দেশের সংবাদ ফিচার্ড

আব্দুস শহীদের মন্ত্রী হওয়ার খবরে মৌলভীবাজারে আনন্দ-উল্লাস

আব্দুস শহীদের মন্ত্রী হওয়ার খবরে মৌলভীবাজারে আনন্দউল্লাস

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মন্ত্রী হচ্ছেন। তাঁর মন্ত্রী হওয়ার খবরে মৌলভীবাজার জেলাসহ তাঁর নির্বাচনি এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা।

আব্দুস শহীদ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার খবরে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) ২টি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস।

মৌলভীবাজার-৪ সংসদীয় (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একটানা এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৭৩ সালে জেলার কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি প্যানেল স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ৭ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তিনি ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যান্য এমপির সঙ্গে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ গ্রহণ করেন আব্দুস শহীদও। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পেলেন সুখবর। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা।

বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ড. মো. আব্দুস শহীদ মন্ত্রী হচ্ছেন- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব নতুন মন্ত্রী শপথ নিতে যাচ্ছেন সেই তালিকায় আব্দুস শহীদের নাম থাকায় দলীয় নেতাকর্মীসহ এ সংসদীয় আসনের আম জনতার মধ্যে উৎফুল্লতা দেখা যায়। পরে নতুন মন্ত্রিসভার নামের তালিকায় তাঁর নাম বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় এ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের মানুষ আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মন্ত্রী করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছেন উল্লেখ করে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘কোন মন্ত্রণালয় মিলছে তা এখনো জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বন্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন