কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

মন্ট্রিয়লে বিশ্ব নারী দিবস ও বসন্ত উৎসব

মন্ট্রিয়লে বিশ্ব নারী দিবস ও বসন্ত উৎসব

আবদুল হাসিব।। গত ৬ই মার্চ রবিবার, অপরাহ্ন মন্ট্রিয়লের ৬৭৬৭ কোড্ দ্যা নেইস মিলনায়তনের ৬০২ নম্বর কক্ষে ‘কোয়ারান্টাইন আড্ডা, মন্ট্রিয়ল’-এর কর্ণধার ইশরাত আলম  আহ্বানে মন্ট্রিয়ল শহরের মেধাবী এবং খ্যাতিমান প্রাণচঞ্চল কিছু কবি, ছড়াকার, সাহিত্যিক, কণ্ঠশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী,  নৃত্যশিল্পী ও সাহিত্য অনুরক্ত নিয়ে চমৎকারভাবে উদযাপিত হয়ে গেলো ১১১তম বিশ্ব নারী দিবস ও বাংলা ১৪২৮ বসন্ত উৎসব। অত্যন্ত সাজানো গোছানো উক্ত শুভানুষ্ঠানে আগত মহিলা অতিথিদেরকে একটি করে টাটকা লাল গোলাপ দিয়ে আয়োজকরা বরণ করে নেন। ইশরাত আলম-এর সূচনা বক্তব্যে ১৯০০সাল  থেকে আজকের ২০২২’এ নারী দিবসের ‘স্লোগান-ব্রেকিং দ্যা বায়াস এবং আনকন্সাস বায়াস, ইকুয়ালিটি, প্যারিটি, ট্রান্স জেন্ডার’ সহ প্রতিনিয়ত নারীরা যে বৈষম্যের শিকার হতে হন -সেই বিষয়ে জোড়ালো বক্তব্য   রাখেন। এবং ফাগুন রঙে রাঙিয়ে আসা সুধী সমাবেশের সকলকে বসন্তের উষ্ণতায় শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে নারীবাদী কবি -কবিতা সিনহ’র ‘ঈশ্বকে ইভ’ কবিতাটি আবৃত্তির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানটির কার্যক্রম  শুরু করেন।

ইশরাত আলম

উক্ত অনুষ্ঠানটির প্রথমার্ধে ছিল দৃষ্টিকাড়া রকমারি খাবারের আয়োজন। এবং ঐ খাবারগুলো অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারী মহিলারা যার যার বাড়ি থেকে নিজ হাতে তৈরী করে নিয়ে আসেন। খাবারের মধ্যে ছিল  সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মেড়া পিঠা, নুনের পিঠা, অন্যান্য জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে ছিল পোয়া পিঠা ঝাল ও মিষ্টি, মাংশের পুলি, সমসা, সিঙারা, ফুলঝুলি পিঠা, হালিম, চটপটি, নুডলস্, ছোলা ভোনা, ভেজিটেবুল রোল, কুচকুচ, চিকপি সালাদ, ছানার সন্দেশ, পাটিসাপটা, ইত্যাদি।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল, সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম’র নারীবাদী বিখ্যাত সেই গান ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা ….’ সমেবেত কণ্ঠে পরিবেশন করার ভেতর দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। সম্পর্ণ অনুষ্টানে বসন্ত ও নারী দিবসের মূল্যবোধের উপর রচিত নৃত্য, গান এবং ছড়া-কবিতা পরম্পরা ছিল। নৃত্যে ও সঙ্গীতে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরা হচ্ছেন, শ্রদ্ধেয় সঙ্গীত শিল্পী সফিউল ইসলাম, দেবপ্রিয়া কর রুমা, পাপু আহমেদ, মিলি ইসলাম, সাফিনা করিম ও মণিকা মুনা।

আবৃত্তিতে ছিলেন, তৌফিকুর মিয়া রাঙা, সেরাম রিপন, হামোম প্রমদ, আবদুল হাসিব, রাছনা ইরিন, মুফতি ফারুক, লাভনী, তুতন, শামিমা কামাল ও রাবেয়া হোসেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সাফিনা করিম। আপ্যায়নে ছিলেন লাভনী হোসেন। ক্যামেরায় ও শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন, আরিফ সিদ্দিকী এবং হল-এর সহযোগীতায় ছিলেন এজাজ আক্তার তৌফিক, ব্যানার মুফতি ফারুক এবং হুরপরী মেলা অনলাইন বোটিক-এর পক্ষ থেকে ছিল রাফেল ড্র-এর আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী।

উক্ত বিদসের আনুষ্টানিকতা বিকাল ৪:৩০মি: সময় যুগল কেক টাকার মধ্য দিয়ে শেষ করার পূর্বে উপস্থিত প্রবীণ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে ইশরাত আলম শুভানুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।





সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন