প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

সৌদি আরবে চান্দিনার যুবককে হত্যার অভিযোগ

নিহত মো. সেলিম মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে চান্দিনার যুবককে হত্যার অভিযোগ

সৌদি আরবে মো. সেলিম মিয়া (৩৩) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরবে অবস্থানরত নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম নিহতের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবি জানান।

নিহত মো. সেলিম মিয়া কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সেলিম সবার বড়।

জানা যায়, দেশে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে তিন সন্তান নিয়ে পরিবার চালাতে কষ্ট হওয়ায় ছোট ভাই তাজুল ইসলাম চলতি বছরের ১৩ জুন তাকে (সেলিমকে) সৌদি আরব নেয়। দুই মাস যাবৎ ভালোভাবেই কাজ করছিল।

নিহতের ভাই প্রবাসী তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইকে কম্পানির ভিসায় সৌদি আরব নেই। সৌদি আরবের রিয়াদের আল-আফিফ নামের একটি জায়গায় ঊটের খাদ্য তৈরির কারখানায় চাকরি দেই। গত সোমবার (১৪ আগস্ট) কফিল (মালিক) তাকে কারাখানায় চা তৈরি করতে হবে বলে মরুভূমিতে নিয়ে যায়। সোমবারের পর থেকে আমার ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ পাই এবং কফিলকে ফোন দেই। কিন্তু কফিলও আমার ফোন রিসিভ করেননি।

তিনি বলেন- বুধবার (১৬ আগস্ট) সৌদি সময় রাত সাড়ে ১২টায় কফিল জানায়, তোর ভাই অসুস্থ তাকে আল-আফিফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আমি ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার ভাই মারা গেছে। তার ডান হাত ও ডান পা ভাঙ্গা। শরীরের আঘাতের চিহ্ন ও জামা-কাপড় ছেঁড়া।

তিনি আরও বলেন- সেসময় আমি ওই হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, সেলিম অন্তত আরো ২৫ ঘণ্টা আগে মারা গেছে। তাকে মরুভূমিতে ফেলে রাখায় এমন অবস্থা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের মরদেহ হাসপাতালে ফেলে কফিল চলে গেছে। তারপর থেকে কফিলের মোবাইলও বন্ধ। এ ঘটনায় আমি বৃহস্পতিবার সৌদি আদালতে মামলা করেছি। আমার ভাইয়ের মরদেহ এখনো হাসপাতালের মর্গে আছে। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমি বাংলাদেশি দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাই।

-সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল



এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন