Great Victory Day celebrated at Bangladesh Embassy in Washington
Bangladesh’s makes remarkable progress, Afreen Akhter tells Victory Day reception
Washington DC, 17 December, 2023 –The Bangladesh Embassy in Washington DC on Saturday (16 December) celebrated the 53rd Victory Day of Bangladesh with a fresh vow to build a hunger-and-poverty-free happy and prosperous Bangladesh as dreamt by Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and three million martyrs.
The day-long program of the Embassy included hoisting of the National Flag on the Chancery premises, placing of a floral wreath at the bust of Bangabandhu, reading out messages of the President, the Prime Minister, the Foreign Minister and the State Minister for Foreign Affairs, hosting a reception and cultural function and offering a special prayer.
Deputy Assistant Sectary in the Bureau of South and Central Asian Affairs (SCA), US Department of State, Ms Afreen Akhter spoke as the Guest of Honour at the reception held at Bangabandhu Auditorium of the Embassy while Bangladesh Ambassador to the United States Mr. Muhammad Imran delivered the address of welcome.
Addressing the reception, Ms Afreen Akhtar appreciated Bangladesh’s remarkable progress since its independence and said the United States has been an important development partner in this journey. The progress that Bangladesh has made as a country has been truly remarkable, she said.
The US Deputy Assistant Secretary said it’s incredible over the past 52 years, Bangladesh has lifted millions of people out of poverty. She also mentioned the deep economic relations between Bangladesh and the USA.
Referring to her visit to Bangladesh on various occasions, the US Deputy Assistant Secretary said in each visit, she is really reminded of the strength, resilience, and fortitude of the Bangladeshi people.
Those are the virtues that led to Bangladesh’s liberation, and those are the virtues that will carry Bangladesh forward in its journey, she said.
Ambassador Imran, in his welcome remarks, recalled with profound respect the greatest Bengali of all time and the founding Father of Bangladesh Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. He also paid deep homage to three million martyrs for their supreme sacrifices in the Liberation War.
He highlighted Bangladesh’s tremendous progress that took place over the last 15 years under the dynamic and visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina.
While talking about Bangladesh-US relationship, the Bangladesh Ambassador mentioned that the two countries have long-standing economic and commercial ties and said Bangladesh looks forward to work together closely with further engagements to take the relations to new heights.
Later, a colourful cultural function was held where embassy officials and their spouses as well as employees performed patriotic songs first. The children of the officials and employees of the Mission and Bangladeshi artistes in Washington Metro Area enthralled the audience by performing group dances on patriotic songs.
Ambassadors and diplomats from different countries, officials of the US government and members of Bangladeshi diaspora were present on the occasion.
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
বিজয় দিবসের সংবর্ধনায় বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করলেন আফরিন আক্তার
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নতুন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাসের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং বিশেষ মোনাজাত।
সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ আফরিন আক্তার এবং এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
আফরিন আক্তার তার বক্তব্যে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন বাংলাদেশের এই অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বলেন, একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।
মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত 52 বছরে বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বের করে এনেছে । তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
বিভিন্ন সময়ে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি সফরেই তিনি বাংলাদেশি জনগণের শক্তি, সহনশীলতা ও দৃঢ়তার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, যেসব গুণাবলী বাংলাদেশের মুক্তির পথ দেখিয়েছে সেগুলোই বাংলাদেশকে তার কাঙ্খিত অভিযাত্রার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য তাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্জিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও তিনি জানান।
পরে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মিণী এবং কর্মচারীবৃন্দ প্রথমে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশী শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গানের সাথে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে অতিথিদের মুগ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।