দেশের সংবাদ

কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

 

অর্থনীতি সচল রাখা ও রমজানের কারণে জেলা ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প ও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ছুটি ১৫ই মে পর্যরাত বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা যেন সুরক্ষিত থাকে, মানুষকে একেবারে ঘরে বন্দি না করে সীমিত অবস্থায় জরুরি কিছু কিছু কাজ চলতে হবে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। ঈদের আগে যদিও বড় জমায়েত করা যাবে না। সবাইকে যার যার মতো দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাবে দেশের মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি আমাদের লক্ষ্য। বিশ্ব সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিয়োগ হয়েছে। করোনার সময়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

‘করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে’

করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে এবং সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আছেন। মরহুম সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আজ সকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করা হয়। শুরুতেই সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেছেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম এবং এর সুফলও দেশবাসী পাচ্ছিল কিন্তু ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি এটার প্রভাব পড়বে আগামীতেও। আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পরিস্থিতিকে মহামারি ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছিলাম জাতি এর সুফল পেতে শুরু করেছিল হঠাৎ করে আঘাত আসলো। এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে যেহেতু এটা এসেছে স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা ধনী তাদের অগাধ সম্পদ, অনেকের অত্যধিক অস্ত্রশস্ত্র। সেই শক্তি সবই যেন দেখা গেছে ব্যর্থ। একটা অদৃশ্য শক্তি করোনা ভাইরাস। সর্বশক্তিমান আল্লাহ কী খেলা দেখাচ্ছেন যার ফলে ধন-সম্পদ অর্থ কোনো কাজে লাগছে না। ধনী-দরিদ্র সবাই যেন একাকার হয়ে গেছে। এই অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের দেশবাসীকে সুরক্ষিত করা, মানুষের সুরক্ষিত নিশ্চিত করা এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ধীরে ধীরে শিল্প-কারখানা খুলে দিচ্ছি। সেখানে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে মেনে চলবেন।

মুখে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্ক সবসময় ব্যবহার করা একান্তভাবেই জরুরি।

কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বেপারে তিনি বলেন, রমজান মাসে যেন লোকজন চলতে পারে সেজন্য দোকানপাট খোলা রোজার সময়, ইফতারের দোকান যাতে চলতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রেখে চালু রাখার জন্য বলেছি। জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্প রয়েছে সেগুলো চালুর নির্দেশনা দিয়েছে। মানুষকে সুরক্ষিত রেখে আমাদের অর্থনীতি যাতে গতিশীল থাকে সেভাবে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

সূত্রঃ মানবজমিন

 

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন