Uncategorized

সারা দিন তোমায় ভেবে…

সারা দিন তোমায় ভেবে…

ভালোবাসাই পারে মানুষে মানুষে সব পার্থক্য মুছে দিতে। পৃথিবী থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানহানি, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে। অর তাই বিশ্বের আলোচিত দিবসগুলোর অন্যতম ‘ভ্যালেনটাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’। বিশ্বের সব প্রেমিক-প্রেমিকা, দম্পতি যুগল থেকে শুরু করে সব মিডিয়ায় চলে দিবসটি নিয়ে বিশেষ আয়োজন। উপহার আর খাবারেও থাকে বিশেষ আয়োজন।

জাহিদুল হক পাভেল

‘যখন ওই রূপ স্মরণ হয়, থাকে না লোকলজ্জার ভয়’। মরমি সাধক ফকির লালন শাহ্ মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর আকাঙ্ক্ষা এভাবেই প্রকাশ করেছেন। সমাজের সব প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করেই প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য চেয়েছেন তিনি। এই ব্যাকুলতা হয়তো অনেকের কাছেই সহজবোধ্য নয়। কারণ মাঝে পেরিয়েছে অনেকটা সময়। সেকাল আর একালের তফাতও অনেক। ফকির লালন শাহের মতো নানা সময়ের নানা মনীষী মানুষের চিন্তাচেতনায় ভালোবাসার বীজ রোপণ করতে চেয়েছেন। কেননা ভালোবাসাই পারে মানুষে মানুষে সব পার্থক্য মুছে দিতে। পৃথিবী থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানহানি, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে। অর তাই বিশ্বের আলোচিত দিবসগুলোর অন্যতম ‘ভ্যালেনটাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’। বিশ্বের সব প্রেমিক-প্রেমিকা, দম্পতি যুগল থেকে শুরু করে সব মিডিয়ায় চলে দিবসটি নিয়ে বিশেষ আয়োজন। উপহার আর খাবারেও থাকে বিশেষ আয়োজন।

ভালোবাসা দিবসের প্রকাশও অনেকটা একই। তবে সেই প্রকাশ হতে পারে প্রিয় মানুষের পছন্দের কোনো উপহার। উপহারের পণ্যটি কী হবে, সেদিকে না ভেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা আপনার অনুভূতি তুলে ধরে। অর্থাৎ প্রিয় মানুষকে মনের কথা জানাতে উপহার হতে হবে অর্থবোধক। তাই উপহারের ভাষায় আনতে হবে নিজের কথা, একই সঙ্গে হবে তা প্রিয় মানুষের মনোরঞ্জনযোগ্য। এই দুটিতে পাস মার্ক পেলে ভাবতে পারেন চমক দেয়ার উপায়। মানে উপহারের ফল প্রিয় মানুষের মনে ইতিবাচক সাড়া ফেলে এমন কোনো বুদ্ধি বের করা মন্দ হবে না। বিশেষ দিনের বিশেষ মুহূর্ত শুরু রাত ১২টা থেকেই। পুরো দিনকেই আনন্দ আর সুন্দর স্মৃতিতে বেঁধে রাখা জরুরি। তাই গুরুত্ব দিতে হবে সব মুহূর্তকে।

সারাক্ষণ

একসঙ্গে সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন শহরের বাইরে। সে সুযোগ না থাকলেও চিন্তার কারণ নেই। নগরীর মধ্যেই খুঁজে নিন সুন্দর ও নিরিবিলি পরিবেশ। তা হতে পারে প্রিয় কোনো রেস্টুরেন্ট। প্রিয় খাবারই থাক আপনাদের মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের তালিকায়। অন্য কাজ টেনে না নিয়ে সারা দিনের জন্য প্রস্তুত হলেই ভালো। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না-ও থাকতে পারে চাকরিজীবীদের বেলায়। সে জন্য কর্মক্ষেত্রের কাজ সেরে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তার পছন্দের কিছু কেনাকাটা করা যেতে পারে। সময় পেলে সন্ধ্যায়ই ঘুরে আসুন কাছের কোনো জায়গা থেকে। আর একদম ভাগ্যের বিপরীতে সব চলে যাবে- এমন ভেবে মুষড়ে থাকা মানাবে না। এ ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দের জায়গায় জমিয়ে সময় পার করতে পারেন নৈশভোজের ফাঁকে। এমন অবস্থায় অবশ্যই উপহার কিনে ফেলুন আগের কোনো দিনে।

ভালোবাসা দিবসে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়া কিছু বিশেষ নিয়মকানুনের একটি। পোশাকের লাল রং। লাল রং মানে হৃদযন্ত্রের রং, যা ভালোবাসার ধ্রুব প্রতীক হয়ে দুনিয়াব্যাপী মিশে আছে। পশ্চিমা পোশাকে যদি সাজতে হয়, তাহলে বেছে নিন সময়ের পোশাক। মেয়েদের ক্ষেত্রে ট্রেন্ডি গাউন হতে পারে। ট্রেন্ডি গাউনের প্যাটার্নও হোক চলতি ফ্যাশনের অন্তর্ভুক্ত। সেমি বোট নেক, পোট্রেইট, জুয়েল, স্কয়ার, গ্যাদার্ড নেক, সেট ইন স্লিভ উইথ রাউন্ড নেকের মতো ডিজাইন বেশি দেখা যায় এখানকার গাউনে। অধিকাংশ গাউনেই এখন বেশি ব্যবহৃত হয় মডিফায়েড এ-লাইন প্যাটার্ন। এ-লাইন ফ্লেয়ার, স্লিট, গোডেটও দেখা যায় এখন দেশীয় গাউনে। শার্ট গ্যাদার্ড ওয়েস্ট, লাইন ব্রেক ওয়েস্ট এখন বেশি জনপ্রিয়। আর ড্রপ ওয়েস্টের ব্যবহার গাউনকে আরো আধুনিক দেখায়। ভালোবাসার লাল রঙে একরঙা গাউনের যেমন জুড়ি নেই এদিনে, তেমনি ট্রেন্ড তা না-ও মানতে পারে। ডিজাইন হতে পারে লালের সংমিশ্রণে অন্য কোনো রং। তাতে বেশ জমে উঠবে যদি ফুলেল মোটিফ হয়।

আর পশ্চিমার বিকল্পও হতে পারে এদিনের পোশাক। সে জন্য লাল শাড়ির জুড়ি নেই। কামিজ অথবা লাল ফতুয়াও গ্রাহ্য। ছেলেদের বেলায়ও প্রথমে বলব পশ্চিমাদের সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া পোশাকের কথা। অর্থাৎ কমপ্লিট স্যুট বেশ মানানসই হবে। সঙ্গে সাদা, অথবা সাদার কাছাকাছি রঙের ফরমাল শার্ট। এর সঙ্গে বিকল্প নেই একটি লাল টাইয়ের। এ জন্য অবশ্যই প্রিয় মানুষের পোশাকও হতে হবে পশ্চিমা। অন্যথায় আপনিও তার সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরতে পারেন। তাতে দোষের কিছু হবে না। কারণ পোশাকের চেয়ে জরুরি সারা দিনের প্রেমময় মুহূর্তগুলো। -সারাক্ষণ

সংবাদটি শেয়ার করুন