ফিচার্ড লেখালেখি

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রসঙ্গে

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রসঙ্গে 

বিদ্যুৎ ভৌমিক, ৪ এপ্রিল ।  বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সাড়া বিশ্বজুড়ে এখনও একটি বহুল আলোচিত  উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা ও  আলোচ্য বিষয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে ভয়ানক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। মাঝে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমলেও নতুন রূপ নিয়ে (Variants) আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে এই মহামারী ভাইরাস। আবারও তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এতে ফের নাকাল হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসী। অতীতে কোনও মহামারী ভাইরাস সারা বিশ্বের সকল দেশের ও অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এমন ভয়াবহ আশংকা ও উৎকন্ঠা ছড়ায়নি। মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরও নূতন রুপে আবির্ভূত হওয়া এবং নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারার জন্য কোনভাবেই যেন বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা।

এক বছর তিন সপ্তাহ পূর্বে ২০২০সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা  করুনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী (Global Pandemic) ঘোষনা করেছিলেন। গত বছরের ১১ই মার্চ  ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  ১১০ টি দেশের ১ লক্ষ ১৮ হাজার সংক্রমণের কঠিন পরিস্থিতিতে  করোনা ভাইরাস উদ্ভূত রোগ কোভিড-১৯ এর মহাপ্রাদূর্ভাবকে  গ্লোবাল প্যানডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাপরিচালক ডঃ তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস  সংক্রমণের ভয়াবহতা বিষয়ে সদস্য দেশগুলিকে সতর্ক করে দেন এবং এ মহামারী প্রতিরোধে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ও জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এক বছর পর ১১ই মার্চ  ২০২১ খ্রী: দূপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা  বেড়ে ১১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণার এক বছর পর ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে বিশ্বে  মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছিল ২৬ লাখ ৩৪ হাজারের অধিক মানুষ। একই সাথে সুখবর হল এই যে, বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছিল ৯  কোটি ৪৩ লক্ষ ২৪ হাজারের অধিক মানুষ।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ৩ এপ্রিল শনিবার  ২০২১ খ্রী: দূপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা  বেড়ে ১৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। । এখানে দেওয়া হল। করোনাভাইরাসে বিশ্বে বর্তমানে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাড়িয়েছে ২৮ লাখ ৫৫ হাজারের অধিক মানুষ। একই সাথে সুখবর হল এই যে, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০  কোটি ৫৫ লক্ষ  ৯৩ হাজারের অধিক মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ৩ এপ্রিল শনিবার  ২০২১ খ্রী: দূপুরে এ রিপোর্টে শনাক্তের দিক দিয়ে বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের তালিকার সাথে মৃত্যুর সংখ্যা ও সুস্হ্যতার তালিকা + কানাডা ও বাংলাদেশের  তালিকা এখানে দেওয়া হল। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ৩ এপ্রিল শনিবার  ২০২১ খ্রী: দূপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা হল যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৯ জন । বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই যুক্তরাষ্ট্রে। ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার ২৫৯ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৩৮লক্ষ ২৮ হাজার মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী ৩ এপ্রিল শনিবার  ২০২১ খ্রী: দূপুরের রিপোর্টে সনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার বৃহওম দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ জন,  মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে ২য় স্হানে থাকা ব্রাজিলে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৬ জন  এবং ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১২ লাখ  ৭৬ হাজার ৬২৮ জন। সনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যনত করোনায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। একই সাথে ভারতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৫ জন এবং ভারতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১০৭ জন। শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে বর্তমানে চতুর্থ স্হানে থাকা পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৭ লাখ  ৪১ হাজার ৭৫৯ জন। এ পর্যন্ত ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ হাজার ২৮০ জনের এবং ফ্রান্সে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৪ জন। বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়ে পঞ্চম অবস্থানে থাকা আয়তনে দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহওম দেশ রাশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৭২ হাজার  ৭৭ জন,  এ পর্যন্ত রাশিয়ায় মারা গেছেন ১০০ হাজার ১৭ জন এবং রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৯ জন। ষষ্ঠ স্থান যুক্তরাজ্যে ( বৃটেন ) শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯১ জন এবং যুক্তরাজ্যে মৃতের সংথ্যা বেড়ে  ১ লাখ ২৬ হাজার ৮২৬ জন  -এখানে উল্লেখযোগ্য যে, বৃটেন ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাধিক মৃত্যুর দেশ বর্তমানে এবং বৃটেনে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৫ জন। ৭ম  স্হান  ইতালিতে এ পর্যন্ত সনাক্ত হয়েছে ৩৬ লক্ষ ৫০ হাজার ২৪৭ জন মানুষ  , ইতালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার  ৭০৪  জন এবং ইতালিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৯ লাখ ৭৪ হাজারের অধিক মানুষ। ৮ম স্হান তুরস্ক। তুরস্কে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে  ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫২ জন,  তুরস্কে  এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৩২ হাজার ৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত  তুরস্কে সুস্থ হয়েছেন  ৩০ লক্ষ ৮২ হাজারের অধিক মানুষ। ৯ম  স্হান স্পেনে এ পর্যন্ত মোট সনাক্ত হয়েছে ৩২ লক্ষ ৯১ হাজারের অধিক মানুষ, স্পেনে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৫৪১ এবং স্পেনে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৫ জন। । শনাক্তের দিক থেকে ১০ম  স্হান   ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে  এ পর্যন্ত  শনাক্ত হয়েছে ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ জন,  জার্মানিতে মৃতের সংথ্যা দাড়িয়েছে ৭৩ হাজার ২৭৬ জন  এবং জার্মানিতে সুস্থ হয়েছেন ২৩ লক্ষ  ৩৭ হাজারের অধিক মানুষ। বিশ্বে সনাক্তের দিক দিয়ে ২৩তম  স্থানে থাকা আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ২য় বৃহওম দেশ ক্যানাডায় ৩ এপ্রিল শনিবার  ২০২১ খ্রী: দূপুরের রিপোর্টে করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৭০২ জন। এ পর্যন্ত ক্যানাডায় মারা গেছেন ২৩ হাজার ৪৭ জন এবং এ পর্যন্ত কানাডায় সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১৬৬ জন। বিশ্বে সনাক্তের দিক দিয়া ৩৩তম স্থানে থাকা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় সনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মারা গেছেন ৯ হাজার ২১৩ জন এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন।

২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বে কিভাবে উৎপওি হয়েছে চীন থেকে তার আরও বিস্তারিত ভাবে চীনে গিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্হা World Health Organization, U.N.O, UN Human Rights Commission তদন্ত করে আসল সত্যিটা বের করা উচিত হবে বিশ্বে শান্তি, বিশ্বে স্হিতিশীলতা, বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্হা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নতির বৃহওম স্বার্থে। করোনা ভাইরাসের উৎপওি চীনের উহান থেকে এবং এর দ্রূত সংক্রমণ নিজ দেশে ও অন্যন্য দেশে ভয়াবহ সংক্রমণ দ্রূত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চীন অনেক কিছুই গোপন করেছে অতীতে ও  বর্তমানে করছে তা নিয়েও সঠিক তদন্ত হওয়া আবশ্যক।

অনেক অনেক হতাশার মধ্যেও আশার আলো এই যে. অনেক অনেক প্রতিক্ষার পর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদভাবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনার ভ্যাকসিন  দেওয়া  শুরু হয়েছে কানাডা, আমেরিকা, ইউরোীয়ান ইউনিয়ন,  মধ্যপ্রাচ্য সহ, জাপান, কোরিয়া সহ কয়েকটি দেশে ডিসেম্বর মাস থেকেই। বৃটেনে তৈরী Oxford and এট্রোজেনেকা, ভারতের তৈরী কোভে্কসিন দেওয়া শুরু হয়েছে আরো অনেক  অনেক দেশে জানুয়ারী মাসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি এবং মানবদেহে প্রয়োগের এমন নজির আর নেই। রাশিয়ায় তৈরী স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিন ও চীনে তৈরী সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাগ ভ্যাকসিনও নিজ নিজ দেশে ও অন্যান্য দেশে দেওয়া শুরু করেছে। কানাডা এ পর্যন্ত  ৬ মিলিয়ন Vaccine Dose মানবদেহে প্রয়োগ করেছে। । কানাডা ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনার সাথে Vaccine প্রাপ্তির প্রথমে চুক্তি করেছিল। তারপর Oxford and এট্রোজেনেকা ও জনসন & জনসনের সাথে চুক্তি করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নূতন গতিশীল প্রেসিডেনট জো বাইডেন করোনা মোকাবেলায় জরুরী অবস্হা ঘোষনা করে যা বলেছিলেন,গত ২০ জানুয়ারী জো বাইডেন  ক্ষমতাসীন হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে আমেরিকায় ১০০ মিলিয়ন Vaccine Doses  মানব দেহে  প্রয়োগের সিদ্ধান্ত সাফল্যের সাথে কার্যকরী করেছেন।এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১৫ কোটি ৭৬ লাখের অধিক ভ্যাকসিন ডোজ মানবদেহে প্রয়োগ করেছেন।

এদিকে করোনার Vaccine nationalisation বিরুদ্ধে World Health Organization বারংবার সমতার ভিওিতে Vaccine distributionএর জন্য সাবধান বানী উচ্চারণ করছেন। World Health Organizationএর উদ্দেশ্য হল মানবিক, সমতা ও মহৎ, তা হল World Health Organization চায়,  ধনী ও দরিদ্র দেশ নির্বিশেষে Vaccine পাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বের সকল দেশেরই সমান সূযোগ থাকা উচিত হবে।

এখন পর্যন্ত কয়েকটি আস্হা অর্জনকারী এবং successful vaccine হল যেমন ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনা ও Oxford ও এট্রোজেনেকা কর্তৃক তৈরী Vaccineগুলো। উল্লেখিত  Vaccineগুলোর বিশ্বব্যাপী সীমাহীন  চাহিদার জন্যই কোটি কোটি ডোজ Vaccine প্রস্তুত করে দ্রূত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারছেনা এবং বিলম্বিত হচ্ছে।  ভারত গত ১৬ জানুয়ারী শনিবার থেকে তার স্বাস্থ্য কর্মীদের তার নিজস্ব তৈরী successful Vaccine কোভ্যাকসিন ও Oxford and এট্রোজেনেকা দেওয়া শুরু করেছে যা সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি। ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ এবং ভারতের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে ৩০ কোটি লোককে শট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২৭ জানুয়ারী বুধবার বিকেল বাংলাদেশে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রুনুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছিল বাংলাদেশের করোনার টিকাদান কর্মসূচি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার মোট ১ কোটি ৫০ লাখ (৮.৬৮ %) লোককে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারে কানাডা ও ইউরোপের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছে।

ভয় নয়, সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ। আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাইরে চলাফেরার সময় আমরা প্রতিটি ব্যক্তি যদি মুখে মাস্ক ব্যবহার করি ও সাবান, পানি বা Hand sanitizer দিয়ে বারবার হাত ধোওয়ার চর্চা আয়ত্ত করি, আর যদি  ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারি তাহলে, করোনার ঝুঁকি দ্রুত কমানো সম্ভব হবে। সবাই সুস্হ থাকুন, ভাল থাকুন ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলুন। এখন মানুষের হৃদয়ের একমাএ প্রত্যাশা ও দাবী, কত তাড়াতাড়ি মানুষের জীবনে  স্বস্তি ফিরে আসবে, জীবন স্বাভাবিক হবে, আরও প্রত্যাশা কত তাড়াতাড়ি মানুষ করোনার Vaccine নিতে পারবে এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব মানুষ কিন্তু উন্নতি ও এগিয়ে চলার সপ্ন ও আশা দিয়েই মানুষবেঁচে থাকে । ২০২১ সাল বিশ্ব করোনামুক্ত হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা গতিশীল হবে এবং দিকে দিকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে- এ প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করছি সর্বান্তকরণে।

তথ্য: ওয়ার্ল্ডোমিটার (Worldometer)ও অন্যান্য সংবাদপএ
সাবেক অধ্যাপক, লেখক ও সিবিএনএ’র উপদেষ্টা, ৩ এপ্রিল ২০২১ খ্রী:

সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান
সংবাদটি শেয়ার করুন