ফিচার্ড মত-মতান্তর

করোনার কারণে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ন্যাটো ঘরে বসে বাকযুদ্ধ করবে! 

বাংলাদেশের-ভবিষ্যৎ-কি

করোনার কারণে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ন্যাটো ঘরে বসে বাকযুদ্ধ করবে

শিতাংশু গুহ, ৬ই মার্চ ২০২২, নিউইয়র্ক।। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চট্জলদি শেষ হয়ে যাবে বলে যাঁরা ভেবেছেন, তাঁরা এখন চিন্তিত, যুদ্ধ কি গড়াবে বা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে না দীর্ঘস্থায়ী হবে? রাশিয়া ও ফ্রান্সের পাল্টাপাল্টি পারমাণবিক সমরাস্ত্র ব্যবহারের হুমকী পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের চিন্তাকে দুশ্চিন্তায় পরিণত করেছে। পুটিন বলেছেন, কোন দেশ ইউক্রেনের ওপর বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে মস্কো তা সরাসরি সামরিক সংঘাত বলে মনে করবে। ন্যাটো বলেছে, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোন ইচ্ছে তাঁদের নেই। যাঁরা ভেবেছেন যে, ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে, তারাও হতাশ হচ্ছেন। তারা বুঝতে চাননি যে, ন্যাটো করোনা’র কারণে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে বাকযুদ্ধ করবে!  

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কি ঠিক যুদ্ধ, নাকি যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা? পুটিন কি করতে চাচ্ছেন? ইতিমধ্যে তিনি ইউক্রেনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং চেরনোবিলসহ ইউরোপের বৃহৎ পারমাণবিক স্থাপনা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন। ইউক্রেনে ১৫টি পারমাণবিক কেন্দ্র আছে, হয়তো তিনি সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বা নেবেন। অনেকে ভেবেছেন যে, পুটিন সহজে ইউক্রেন দখল করবেন এবং দেশটিকে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করবেন। রাশিয়া তা করছে না, বরং গুটি গুটি পায়ে এগুচ্ছে। পুটিনের লক্ষ্য হয়তো ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করা বা নিরপেক্ষ করা। রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সুইজারল্যান্ডের মত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায়? বিশ্বের সব ধরনের সংঘাতে সবসময় নিরপেক্ষ থাকা ইউরোপীয় দেশ সুইজারল্যান্ড এবার ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান ত্যাগ করে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

রাশিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো দখল নেয়ার কারণ হয়তো ওগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া যাতে ভবিষ্যতে সেগুলো কখনো পারমাণবিক সমরাস্ত্র তৈরীতে সক্ষম না হয়। রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনকে দুর্বল করার জন্যে তিনভাগে বিভক্ত করবে এবং কিয়েভে মস্কোপন্থী সরকার বসাবে? স্মর্তব্য যে, আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত ইউক্রেনের সাবেক মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। রাশিয়া সফলভাবে  ইউক্রেনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভেঙ্গে দিয়েছে। কিউবায় যে কারণে আমেরিকা ওয়ারশ’র সমরাস্ত্র ঘাঁটি করতে দেয়নি, একই কারণে রাশিয়া তাঁর দোরগোড়ায় ন্যাটোর ঘাঁটি গড়তে দেবেনা। হয়তো এ কারণে যুদ্ধ শুরুর পূর্বাহ্নে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।

ইউক্রেনে রাশিয়া কি করবে-এটি কঠিন প্রশ্ন? আফগানিস্তানের কথা রাশিয়া ভুলে যায়নি, সেখানে আমেরিকা নিজে যুদ্ধ জড়ায়নি, মুজাহীনদের দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে, ইউক্রেনে কি তাই হবে? পর্বত সংকুল আফগানিস্তান আর ইউক্রেন এক নয়? এবারো আমেরিকা বা ন্যাটো যুদ্ধে যাবেনা, ইউক্রেনিয়ানদের নিয়ে গেরিলা যুদ্ধ চালাবে? ইতিমধ্যে প্রায় ১৫লক্ষ ইউক্রেনিয়ান দেশ ছেড়েছেন, অধিকাংশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। মিডিয়া জানাচ্ছে, এদের কেউ কেউ নাকি গেরিলা যুদ্ধ করতে দেশে ফিরে গেছেন? পুটিন বলেছেন, ইউক্রেন জনগণের কান্নায় তিনি বিচলিত নন, কারণ তিনি ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তানের মানুষের কান্না দেখে বড় হয়েছেন? ইউরোপিয়ানদের খণ্ডিত মানবতার জন্যে মায়াকান্নার তিনি ধিক্কার জানান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেন্সকি পুনরায় সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি হেরে গেলে আপনারাও হেরে যাবেন’। এই যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেন্সকি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তিনি ইহুদী প্রচারিত হওয়ায় অনেকে থমকে যাচ্ছেন? তাঁর বিপক্ষেও মানুষ অনেক, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, শিল্পী দিয়ে রাষ্ট্র চলেনা! জেলেনস্কি একদা কমেডিয়ান ছিলেন। বিরুদ্ধবাদীরা বলছেন, জেলেনস্কি কার্যত: ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দিলেন। দুর্বল ইউক্রেনকে শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়ে মিত্ররা কেটে পড়েছেন? জেলেনস্কি এখন একা? মাঝে-মধ্যে গুজব রটছে যে তিনি পালিয়ে গেছেন? তাঁর শেষরক্ষা হবে বলে মনে হয়না, যুদ্ধশেষে ইউক্রেনে যিনিই ক্ষমতাসীন হ’ন না কেন, তাঁর রাশিয়ার সাথে আপোষ করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না? মিত্ররা টাকা-পয়সা দিচ্ছে, অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে, তাতে শেষরক্ষা হবে কি?

যাঁরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন, তাঁরা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুটিনের পরাজয় দেখতে পাচ্ছেন? তা কি সম্ভব? এ যুদ্ধে রাশিয়া হারবে? তেমন ঘটলে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ওয়ারশ জোটের পতনের পর সেটি হবে রাশিয়ার জন্যে আর এক বিপর্যয়কর অধ্যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার জন্যে মিখাইল গর্বাচেভ ও ইয়েলিৎসিন-কে দায়ী করা হয়, পুটিন কি রাশিয়াকে ন্যাটো’র হাতে তুলে দেবেন? মিডিয়ায় অনেক অবিশ্বাস্য সংবাদ আসছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন-কে ‘হাসিয়া উড়াইয়া’ দেয়াটা ঠিক হবেনা। তিনি প্রায়শ: বলে থাকেন, ‘যে পৃথিবীতে রাশিয়া থাকবে না, সেই পৃথিবীর অস্তিত্বের প্রয়োজন কি? ১৯৯৯ সালে পুটিন চেচ্নিয়াকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। ২০০৮-এ নির্মমভাবে জর্জিয়াকে কচুকাটা করে। ইউক্রেনের এখন ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। মিত্ররা জেলেনস্কিকে মই বেয়ে উপরে উঠিয়ে দিয়েছে, পুটিন এখন টেনে-হিঁচড়ে নামাবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর বাৎসরিক ‘ষ্টেট অফ দি ইউনিয়ন’ ভাষণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সর্বাত্মক ঐক্যের আহবান জানিয়ে বলেছেন, পুটিন এখন একঘরে হয়ে গেছেন। এরমধ্যে যুদ্ধকালীন সময়ে নরেন্দ্র মোদী ও পুটিন টেলিফোনে কথা বলেছেন। সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যে ৬ঘন্টা যুদ্ধবিরতি হয়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরাও অনেকে এ সময়ে ইউক্রেন ছাড়ে। মিডিয়া জানায়, ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা এক পাকিস্থানী ছাত্র শুক্রবার পেশোয়ারে শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধারে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বা ভারত ভোটদানে বিরত ছিলো, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এতে কি আমেরিকা ক্ষ্যাপবে? সম্ভবত: নয়, কারণ আমেরিকার কাছে ভারতের প্রয়োজন আছে।

রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমেছে৷ সাময়িক ক্ষতি পোষাতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘কী ইন্টারেস্ট রেট’ সাড়ে নয় শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে৷ এ মুহূর্তে আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক স্যাংশন দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ব্যক্তি পুটিন ও তাঁর ‘ইনার সার্কেল’-র বিরুদ্ধেও স্যাংশন হচ্ছে। যুদ্ধে যাওয়ার আগে কি রাশিয়া এসব ভাবেনি? নিশ্চয় ভেবেছে, এর ডিপোজিট অর্থের পরিমান ৬৩০ বিলিয়ন ডলার। ইইউ যতই অর্থনৈতিক স্যাংশন দিক না কেন, নিজেদের প্রয়োজনেই এঁরা বেশিদিন তা চালু রাখতে পারবেনা। রাশিয়া সারা পৃথিবীতে ১০% এবং ইউরোপে ২০% তেল ও ৩০% গ্যাস সাপ্লাই দেয়, অর্থনৈতিক অবরোধে এসব বন্ধ হয়ে গেলে ইউরোপ, বিশেষত: বাল্টিক দেশগুলো সমস্যায় পড়বে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা চলছে, যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে কথা হচ্ছে, যুদ্ধও চলছে। বেলারুস এ যুদ্ধে সরাসরি রাশিয়ার পক্ষে নেমেছে। বৃটেন, জার্মানী, কানাডা, স্পেনসহ ৩৬টি দেশ আকাশসীমা বন্ধ করেছে। ওয়াশিংটন-মস্কো হটলাইন চালু হয়েছে।

