আম গাছে মৌচাক ।।।। বিশ্বজিৎ মানিক
আম গাছেতে, মৌমাছি সব – করছে তাদের বাসা
ক’দিন হলো, দেখছে খোকা – চাক হয়েছে খাসা।
গুন গুনিয়ে, মৌমাছি সব – ফুল বাগানে যায়
মধু নিয়ে, উড়েই আবার – আসছে ফিরে তা’য়।
ফলের গাছের, মুকুল থেকেও – করছে মধু চয়ন
চাকের স্ফীতি, দেখে খোকার – ভরছে দু নয়ন।
গাছটি ছিলো, তার বাগানের – দক্ষিণ দিকে সোজা
চাকের মধু, খুব নিরাপদ – খেতেও বেশ মজা।
সকাল বিকাল, দেখে খোকা – চাকটি আছে ভালো
সূর্য্যি মামা, উঠলে পড়ে – চাকের উপর আলো।
সৌর ঝিলিক, পড়ে চাকের – রূপের বাহার বাড়ে
দেখতে সুন্দর, কতোই লাগে – মনটা যেন কাড়ে।
চাঁদনি রাতে, যখন আবার – চাঁদের আলো ফোটে
উঠান থেকেই, যায় দেখা তা – আম বাগানের মাঠে।
রাতের বেলা, মৌমাছিরা – নিরব হয়ে যায়
রাত পোহালেই, সবাই মিলে – ফুলের মধু খায়।
শ্রমিক মাছি, আছে যারা – নির্মাণ করে ঘর
কাজের ফাঁকেই, ঘরে বসে – ভরছে তাদের উদর।
স্থপতিদের মতোই তারা – নির্মাণ কাজে নিপুণ
চাকের মধুর, মাঝেই আছে – ঔষধি সব গুণ।
স্ত্রী মাছিরা, বাগান থেকে – আনছে গিয়ে মধু
রাণী আছে, তাদের মাঝে – নেতৃত্ব তার শুধু।
এছাড়াও বংশ বিস্তার – মহারাণী ই করে
প্রতিদিনই হাজার হাজার – বাচ্চা হয় তার ঘরে।
সবাই মিলে, করছে তারা – মধু উৎপাদন
ফুলে ফুলে, ঘুরে ফিরে – করছে পরাগায়ন।
কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্যে আছে – এদের অবদান
মৌমাছিরা সত্যিকারেই – কৃষক ভাইয়ের প্রাণ।
খোকা বাবুর ইচ্ছা ছিল – কেউ যেন না দেখে
তাইতো সদাই, মৌন ভাবে – চাকটি দেখে রাখে।
ঘাস তুলতে, গেদুয়ে দেখে – সুন্দর মধুর চাক
গেদু মিয়া, খুঁজতে থাকে – কখন পাবে ফাঁক।
খোকা যখন, কর্মক্ষেত্রে – সুনামগঞ্জে গেল
গেদু এসে, সেই ফাঁকেতেই – চাকটি ভেঙ্গে নিলো।
বাড়ি এসে, খোকা দেখে – চাকটি গাছে নেই
দুঃখে ক্ষোভে, খোঁজে গেদু – চোর হবে তো সেই।
০৫/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।