CBNA English NEWS প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

Foreign Minister Momen holds talks with US Secretary of State Blinken ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ

Foreign Minister Momen holds talks with US Secretary of State Blinken: Dhaka-Washington keen to further bolster bilateral ties

Washington DC, 10 April, 2023 – Bangladesh and the United States have expressed their eagerness to further bolster bilateral ties for the next 50 years, building on the solid foundation of the past 50 years.

The two countries showed the keenness during the official talks between visiting Bangladesh Foreign Minister Dr. A.K. Abdul Momen, MP, and US Secretary of State Antony Blinken at the US Department of State in Washington DC on Monday (April 10) afternoon.

In their introductory remarks in the presence of media, both the leaders expressed satisfaction over the existing bilateral relations and echoed their desire to further enhance bilateral ties for the next 50 years, building on the solid foundation of the past a half a century.

Terming Bangladesh-US relationship wide-ranging, dynamic and multifaceted, Dr. Momen hoped to develop, strengthen and solidify the ties. He thanked President Joe Biden for his warm message to Prime Minister Sheikh Hasina on the occasion of the Independence Day of Bangladesh, which the US President ended with “Joy Bangla”.

During the meeting, the two leaders discussed various bilateral and other issues of mutual interest, including strengthening and diversifying economic partnership, addressing Rohingya crisis and climate change, labour rights, civil liberty, and elections.

Apprising the US Secretary of State of the ongoing and completed works in labour sector reforms in Bangladesh, the Foreign Minister hoped that these efforts would be duly acknowledged and appreciated through stronger economic partnership between the two countries. Mr. Blinken lauded the ongoing US-Bangladesh consultative process in improving labour situation in Bangladesh.

Foreign Minister Dr. Momen called upon the United States to take advantage of the generous investment regime of Bangladesh and encourage the US private sector to invest in special economic zones and hi-tech parks in Bangladesh.

The Foreign Minister thanked the US government for their generous support in combating COVID-19 pandemic and continued humanitarian support for the Rohingyas sheltered in Bangladesh. He stressed the need for sustained international pressure on Myanmar for creating environment for voluntary repatriation of Rohingyas to Myanmar. Secretary Blinken highly praised Bangladesh for generously hosting over one million Rohingyas and assured to continue work towards repatriation of the Rohingyas.

The Foreign Minister echoed with the US Secretary of State on the importance of a free and fair elections and reaffirmed the commitment of Bangladesh government in this regard. He reiterated Bangladesh’s request to extradite Rashed Chowdhury, a self-confessed killer of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

At the end of the meeting, Foreign Minister Dr. Momen handed over a letter that Prime Minister Sheikh Hasina wrote to US President Joe Biden to thank him for his warm message on the Independence Day of Bangladesh.

Bangladesh Ambassador to the USA Mr. Muhammad Imran, Deputy Head of Mission Ms. Ferdousi Shahriar, Director General (North America) Mr. Khandker Masudul Alam, and officials of the Bangladesh Embassy in Washington and the Ministry of Foreign Affairs were present at the meeting.

Counselor Derek Chollet, Assistant Secretary of State for Population, Refugees and Migration Ms. Julieta Valls Noyes, Deputy Assistant Secretary of State for Democracy, Human Rights and Labor Ms. Kara McDonald, Deputy Assistant Secretary of State for South and Central Asia Ms. Afreen Akhter accompanied Secretary Blinken in the meeting.

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
ঢাকাওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ

ওয়াশিংটন ডিসি, ১০ এপ্রিল ২০২৩ । পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এম.পি. আজ সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে ফলপ্রসূ বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে তাদের প্রাথমিক বক্তব্যে উভয় নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিগত অর্ধ শতাব্দির দৃঢ় সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে আগামী ৫০ বছরের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে বিস্তৃত, গতিশীল ও বহুমুখী উল্লেখ করে ড. মোমেন এই সম্পর্ককে আরো উন্নত, সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে “জয় বাংলা” দিয়ে শেষ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেরিত উষ্ণ বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও বহুমুখীকরণ, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং নির্বাচনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান এবং সম্পন্ন কাজ সম্পর্কে মিঃ ব্লিংকেনকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাগুলিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা হবে। মিঃ ব্লিংকেন বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতির আরো উন্নতির জন্য দুই দেশের মধ্যে চলমান যৌথ কর্মকাণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

ড. মোমেন মার্কিন সরকারকে কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবেলায় উদার সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির উপর জোর দেন।

সেক্রেটারি ব্লিংকেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা আব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি দন্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পূনরায় অনুরোধ জানান ।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রেরিত উষ্ণ বার্তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।

উক্ত বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ ইমরান, ডেপুটি চীফ অফ মিশন মিজ ফেরদৌসী শাহরিয়ার, মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) জনাব খন্দকার মাসুদুল আলম এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাউন্সেলর ডেরেক শোলে, জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিজ জুলিয়েটা ভালস নয়েস, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শ্রম বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিজ কারা ম্যাকডোনাল্ড, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিজ আফরিন আক্তার সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন এর সাথে উপস্থিত ছিলেন।



সংবাদটি শেয়ার করুন