প্রবাসের সংবাদ

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
ওয়াশিংটন ডি.সি: স্বাধীনতাযুদ্ধের লক্ষ শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শান্তি ও প্রগতির আবাসভ‚মি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ, মিনিস্টার  (প্রেস) শামিম আহমদ, মিনিস্টার (ইকনমিক) মেহেদী হাসান এবং মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্তে¡ও বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ, কর্মকর্তা এবং আমেরিকার জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেন বর্তমান প্রশাসনের সময় এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আশ্রয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক এবং মাননিকভাবে সাহায্য করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাবে যাতে করে দু’দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবাধ মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান অর্জন করতে পারে। অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। করোনা ভাইরাস থেকে মানজাতিকে রক্ষার জন্যও আল্লাহর অশেষ কৃপা কামনা করা হয়। প্রথম সচিব এবং চ্যান্সারী প্রধান মো: মাহমুদুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 14 =