প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন

 হ্যানয়, ১৮ মার্চ ২০২৪: আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ-এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে দিবসটির প্রথম ভাগের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিভাগেরে উপ-মহাপরিচালক চিন থি তাম।

আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে ‍নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। তার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ৭ কোটি বাঙালি ঐক্যবন্ধ হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই, বঙ্গবন্ধুর জন্মের সাথে বাংলাদেশের জন্ম ও অস্তিত্ব একই সূত্রে গাঁথা। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অপরিসীম ভালবাসতেন। তাদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন। জাতিসংঘ শিশুসনদ প্রণয়নের ১৫ বছর পূর্বেই তিনি জাতীয় শিশু আইন ১৯৭৪ প্রণয়ন করে বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষার পথ সুগম করেন। বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে আজ তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়নে সকল ধরনের উদ্যেগ হাতে নিয়েছেন। শিশুদের শিক্ষা বিকাশে প্রতিবছরের শুরুতে সকল শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরন করা হয়। আজ প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। অবশেষে শিশুদের কল্যাণে ভিয়েতনাম সরকারের সাথে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
ইফতার ও নৈশভোজের পরে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ থিমের ওপর অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুরা এবং হ্যানয়স্থ সেন্টার ফর এডুকেশন এ্যান্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের এক ঝাঁক শিশু।

প্রতিযোগীতা শেষে সকল শিশুদের মাঝে পূরষ্কার ও সনদ বিতরন করেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান এবং ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক চিন থি তাম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।

 

এসএস/সিএ

সংবাদটি শেয়ার করুন