অনেকে এ যুদ্ধকে হিটলারের চেকোশ্লাভাকিয়া দখলের সাথে তুলনা করতে চাইছেন, এবং পুটিন-কে হিটলার? ঐ অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে ২০১৫ সালে মস্কো-ইউক্রেন ‘মিনস্ক চুক্তি’ স্বাক্ষর করে, এক্ষণে ওই চুক্তি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ যুদ্ধে জাতিসংঘ একটি ‘অনাথ আশ্রমের’ ভূমিকা পালন করে। এ সময়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নটি হচ্ছে, ১৯৯৪ সালে ইউক্রেন যদি এর পারমাণবিক সমরাস্ত্র ধ্বংশ না করতো তাহলে কি এঘটনা ঘটতো? সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর ইউক্রেন আপনাআপনি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে যায়। কিন্তু অর্থাভাবে পারমাণবিক সমরাস্ত্র রক্ষনাবেক্ষন অসম্ভব হয়ে পরে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ তখন পরামর্শ দেয় ঐসব সমরাস্ত্র ধ্বংশ করে ফেলতে। একই সাথে এঁরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা-সারভৌমত্বের গ্যারান্টি দেয়। ইউক্রেন এর সকল পারমাণবিক সমরাস্ত্র ধ্বংশ করে দেয়। গ্যারান্টি দেয়া একটি দেশ রাশিয়া এখন ইউক্রেন গিলে খাচ্ছে, অন্যরা কেটে পড়েছে?

ট্রাম্প বলেছেন, আমি থাকলে এমনটা ঘটতো না? আমেরিকানরা ইউক্রেনে ব্যর্থতার জন্যে বাইডেনকে দায়ী করছেন, বলছেন, অতিবৃদ্ধ বাইডেন এতবড় আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবেলার সামর্থ নেই। বাইডেন অবাস্তব স্বর্গীয় ভালবাসার গল্প শোনাচ্ছেন। উল্টো বক্তব্যও আছে। ইউরোপ-আমেরিকা স্যাংশন জোরদার করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব নিষেধাজ্ঞায় তেমন প্রভাব ফেলবে কি? আমেরিকা কি পুটিন সাম্রাজ্যকে ভেনিজুয়েলার মত ‘ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’ হিসাবে গণ্য করতে পারবে? যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আমেরিকায় তেলের দাম হুহু করে বেড়ে চলেছে। নিত্য পণ্যের দাম আকাশ-ছোয়া। নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। অপর একটি মত হচ্ছে, এ যুদ্ধে সবচেয়ে লাভবান হবে আমেরিকা। অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে রাশিয়া দুর্বল হবে, ইউরোপ পিছিয়ে পড়বে। লাভ আমেরিকার। অন্যভাবে চিন্তা করলে  রাশিয়া ও ইউক্রেন যদি ইইউ বা ন্যাটোতে ঢুকে পরে বা তাদের নেয়া হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমেরিকা ও চীন? চীন কিন্তু তলে তলে কলকাঠি নাড়ছে!

এটি ঠিক ১৯৭১ সালের রাশিয়া আর ২০২২ সালের পুটিনের রাশিয়া এক নয়। ১৯৭১ সালে ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন, এখন রাশিয়া? এই পঞ্চাশ বছরের ব্যবধানে রাশিয়ার মিডিয়া কখনোই স্বাধীন ছিলোনা। বরং রাশিয়ার মিডিয়া এরশাদ আমলের মত সর্বদাই ‘মিয়া-বিবি’র বক্স’ ছিলো? এবার পশ্চিমা মিডিয়া কার বক্স? বিশ্ববাসী এবার পশ্চিমা মিডিয়া’র চেহারাটাও দেখলো। উভয় পক্ষ এখন একে অপরকে ‘গুজবের বাক্স’ হিসাবে অভিহিত করছে। রাশিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে, কারারুদ্ধ বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি  বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। পশ্চিমা মিডিয়ায় সেটা বহুল প্রচার পেয়েছে, আসলে কি তাই? যুদ্ধের ডামাডোলে অনেক খবর আসছে, যা বিশ্বাসযোগ্য নয়, আল-জাজিরা এর ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছে। শুনলাম, বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুতে রাশিয়া দু:খ প্রকাশ করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এক ভদ্রলোক এ যুদ্ধকে বিবাহিত জীবনের সাথে তুলনা করেছেন এভাবে যে: ‘এক্ষেত্রে ইউক্রেন হচ্ছেন স্বামী, বউ রাশিয়া আর পরিবার হচ্ছে ‘ন্যাটো’! # [email protected];

 





সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন