ধা রা বা হি ক উ প ন্যা স || পর্ব -১ ।। ভাল থাকার বাসা ||| কৃষ্ণা গুহ রয়
১ম পর্ব
নীলার আর সময় কাটছে না৷ রোজই এই সময়টা রোনক চলে আসে৷ আজ এখনও ফেরে নি৷ মোবাইলে দুবার ফোনও করল৷ সুইচড অফ৷ এই ফ্ল্যাটটা নীলার জন্যই কিনেছে রোনক৷ সে একজন শিল্পপতি৷ নীলার সঙ্গে পরিচয় একটা পার্টিতে৷ নীলা তখন অনীকের স্ত্রী৷ অনীক তখন রোনকের কোম্পানীর সব থেকে বড় ক্লায়েন্ট৷ বিভিন্ন পার্টিতে তাই অনীকের সঙ্গে নীলাকে যেতে হত৷ নীলা বরাবরই লাজুক স্বভাবের মেয়ে৷ তার কখনওই হৈ হুল্লোড় পছন্দ হতো না৷ অনীকের আবার পার্টি, আড্ডা, মদ এসব খুব প্রিয়৷
রোনকও ক্লায়েন্ট মিটের পর একা একা বসেছিল৷ পার্টিতে সেদিন হৈ হুল্লোড় চলছে৷ নীলাকে দেখে রোনক এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল, মিসেস বোস আপনি এভাবে চুপচাপ বসে আছেন? ওদিকে তো হৈ চৈ হচ্ছে৷
নীলা বলল, আমার এসব ভাল লাগে না৷
—তাহলে কি ভাল লাগে?
—আমার নিরিবিলি জায়গায় মাটির কাছাকাছি মানুষদের সঙ্গে থাকতে ভাল লাগে৷
রোনক সেদিন নীলার থেকে মোবাইল নাম্বারটা নিয়েছিল৷ বলেছিল, আমি আপনাকে সময় করে ফোন করে নেব৷
নীলা স্মিত হেসে মাথা নাড়িয়েছিল৷
তারপর নীলার মাথা থেকে এই বিষয়টা বেড়িয়েও গিয়েছিল৷ এর ঠিক সাতদিন বাদে দুপুরবেলা নীলা দুপুরের খাবার খেয়ে, ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাচ্ছে, সেই সময় মোবাইলে অচেনা নাম্বার ভেসে উঠেছিল৷
হ্যালো বলতেই রোনক বলেছিল, আমি ম্যাডাম৷
নীলা একটু থতমত খেয়ে বলে উঠেছিল, ঠিক চিনতে পারলাম না৷
মোবাইলের কন্ঠস্বর একগাল হেসে বলেছিল, আমি রোনক দত্ত৷ এবার চেনা গেল৷
নীলা তখন হেসে ফেলেছিল৷
-বলবেন তো৷ আসলে আপনার নাম্বার সেভ করা নেই বলে৷ আমি বুঝতে পারি নি৷
-সেটাই স্বাভাবিক৷
দুজনের কুশল বিনিময়ের পর, রোনকই কথা শুরু করেছিল৷ বলেছিল, ম্যাডাম আপনি সেদিন পার্টিতে বলছিলেন মাটির কাছাকাছি মানুষদের নিয়ে থাকতে আপনি ভালবাসেন৷ আপনাকে যদি সেরকম কিছু কাজ দিই, করবেন?
নীলা উৎসাহ নিয়ে বলে উঠেছিল, শিওর মিঃ দত্ত৷
রোনক সেদিন বলেছিল, আপনার তাহলে আমার সঙ্গে একবার দেখা করতে হবে৷
নীলা জানত অনীক আগামীকাল ট্যুরে যাবে৷ তাই বলেছিল, পরশুদিন দেখা করতে পারি৷ কিন্তু কোথায় ?
তারপর ঠিক হয়েছিল, সল্টলেকে পিএনবির পাশে যে কাফে কফি ডে আছে, ওখানে সন্ধে ছটার সময় ওরা মিট করবে৷ নীলার গর্ভে তখন সদ্য ভ্রুণের সঞ্চার ঘটেছে।
নীলা ঠিক ছটা পাঁচে গন্তব্যে পৌছে গিয়েছিল৷ রোনক এসেছিল কিছুক্ষণ পরে৷ তারপর রোনক নীলাকে জানিয়েছিল তার জীবনের খন্ড খন্ড ইতিহাস৷ রোনকের জন্ম আসানসোলে৷ বাবা মা কে সে জানে না৷ আসানসোলের এক অনাথ আশ্রম থেকে তাকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল৷ দত্তক নিয়েছিলেন কলকাতার নিঃসন্তান দম্পতি শিল্পপতি দত্ত সন্স এর মালিক রথীন দত্ত এবং তার স্ত্রী শোভা দত্ত৷ তারাই ওকে সন্তানের মর্যাদা দিয়ে পড়াশুনো শিখিয়ে বিদেশ যাত্রা করিয়ে আরও উচ্চশিক্ষিত করেছেন৷ কিন্তু ভাগ্যের বিপর্যয়ে এক সড়ক র্দুঘটনায় ওদের দুজনেরই মৃত্যু হয়৷ এখন পুরো ব্যবসাটা রোনককেই সামলাতে হয়৷
রোনক উলুবেড়িয়া এবং গড়িয়ায় অনাথ আশ্রম করেছে৷ সোনারপুরে সহায় সম্বলহীন বয়স্ক মানুষদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম করেছে৷ আর এখন ওর এক মানসিক রোগের ডাক্তার বন্ধুর সঙ্গে যৌথভাবে সংশোধনাগারে বন্দীদের জন্য কাজ করছে৷
এতক্ষণ নীলা মুগ্ধ হয়ে রোনকের কথা শুনছিল৷ এবার বলল, আমাকে কি মনে করে আজকে ডেকেছেন?
রোনক বলল, আপনাকে এর আগেও কয়েকটা পার্টিতে দেখেছি, আপনি সবার মাঝে থেকেও একটু অন্যরকম৷ তাই সেদিন আপনার সঙ্গে কথা বলে যখন আপনার পছন্দ বুঝলাম, তখন মনে হল আমার এই সামাজিক কর্মে আপনাকে যদি পাশে পাই৷
নীলা এবার হেসে ফেলল৷
রোনক বলল, মিসেস বোস আপনি মেইলে আমাকে আপনার সিভি পাঠিয়ে দেবেন৷
নীলা বলল, অবশ্যই মিঃ দত্ত৷
কথায় কথায় নীলা বলতে শুরু করল ওর জীবনের গল্প৷ সোসিওলজি নিয়ে এম. এ করেছে নীলা৷
জামশেদপুরে ওর পৈতৃক বাড়ি৷ বাবা রেলে চাকরি করতেন৷ নীলার বিয়ের দুবছরের মাথায় বাবা হার্ট এট্যাক হয়ে মারা গেলেন৷ নীলা একটাই মেয়ে৷ এখন জামশেদপুরে কাকার পরিবার থাকে৷ ওখানে এখন আর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ খালি টাকা, পার্টি, হৈ হুল্লোড় এসবই বোঝে অনীক৷ নীলার কোনও অভাবই রাখেনি অনীক৷ তবু নীলা কোথায় যেন নিজেকে বড় একা মনে করে৷ সেদিন রোনকের সঙ্গে নীলার আড্ডা এখানেই শেষ হল৷
সপ্তাহে তিনদিন করে অনীক অফিসে বেড়িয়ে গেলে নীলাও বেড়িয়ে পরে ৷ বারুইপুরের কাছে একটা অনাথ আশ্রমে নীলা বাচ্চাদের মধ্যে সময় কাটায়৷ মুক্তির স্বাদ নীলাকে ছুঁয়ে থাকে৷ অনাথ শিশুগুলোর মধ্যে নীলা ভালবাসার বীজ বপন করে৷ এই অল্প কদিনে ছেলে মেয়েগুলোও নীলাকে আপন করে নিয়েছে৷
ভালবাসা একটা নদী ৷ জলধারা প্রতিটা ঘাট অকৃপণভাবে ভিজিয়ে দিয়ে যায়৷ আর সিঁড়িগুলো অপেক্ষায় থাকে সেই শুদ্ধ সিঞ্চনের৷
অনাথ আশ্রমের ছেলেমেয়েগুলোও অপেক্ষায় থাকে নীলার আসার দিনটির জন্য৷
সেদিন ছেলে মেয়েগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নীলা বসে ওদের বিবেকানন্দর গল্প শোনাচ্ছে৷ বাচ্চাগুলো বড় বড় চোখে বিলের দুষ্টুমির গল্প শুনছে৷ সে সময়ে রোনক এল৷ রোনকের হাতে লজেন্সের প্যাকেট৷ অন্যদিন বাচ্চাগুলো রোনককে দেখে ছুটে আসে৷
রোনক দেখতে লাগল বাচ্চাগুলো মুগ্ধ হয়ে নীলার গল্প শুনছে৷
গল্প শেষ হতেই নীলা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল রোনক দাঁড়িয়ে আছে৷ নীলা রোনককে দেখে হেসে জিজ্ঞাসা করল, আরে রোনকবাবু কতক্ষণ এসেছেন ?
রোনক বলল অনেকক্ষণ৷
–আমাকে ডাকবেন তো?
রোনক বলল, না দেখলাম আপনি ওদের সুন্দর গল্প শোনাচ্ছেন৷ তাই আর ডাকলাম না৷
নীলা একটু লজ্জা পেল৷ রোনক নীলার হাতে লজেন্সের প্যাকেটটা দিয়ে বলল, আপনি ওদেরকে একটু লজেন্সগুলো দিয়ে দেবেন৷
নীলা লজেন্সের প্যাকেট থেকে লজেন্সগুলো নিয়ে বাচ্চাদের হাতে হাতে দিয়ে দিল৷
বাচ্চাগুলোর মুখে টুকরো টুকরো সুখ ছড়িয়ে পরল৷ সেই সুখের আভা রোনক আর নীলার মুখেও ছড়িয়ে পরল৷
বাচ্চাগুলো খেলায় ব্যস্ত হয়ে পরলে রোনক আর নীলা হাটতে হাটতে বাগানে এল৷ দেবদারুর গাছের তলায় শান বাঁধানো বসার জায়গায় দুজনে পাশাপাশি বসল৷
রোনক নীলাকে বলল, আপনি তো এই কয় মাসে বাচ্চাদের একদম বশ করে ফেলেছেন৷
নীলা হাসল৷
বাচ্চাদের মুখের নির্মল হাসিটা দেখলে মনে হয় জীবনে সব কিছুই পাওয়া হয়ে গেল৷
রোনক বলল, ঠিক বলেছেন৷ কিন্তু কজন সেকথা বুঝতে পারে বলুন৷ আর এই অনাথ বাচ্চাদের কথা কজনই বা ভাবে৷ অথচ দেখুন ,ওদের কোনও দাবী নেই৷ ছোট্ট ছোট্ট পাওয়াতেই ওরা খুশী৷
নীলা বলল, একদম৷ ওরা ভালবাসাটা খুব বোঝে জানেন৷ আমি তো ওদের জন্য কখনও কিছুই আনিনি৷ কিন্তু যে দিন থেকে ওদের গল্প বলা শুরু করলাম৷ সেদিন থেকেই ওরা আমাকে দেখলেই ছুট্টে আসে, শুধু গল্প শুনবে বলে৷ জানেন রোনকবাবু ওদের জন্য আমার রীতিমতন গল্পর উপর পড়াশুনো করতে হয়৷
—— বাঃ খুব ভাল৷ চলুন এবার একটু চা খাই৷
নীলা বলল, বেশ চলুন৷
চা পান শেষে নীলা বলল, রোনকবাবু এবার যে আমাকে যেতে হবে৷
রোনক বলল, চলুন আপনাকে আমি ছেড়ে দিই৷
নীলা বলল, আমি চলে যেতে পারব৷
রোনক বলল, আমি তো জানি আপনি যেতে পারবেন৷ তবু আপনাকে যদি আমি লিফ্ট দিই তাহলে কি কোনও অসুবিধা আছে?
নীলা আর আপত্তি করল না৷ কারন নীলা জানে এরপরে আর আপত্তি করা মানায় না৷
রোনক গাড়ি স্টার্ট দিল৷
পথে রোনক বলতে লাগল, জানেন যে দিন জানতে পারলাম, যারা আমাকে অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে এসে মানুষ করেছে তারা আমার জন্ম দেওয়া বাবা, মা নয়৷ সে দিন বুক ফেটে গিয়েছিল৷
নীলা বলল, কবে জানতে পারলেন ?
—-যখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি তখন জানতে পারলাম আমি দত্তক সন্তান৷ বাবা সেবার খুব অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন৷ বাবা কোনও দিনই তার কাগজপত্তর রাখার আলমারির চাবি কাউকে দেন না৷ কিন্তু সেবার তার বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা ছিল না৷ তাই বাধ্য হয়েই আমাকে বলেছিলেন, অডিট লেখা ফাইলটা নিয়ে আসতে৷ আমি আলমারি খুলে অডিট লেখা ফাইলটা বার করে আলমারির পাল্লাটা বন্ধ করতে যাব, তখন আলমারির ওপরের তাক থেকে একটা লাল রঙের ফাইল আমার পায়ের কাছে এসে পরল। আমি ফাইলের উপর আশ্রমের নাম এবং আমার জন্মের বছর লেখা দেখে কৌতুহল বশতঃ ফাইলটা খুলে দেখি, তখনই সব জানতে পারি৷
—-তারপর ? নীলা জানতে চায়৷
—-তারপর বাবাকে অডিটের ফাইলটা দিয়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ গুঁজে খুব কেঁদেছিলাম৷
কতক্ষণ এভাবে কেঁদেছিলাম আজ আর মনে নেই, তবে কিছুক্ষণ পর মা এসে দরজা ধাক্কাতে দরজা খুলেছিলাম৷ মা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বলেছিল, একদিন তোকে সবই বলতাম তবে তুই জেনে গিয়েছিস ভালই হয়েছে৷
আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, আমি তো তোমাকে কিছু বলিনি, তুমি জানলে কি করে?
মা তখন আরও বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, সত্যিকারের মায়েরা সন্তানের কিছু হলে সব বুঝতে পারে৷ ভেবে দেখ তুই যার পেটে হয়েছিস, তুই তাকে দেখিসই নি৷ আর আমার পেটে কোনও বাচ্চাই হয় নি৷ তা বলে কি তুই আমার সত্যিকারের ছেলে না?
আমি তখন মাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, হ্যা তুমিই আমার সত্যিকারের মা৷
তারপর আর মনে কোনও কষ্ট ছিল না৷
পরে মা বলেছিলেন, আমি তোকে দেখতে না পেয়ে তোর খোঁজে তোর বাবাকে জিজ্ঞাসা করি, তখন তোর বাবা আমাকে বলল, ওকে আলমারি খুলে অডিটের ফাইলটা দিয়ে যেতে বলি, ও আমাকে অডিটের ফাইলটা দিয়ে চলে গেল৷ যখন তোর ঘরের সামনে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখি, তখনই আমার সন্দেহ হয়৷ আর দরজা খোলার পর তোর লাল চোখ দেখেই সব বুঝতে পারি৷ আমি যে তোর সত্যিকারের মা রে৷
তারপর বাবাকে মা সব বলেছিলেন। কিন্তু বাবা এই নিয়ে কোনওদিন কোনও কথা বলেন নি৷ আসলে এই বিষয়টা নিয়ে আর কোনওদিনই কোনও কথা হয়নি৷
কথায় কথায় নীলার বাড়ি চলে এল৷ রোনক হাল্কা ব্রেক চেপে গাড়ি থামাল৷ নীলা হাত নাড়িয়ে গাড়ি থেকে নেমে পরল৷
বাড়িতে ঢুকে ফ্রেস হবার জন্য নীলা বাথরুমে ঢুকল৷ শাওয়ারের তলায় স্নান সেরে মিনতি মাসিকে চা বানাতে বলল৷ একটু খিদে খিদেও পাচ্ছিল, তাই মিনতি মাসিকে জিজ্ঞাসা করল, মাসি কিছু খাবার আছে?
মাসী প্লেটে করে ডালিয়ার খিচুড়ি নিয়ে এল৷
নীলা চামচে অল্প অল্প করে খিচুড়ি নিয়ে মুখে পুরল৷ তারপর জলের বোতল থেকে জল গলায় ঢেলে চায়ের কাপে চুমুক দিল৷
আজকে মনটা বেশ লাগছে৷ রোনকের মধ্যে কিরকম একটা মায়াবী মন আছে৷ মানুষের জন্য কত ভাবে৷
অথচ অনীক এই কয় বছরে নীলার মনটাকে ছুঁয়েই দেখল না৷ শুধু রাতের বেলা অভ্যেস করে শরীরের প্রবৃত্তি মেটানো ছাড়া দুজনের মধ্যে আর কিছুই নেই৷ নীলার তাতে মনের কতটা সায় আছে তার খবর অনীকের জানা নেই৷
আগামীকাল অনীক ট্যুর থেকে ফিরবে৷ নীলা এখনও তার গড়িয়ায় যাবার ব্যাপারে আনীককে কিছু বলেনি৷ কারণ নীলা জানে অনীক এতে আপত্তি করবে৷ অনীক কখনও চায় না নীলা বাড়ির বাইরে পা দিক৷ সব সময়ই নীলাকে অনীক ডমিনেট করে৷ নীলার কোনও কাজেই অনীক কখনওই প্রশংসা করে না৷ উল্টে নীলার সব কাজেই খুঁত ধরে বেড়ায়৷ অথচ অনীক যখন কলকাতায় থাকে অনীকের যাতে কোনও অসুবিধা হয় না নীলা সেদিকে সচেষ্ট থাকে৷
তবু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অনীক নীলার সঙ্গে খিটমিট করত৷ কল্যাণী খুবই ভালো মানুষ।
তিনি নীলাকে বোঝেন। তাই নীলা যাবার আগে কল্যাণীকে সব বলে গিয়েছিল। কল্যাণী শুনে বলেছিলেন, বেশ তো ভালো কাজেই তো যাচ্ছো। তবে আমি তো আমার ছেলেকে চিনি। এখনই কিছু বলতে যেও না। শুধু শুধু অশান্তি হবে। তাতে কাজ পন্ড হবে। তবে সাবধানে চলাফেরা করবে। আর এই সময়ে মনকে আনন্দে রাখবে। সেই সঙ্গে সে ট্যাক্সি ভাড়া হাতে গুজে দিয়েছিল।
চলবে…
কৃষ্ণা গুহ রয়- উপন্যাসিক, কবি। পশ্চিমবঙ্গ
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান