্ঠী।

এক রোহিঙ্গা নাগরিক বলেন, আমরা এখানে এসেছি ৩০ বছর হলো। এখানে এসে মারামারি কাটাকাটি কখনও দেখিনি। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে বলছে তারা খ্রিষ্টান ও মগ মেরে ফেলবে। আমরা অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে, গুলিও মেরেছে।

আরেকজন বলেন, আরসা বাহিনীর সন্ত্রাসী আতাউল্লা ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গাদের তার সাথে লিংক করতে চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম ৩০ বছর ধরে ক্যাম্পে আছি, সন্ত্রাসী হতে চাই না। এ কারণে আরসা বাহিনী ক্যাম্পে ঢুকে গোলাগুলি শুরু করে, বার্মার মতো।

কেবল ক্যাম্পের বাসিন্দারাই নয়, রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। হামলায় ঘটেছে প্রাণহানিও। উখিয়া-টেকনাফে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে দাবি করা হচ্ছে মুক্তিপণ। এছাড়াও রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ঘটাচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান প্রয়োজন বলে মনে করছে স্থানীয় নাগরিকদের সংগঠনগুলো।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ক্যাম্প এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

গত দুই মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ রোহিঙ্গা ও দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন
দেশের সংবাদ

নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা

রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা

নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা । ইন্ধনের অভিযোগ আসছে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা এর কারনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা নতুন কিছু নয়। ক্যাম্পগুলো থেকে এমন কোনো না কোনো খবর আসছে প্রতিদিনই। অভিযোগ রয়েছে, অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পেছনে ইন্ধন জোগায় কয়েকটি গোষ্ঠী।

এক রোহিঙ্গা নাগরিক বলেন, আমরা এখানে এসেছি ৩০ বছর হলো। এখানে এসে মারামারি কাটাকাটি কখনও দেখিনি। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে বলছে তারা খ্রিষ্টান ও মগ মেরে ফেলবে। আমরা অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে, গুলিও মেরেছে।

আরেকজন বলেন, আরসা বাহিনীর সন্ত্রাসী আতাউল্লা ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গাদের তার সাথে লিংক করতে চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম ৩০ বছর ধরে ক্যাম্পে আছি, সন্ত্রাসী হতে চাই না। এ কারণে আরসা বাহিনী ক্যাম্পে ঢুকে গোলাগুলি শুরু করে, বার্মার মতো।

কেবল ক্যাম্পের বাসিন্দারাই নয়, রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। হামলায় ঘটেছে প্রাণহানিও। উখিয়া-টেকনাফে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে দাবি করা হচ্ছে মুক্তিপণ। এছাড়াও রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ঘটাচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান প্রয়োজন বলে মনে করছে স্থানীয় নাগরিকদের সংগঠনগুলো।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ক্যাম্প এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

গত দুই মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ রোহিঙ্গা ও দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন