জমিদার বাড়ীর দীর্ঘশ্বাস ।।।।।। অ আ আবীর আকাশ
রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরীর ভগ্ন চুনসুরকি খ’সা
প্রাসাদ দেখে দেখে
বেড়ে উঠেছি এ শহর লক্ষ্মীপুরে-
সেগুন শিরিশ বেল কদমের ডালে
চৈত্রের পাখিরা সুর তোলে
শান বাঁধা পুকুরে উদোল পা ভিজিয়েছি
দালাল বাজারে আসা হাটুরের হাঁকডাক শুনতে শুনতে।
তৃণতরু ছাওয়া প্রাসাদের কামরায় উৎকট গন্ধে
নাক সিটকে যাওয়া তরুণীর উদোম কোমরের নৃত্য
ঘাসফুলের হাসি পায় তেতে উঠা রোদে
দোয়েল ঘুঘু শালিকের কণ্ঠে ক্লান্তি নামে।
প্রাসাদের গোপন কুঠুরীতে যেনো শবদ ভাসে আজো
নৃত্যের ঝংকার উঠে বাঈজীর ঘুঙ্গুরে
কতো নারীর চৌকাঠ ভাঙা রাজমহল
আজ দীর্ঘশ্বাস!
দূরদূরান্ত হতে আসা পর্যটকের জুতার তলায়
ছেপে যায় রাজ ইতিহাস
কলঙ্ক বাড়ে রাজ পরিবারের
সাক্ষী দেয় কালের ঘড়ি প্রজন্ম হতে প্রজন্মে।
কেউ বলে অতীত বড়োই বিমূর্শ বিবর্ণ রঙের
আমরা বলি থাক না ওসব –
এসো ইতিহাসের নামে অস্তিত্বের সন্ধান করি।
******
তবু করে যায় খ্যাতির
বাংলাদেশ সুবিধাবাদী দল, বাসুদ এর সক্রিয় সদস্য
হতে পেরে আমি সত্যি গর্বিত
আমার আঁচড় লেগে কতো রমণী কতো উপহাসে
স্বার্থক গর্ভবতী হয়ে দৌড় দিতো।
কামলিলায় ব্যস্ত থাকা সময়ে মিছিলের শোর শুনে
দৌড়ে যাই- এটা আমার নীতি
‘অমুক ভাই, তমুক ভাই’ বলে ধান্দা করি
চুরি লুটপাট কাজে দুর্নীতি।
আর যা-ই বলেন আপনারা -একটু আধটু তো
নেশা-টেশা করি , যাই হোটেল মোটেলে
শিক্ষকতা ছেড়েছি ছাত্রী নিয়ে সে-ই কবে
মাঝে মাঝে সাব ঠিকাদার বাঈশ সালে।
এমবিবিএস ফাস্ট সেমিস্টার হতে সহপাঠিনীর
অসভ্যতায় পড়া হলো শেষ
মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেও পুলিশ হতে ছয় লাখ
আহারে আমার সোনার বাংলাদেশ!
মুখোশ পরে কতো সমাজসেবক সাজি রোজ
রক্ত চুষে নিই বাঙালি জাতির
খিদের জ্বালায় রিজার্ভ করেছি ভোজ
ভালো এ জাতি! তবু করে যায় খ্যাতির।
*****
তোমার প্রেমে পড়েছি
‘আমি যে তোমারই প্রেমেতে পড়েছি’
প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ পাগল হয়ে যায়
আমি কি পাগল হয়ে গেছি লো?
সখি তোমার কাশ কেয়া ফোটা লগনে
রক্তজবা হাসি দেখে স্থির থাকতে পারিনি।
তোমার প্রেমে পড়ে গেছি, সখি
আর যাই হোক-
আমি তোমায় ভালোবাসি।
***
চম্দনকুটির