সোশ্যাল মিডিয়া

“তুই রাজাকার- তুই চোর “

ফেসবুকের পাতা থেকে।। লিখেছেন রোকেয়া পারভীন

“তুই রাজাকার- তুই চোর ” ।। কানাডা আছি প্রায় ২২ বছর। আমরা যখন এসেছি তখন ইন্টারনেট ছিল কিন্তু ফেসবুক ছিল না, আর কমিউনিটির খবর জানতে হলে ২ টা পত্রিকা ছিল,আর তা পাওয়া যেত ড্যানফোর্থ এ বাংগালী দোকানে। টাকা দিয়ে কিনতে হতো। জীবন এতো সহজ ছিল না এখানে। কিছু মানুষ হয়ত অল্প চেষ্টায় কোন চাকুরী বা কাজ খুজে পেয়েছেন আর কিছু মানুষ বছরের পর বছর নিজের প্রফেশনে কাজ পাননি,আবার পড়াশোনা করেও অনেকের চাকুরী হয়নি। স্বামী স্ত্রী রাতদিন পরিশ্রম করেছেন শুধু নিজেরা বাচার জন্য আর দেশের প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে।

শতভাগ সত জীবন যাপনের কথা যদি বলেন এখানে মানুষ করতে পারে। তারপরেও কিছু মানুষ আছেন তারা এদেশের গভঃ বাড়ী পেয়ে, ওয়েল ফেয়ার নিয়ে থাকে আজীবন, তারা আবার বিভিন্ন ধান্ধায় পয়সা বানায়। ট্যাক্স ফাকি দেয়া যায় এমন আন্ডার দা টেবিলে কাজ করে।
এই গ্রুপে পাকিস্তান,বাংলাদেশ,ইণ্ডিয়ান,আফগানীরা প্রথম লাইনে আছে। আর যা হোক তারা দেশে টাকা পাঠায়, বাড়ী ঘর বানায়। এরা দেশের জন্য করে কিছু।

আরেক গ্রুপ আছে দেশ থেকে নগদ টাকা এনে এখানে বসে বসে খায়, ৩/৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়ী কিনে, ব্যাবসা কিনে। তাদের আবার একটা গ্রুপ আছে যারা তাদের পদ লেহন করে, তারা জ্বি হুজুর। ব্রান্ডে

স্বামী, স্ত্রী দুজনেই চাকুরী করি, আমি আমার রেগুলার জবের পরেও এক্সট্রা কাজ করি ( যেটা দিয়ে আমি দেশে কিছু মানুষকে সাহায্য করতে চেষ্টা করি) , ছোট এক্টা বাসার মর্টগেজ, বিভিন্ন বিল পে করতেই এক্সেক শেষ । হ্যা বাচ্চারা পড়াশুনা করেছে হাজার হাজার ড লার লোন নিয়ে। তারা ইন্টারেস্ট সহ পে করছে। আমাদের পড়াশুনার লোন ও শোধ করেছি আমরা। আর দেশে আত্মীয় স্বজনরা যাতে এক টু ভালো থাকে সে টুকু করতে পারি। তবে আলহামদুলিল্লাহ মাইনাস ২০ কাজে গিয়েও শান্তিতে আছি, হালাল খাই, সত্য কথা বলি, পরিশ্রম করি। দেশে ব লার ম তো কোন সম্পত্তি নাই। সন্তানরা আমাদের সম্পদ, মানুষ হ য়েছে, শুধু ডিগ্রীতে ন য়, মানবিকতায় ও।

অবৈধ টাকা যাদের আছে কিভাবে বুঝবোঃ

তাদের ছেলে মেয়ে দেশের বাইরে পড়তে পাঠায়। ( কানাডা,আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়ায়) একজন ছাত্রের টিউশন ফি যদি হয় ১০ হাজার ডলার প্রতি সেমিস্টারে সেখানে ফ রেন স্টুডেন্টদের ২৫ থেকে ৩০ হাজার ডলার, এর উপর আছে থাকা, খাওয়া আর যাতায়াত।এইসব টাকা কি শুধু বেতনের বা ব্যবসার টাকা দিয়ে চালানো সম্ভব?

তারা নিজেরা আসে ছেলে মেয়েদের ভিজিট রতে বছরে ২/৩ বার। টাকা এদের কাছে গাছের গোটা!!

৮/১০ টা বাড়ী,৫/৬ ব্রান্ডের গাড়ী, বিদেশে বাড়ী এসব টাকা পায় কোথায়?
এদের মধ্য শুধু রাজনীতি বিদেরাই নয় আছে ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মচারী, সচিব, মহাসচিবেরা।

কিছু ছেলে মেয়ে আছে নিজেদের যোগ্যতা আর চেষ্টায় আসে । তারা সারাদিন লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাংগালী গ্রোসারি আর রেস্টুরেন্টে কাজ করে। এদের জন্য ১০০% সহযোগিতা আর শুভকামনা রইলো।

বাংলাদেশ থেকে যত ছেলে মেয়ে বাইরে আসবে আমাদের জন্য ততো ভালো। আমরা আশা করি শিক্ষিত, কর্মদক্ষ মানুষ দেশের বাইরে আসুক।

কিন্তু এখন যেভাবে ২ নাম্বার লোকজন আসছে তাদের ছেলে মেয়েরা এদেশ গুলোকে নষ্ট করে ফেলবে। এরা হারাম পয়সা দিয়ে অমানুষ হয়। ভয়টা সেখানেই, এই অমানুষ গুলো দেশের টাকা পাচার করে দেশের ক্ষতি করে আবার বিদেশে অন্যদের দূর্নীতি করার উৎসাহ দিবে।

আর নয় এখনই জেগে উঠুন সবাই। দূর্নীতিকে না দূর্নীতিবাজদের বয়কট করি। আগামী বরিবার বেলা ২ঃ৩০ টরোন্টোর ড্যানফোর্থ এ এদের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন হবে। এদের চিহ্নত করে জানিয়ে দিতে হবে সেই পাখীর মতো “তুই রাজাকার- তুই চোর “।

এদের রাজকীয় বাড়ী, কাজের লোক ও আছে এদের!!

 

 

আরও পড়ুনঃ ১৬ দিনে সৌদি থেকে খালি হাতে ফিরলেন দেড় হাজার প্রবাসী

আরও পড়ুনঃ পর্নো সাইটে চাকরির প্রস্তাব পেলেন রাজপরিবারের বধূ মেগান!

আরও পড়ুনঃ প্রবাসী ড. শাহ আসাদুজ্জামান আর নেই

আরও পড়ুনঃ আফগান অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের প্রধান হলেন এক নারী

আরও পড়ুনঃ শুধু শিশুকে নিয়ে ছেড়ে দিল ট্রেন

আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করছে ইরান

আরও পড়ুনঃ বাবার সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ!

আরও পড়ুনঃ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন আমেরিকা প্রবাসী

আরও পড়ুনঃ বিল গেটসের ব্লগে সমীর-সেঁজুতি

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণী

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের নদী থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

আরও পড়ুনঃ ৩০০ কোটি টাকা মেরে কানাডায়

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =