দেশের সংবাদ

সন্ধ্যার মধ্যে দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে আম্ফান

উপকূলের কাছাকাছি আম্ফান, সন্ধ্যার মধ্যে দেশের উপকূল

 

আজ সন্ধ্যার মধ্যে দেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে আম্ফানঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়ঙ্কর সাইক্লোন আম্ফান আজ বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই উপকূলে আঘাত হেনে অতিক্রম করে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঝড়ের প্রভাব আরো বেশ কিছুটা সময় থাকবে। এতে দেশের উপকূলীয় ১৪ জেলায় অতিভারীবর্ষণসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যার মধ্যে আম্ফান উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। এ সময়  সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

 

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়ে শিকলে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতিমুখ বর্তমানে পুরোপুরি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও সাগরদ্বীপ বরাবর। এই দুই অঞ্চলের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। আর বাংলাদেশ উপকূল থেকে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে।

আর দীঘা ও সাগরদ্বীপ থেকে রয়েছে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে। এক্ষেত্রে যে কোনো সময় ঝড়টির মুখ উঠে আসবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপর রেলও। দুর্ঘটনা রুখতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরাগুলির চাকা শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনাটি দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন রেল স্টেশনে। আনন্দবাজারের খবর।

দেশটিতে লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকেই পুরোপুরি স্তব্ধ ভারতের স্বাভাবিক রেল পরিষেবা। কিন্তু বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন। এর মধ্যেই বিপুল গতি নিয়ে ওড়িশা ও এ রাজ্যের উপকূলবর্তী সীমানায় হাজির ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেই ঝড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি যাতে কোনো বিপদ না ঘটায় সে জন্য আগেভাগেই সতর্ক রেল। সে কারণেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলির চাকা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশনেই দেখা গিয়েছে এমন ছবি।

কেনো ট্রেনের চাকা শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে? রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি ঝড়ের দাপটে কোনো কারণে নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ট্রেনের চাকাগুলি বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে শুধু ঝড়ের ক্ষেত্রেই নয়, ট্রেন কোনো কারণে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হলে তার চাকা এ ভাবেই বেঁধে রাখা হয় বলেই জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা।

লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল রেল। চালানো হচ্ছিল এসই স্পেশাল এক্সপ্রেসও। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে ওই ট্রেনগুলি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এ দিন হাওড়া থেকে নয়া-দিল্লিগামী আপ এসই স্পেশাল এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লী থেকে হাওড়া ডাউন এসই স্পেশাল এক্সপ্রেসের যাত্রাও। মঙ্গলবারও দু’টি ট্রেন বাতিল করা হয়।

সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন