দেশের সংবাদ

এবার ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে

এবার ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে

 

এবার ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। এছাড়া অন্যান্য মসজিদেও ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনে মসজিদগুলোতে হবে একাধিক জামাত। এরই মধ্যে দেশের সব মসজিদে পৌঁছে গেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা।

প্রতি বছর ঈদের জামায়েত খোলা ময়দানে হলেও এবারই প্রথম করোনায় বদলে গেছে চিত্র। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে ঈদের জামাত হবে মসজিদগুলোতে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন দশ দফা নিদের্শনা মেনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদের জামাতের। সব মসজিদে করা হবে একাধিক ঈদের জামাত। মসজিদে ঢুকতে থাকছে জীবানুনাশক ব্যবস্থা।

এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকেও ঈদের জামাত আদায়ে থাকছে ১৪ দফা নির্দেশনা। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসল্লিরাও।

এদিকে সারা দেশের সব মসজিদকে নিয়ম মানার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নিয়মের ব্যত্যয় গঠলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি তাদের।

একজন কর্মকর্তা জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেকটা জেলা প্রশাসনে চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুসারেই নামাজ হবে।

 

ঈদে ঢাকার মানুষ বাড়ি গিয়ে ভালো এলাকাতেও ছড়াবে করোনা

ঈদকে ঘিরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা শঙ্কা বাড়াচ্ছে ব্যাপক হারে কোভিড ১৯ সংক্রমণের। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকা রাজধানী ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ক্রমেই ঝুকিঁপূর্ণ করে তুলছে কম আক্রান্ত জেলাগুলোকে।এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেয়া গাইডলাইনের সঙ্গে প্রশাসনের বর্তমান ভূমিকাও সাংঘর্ষিক বলে মত জাতীয় পরামর্শক কমিটির এক সদস্যের। যদিও পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, জনস্বার্থে সরকারের নির্দেশনা মেনেই সব কিছু করা হচ্ছে।

আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন, মে মাসে দেশে ব্যাপক হারে বাড়বে কোভিড ১৯ সংক্রমণ। বাস্তব চিত্রও মিলছে সেই পূর্বাভাসের সঙ্গে। দেশের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি শনাক্ত হয়েছেন গত ২ সপ্তাহে। প্রায় প্রতিদিনই গড়ছে আক্রান্ত কিংবা মৃতের কোনো না কোনো রেকর্ড।

এ অবস্থায় যখন প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা, তখনই আসছে শিথিলতা। ইফতার বাজারের অনুমতি, ঈদ সামনে রেখে শপিংমল খোলা, সবশেষ পুলিশের চেকপোস্ট সরিয়ে বাধাহীন যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া, রাস্তায়-ফেরিঘাটে ভিড়-সমন্বয়হীনতার নজির উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এখনের কর্মকাণ্ড সাংঘর্ষিক। আমাদের পলিসির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বটে। এতে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়বে।

আইইডিসিআর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, দশ দিন আগের ঢেউ এখন লাগছে। দিন দিন মৃত্যু আর আক্রান্ত বাড়ছে। এতে করে সারা দেশে আমরা ছড়িয়ে দিয়েছি।

দেশে কোভিড নাইন্টিনে মোট শনাক্ত ৩০ হাজার ছাড়ালেও এখনো ৪৪ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নিচে রয়েছে। আর মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি রাজধানী ঢাকায়। এই অবস্থায় মানুষের ঢাকা ছাড়ার ঢল তুলনামূলক কম আক্রান্ত জেলাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে এখন যদি যায়, এসব লোক অন্য ভালো এলাকায় ছড়িয়ে যাবে। মানে বীজ বোনা হয়ে যাবে।

যদিও পুলিশ বলছে, বাস্তবতার পরিপেক্ষিতে সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা এনেছেন তারা।

সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। জনস্বার্থেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।

ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নিকটবর্তী মসজিদে ঈদের জামাতের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রঃ সময় নিউজ

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন