খেলা ফিচার্ড

সাইকেল চালিয়ে ১৩ দেশ পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপে চার বন্ধু

সাইকেল-চালিয়ে-১৩-দেশ-পেরিয়ে-কাতার-বিশ্বকাপে-চার-বন্ধু

সাইকেল চালিয়ে ১৩ দেশ পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপে চার বন্ধু!

ফুটবল বিশ্বকাপ আসর দেখতে কাতারে জড়ো হচ্ছেন ভক্ত-সমর্থকরা। মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট এই দেশটিতে প্রায় ১৪ লাখ দর্শকের সমাগম হবে। বিশ্বকাপ দেখতে আর্জেন্টিনার চার বন্ধু বেছে নিলেন এক অভিনব পন্থা। সাইকেলে চড়ে ১৩টি দেশের সীমানা পেরিয়ে কাতারে পৌঁছেছেন তারা।

লুকাস, সিলভিও, লিয়ান্দ্রো এবং মাতিয়াস- ২০১৯ সালে আইডিয়াটা মাথায় আসে তাদের। চলতি বছরের মে মাসে চাকরি ছেড়ে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন চার বন্ধু। যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম শহর কেপ টাউন থেকে। এরপর দুটি মহাদেশের ১৩টি দেশ এবং ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন ৬ মাসে।

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সিলভিও বলেন, ‘সত্যি বলতে, অন্যরকম সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা হলো। অসাধারণ! কখনোই ভোলার মতো নয়। ক্লান্তিকর এক জার্নি ছিল কিন্তু আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি তাই গর্ব হচ্ছে।’
‘টোডো আ পেডাল’ নামের একটি সংগঠন রয়েছে আর্জেন্টিনার।

সেখানকার একজন কিশোর সদস্য লুকাস চেয়েছিল অভিনব পদ্ধতিতে কাতারে পৌঁছানোর। কিন্তু সে একা একা এটি করতে পারতো না। সিলভিওর সঙ্গে আইডিয়াটা শেয়ার করে লুকাস। সিলভিও তার দুই বন্ধুকে ব্যাপারটা জানালে তারাও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়ে যান। মজার ব্যাপার হলো, চারজনের মধ্যে শুধু লুকাস পেশায় সাইক্লিস্ট। আরেকজন ট্রায়ালথন খেলেন। বাকি দু’জন রাগবি খেলোয়াড়।

১লা মে কেপ টাউন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন চার বন্ধু। মোট ১৮০ দিন প্যাডেল মেরেছেন তারা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ কি.মি. পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। আর শেষ ১৪ দিনে ১৪০ থেকে ১৫০ কি. মি। সিলভিও বলেন, ‘কোনো কোনো দিন আমরা ২০০ কি. মি. সাইকেল চালিয়েছি।’

রাত কাটানোর জন্য অবশ্য হোটেল পেয়েছেন তারা। স্পন্সর টিম তাদের সুবিধামতো জায়গায় হোটেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। যাত্রা পথে মিশরের পিরামিডের মতো ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোর ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারন করে রাখেন তারা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্জেন্টাইনদেরও যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছেন এ চারজন। পথে পথে নানা ধরনের খাবারের স্বাদ নিয়েছেন। তবে ভ্রমণের কথা ভেবে খাবার খেতে হয়েছে বেছে বেছে।

দর্শকদের কথা ভেবে হোটেলের বাইরে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি অনেকগুলো তাবু খাটিয়েছে। সিলভিও বলেন, ‘তাবুগুলো যথেষ্ট সুন্দর এবং আরামদায়ক। আমরা এগুলো পেয়ে খুশি।’ তবে সিলভি জানালেন, এখনো টিকিটের ব্যবস্থা হয়নি। এজন্য হিতাকাক্সক্ষীদের সহায়তা আশা করছেন তারা।

সুত্রঃ মানবজমিন

সংবাদটি শেয়ার করুন