ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন হাসির ঝলক-গল্প

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন হাসির ঝলক-গল্প


নম্বর
মেয়েটি বলল, কাল তো প্রপোজ ডে ছিল…
ছেলেটি বলল, হ্যাঁ।
— তোমাকে কত জন মেয়ে প্রপোজ করল?
— সতেরো জন।
মেয়েটি বলল, তুমি নিশ্চয়ই কাউকে হ্যাঁ বলোনি, না?
ছেলেটি বলল, কী করে বলব? তোমার মতো এত মিষ্টি কেউ ছিল না তো!
মেয়েটি বলল, আই লাভ ইউ।
ছেলেটি হাঁটতে শুরু করার আগেই বলল, তুমি আঠারো।
—————————
পাগল
ছেলেটি এসে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, আপনাকে একটা প্রশ্ন করব? আপনি শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-এ উত্তর দেবেন, কেমন?
মেয়েটি মাথা কাত করে সম্মতি জানাল।
ছেলেটি বলল, আপনার বাড়ির লোক কি জানে যে, আপনি পাগল?
—————————
সৎ এবং সত্যবাদী
স্বামী তাঁর বউকে জিজ্ঞেস করল, আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, সৎ এবং সত্যবাদী মানুষ আমি চিনব কী করে?
স্ত্রী বলল, খুব সোজা। যার মাথায় দেখবে টাক পড়ে গেছে কিংবা টাক পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে, জানবে সে-ই সৎ এবং সত্যবাদী।
জীবনে নতুন কিছু যেন আবিষ্কার করে ফেলেছে এমন ভঙ্গিমায় স্বামী বলল, ও, তাই বলো, আমি আজ বুঝতে পারলাম মেয়েদের মাথায় এত লম্বা লম্বা চুল কেন!
—————————
দুধওয়ালা
বোন এসে বলল, দাদা আমাকে একশো টাকা দে না।
দাদা বলল, আমার কাছে টাকা নেই।
বোন বলল, তুই যদি টাকাটা দিস, তা হলে আজ সকালে দুধ দিতে এসে দুধওয়ালা ছেলেটা বউদিকে কী বলছে তোকে সেটা বলব।
দাদা অবাক। শেষ পর্যন্ত দুধওয়ালার সঙ্গেও! সঙ্গে সঙ্গে একটা একশো টাকার নোট বের করে দাদা বলল, এই নে, বল।
বোন বলল, আমি শুনলাম বউদিকে দুধওয়ালা বলছে, এই মাসের মধ্যে যদি বাকি টাকা না মেটান তা হলে কিন্তু দুধ দেওয়া বন্ধ করে দেব।
————————
কে
ছেলেটিকে দেখেই মেয়েটি বলল, আরে, কেমন আছ? কোথায় যাচ্ছ?
ছেলেটি বলল, আপনি কে?
মেয়েটি বলল, আমাকে চিনতে পারছ না? আমি রিচা।
ছেলেটি বলল, কে রিচা?
মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে বলল, ও, দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও। বলেই, কাঁধের ব্যাগ থেকে বের করে মাস্কটা মুখে পরে নিল। আর মাস্কটা পরতেই ছেলেটি লাফিয়ে উঠল, আরে তুমি?
————————
কাকে মারবেন
মেয়েটিকে স্কুটি চালানো মোটামুটি শিখিয়ে দেওয়ার পর ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, ধরুন আপনার সামনে ডান দিকে দাঁড়িয়ে আছে আপনার মা আর বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে আছে আপনার শাশুড়ি। আপনি কাকে মারবেন?
মেয়েটি বলল, শাশুড়িকে।
ছেলেটি তিতিবিরক্ত হয়ে বলল, আরে বাবা, এতবার ধরে বলছি, আপনি বুঝতে পারছেন না? ব্রেক মারবেন, ব্রেক।



সংবাদটি শেয়ার করুন