জোর কোরো না
জোর কোরোনা গো তুমি,
আমি নই তোমার হাতের ঝুমঝুমি!
বাজালেই বেজে উঠি না
আমি তো নই অতটা আহাম্মক
দুধের বাটি বাড়িয়ে ধরলেই
জোর করে কোনো কিছুই হয় না
ভালোবাসার পংক্তিমালা কিংবা
দু’এক কলি গান —
চোখের তারায় তিরতিরে অভিমান
জিদ্দিবাজের তর যেন সয় না!
জোর কোরো না
কোরো না গো তুমি জোর
এটুকু জেনো
আমি তোমারই প্রেমিকপ্রবর |
———————————————————————————
ভালোই বড়শি গেঁথেছ পিঠে
আজন্মের প্রেমিক আমার
তারপর ছোট্ট চামচ দিয়ে
আঁশ ছাড়িয়েছ নিখুঁত
পিস পিস করে কেটে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে
পরম যত্নে দিয়েছ ছেড়ে
তোমার একাগ্রতা আর খুন্তির আন্তরিকতা
দুইয়ে মিলে নেড়ে-চেড়ে
মুচমুচে ভাজাভাজা করে ছেড়েছে আমায়
এত আদর জন্মে জোটেনি
ল্যাজামুড়ো সবটুকু চিবিয়ে খেলে
বলতে নেই, তোমার ক্ষুধা, তোমার প্রেম —
তা যে নয় নিতান্তই এলেবেলে |
——————————————————————————
৩. কবিতার মতো
কেন কবিতাকে ছেড়ে যাইনি, উত্তরে বলি—
ছেড়ে যাওয়া যায় না, তাই |
শাহজাহান তার বিবির জন্য
বানিয়েছিলেন তাজের মর্মর মহল
আমিও সংহিতার জন্য রচনা করেছি
সহস্রাধিক কবিতা |
অনেক মান-অভিমান, মন-কষাকষি পেরিয়ে
শেষ পর্যন্ত ভালোবাসাবাসির তুমুল আনন্দ
এটাই ঘটনা |
ও যখন তীব্র আশ্লেষে আমায় জড়িয়ে ধরে
তখন কবিতার মতো উজ্জ্বল এক ফালি চাঁদ
বুকের ভেতর উঁকি মারে |
—————————————————————————–
বিছানা বিছিয়ে রাখে আনন্দের ঠিকানা
ঘুম আর জেগে থাকার মধ্যে
ইন্দ্রিয়গোচর যা তোলপাড় জানা-অজানা
আসবাবহীন মেদহীন গৃহে
বিছানা এক খুশির রঙ্গমঞ্চ
আদরে চাদরে এলোমেলো উচ্চারণ জড়িয়ে
আকাশ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জ্যোৎস্না
মাঝরাতে চুপিচুপি রাত নেমে আসে বিছানায়
এরপর ভেজা রাত্রিযাপন এমন কিছু দোষ না!