মেয়েটি, কেবলমাত্র একটি মেয়ে নয়;
মেয়েটি, সমগ্র ভারতবর্ষের প্রতিচ্ছবি;
মেয়েটির নাম রেণু খাতুন;
ভারতবর্ষ, কেবল একটি দেশের নাম নয়;
ভারতবর্ষ, একটি সভ্যতার নাম;
যে সভ্যতায় মেয়েরা যতটা স্বাধীন,
ঠিক ততটাই পরাধীন স্বামীর কাছে,
সংসারের কাছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে;
অথচ, কি সুন্দর ভাবে শুনিয়ে চলেছে
স্বপ্ন দেখেছিল রেণু খাতুন;
বড় হওয়ার স্বপ্ন, স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন;
সেই স্বপ্ন কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি
তার স্বামী-পুরুষ;
পুরুষ কখনও মেনে নিতে রাজি নয়
প্রকৃতির বিশালতা;
তার ইচ্ছা-ডানা …
সে কারণেই কেটে নেওয়া হলো
এ দেশ কেটে নিতে পারে নারীর অঙ্গ, প্ৰতঙ্গ,
স্বপ্ন …
এমন কি, জীবনও …
যে দেশ অহল্যাকে পাষাণ করে রাখতে পারে,
যে দেশ দেবী সীতাকে পাতাল প্রবেশ করায়,
যে দেশ পঞ্চালীকে পাশা খেলার দান ধরে,
যে দেশ বাগসিদ্ধ খনার জিভ কেটে নেয়,
সে দেশের স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী আর কি আশা করতে পারে!
রেণু খাতুন বড় সহজ-সরল মেয়ে;
ভারতবর্ষের প্রতিটি মেয়ে বড় সহজ-সরল;
তা না হলে কেবলমাত্র হৃদয়ের টানে, ভালবাসার টানে,
বাবা-মাকে ছেড়ে প্রেমিক-পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধে!
সংসারের হাল ধরতে কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখে!
যখনই সেই স্বপ্ন বাস্তবের রূপ পেতে শুরু করলো,
তখনই সেই প্রেমিক-পুরুষ, সেই স্বামী-পুরুষ
পৌরষত্ব দেখাতে কেটে নিলো হাতটা,
নারীর আকাশ চুম্বী স্বপ্নটা …
পুরুষ স্বপ্ন দেখাতে জানে;
অথচ, পারে না বাস্তবকে মেনে নিতে;
ভারতবর্ষ, কেবলমাত্র সনাতন পরম্পরার দেশ নয়,
ভারতবর্ষ, উত্তর আধুনিকতার আরেক নাম;
তবুও, এখানে নারী বলী প্রদত্ত আজও …