মত-মতান্তর

প্রবাসে মে দিবস

 

কানাডায় একজন নির্মাণ শ্রমিক বা পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাসিক বেতন এখানকার নুন্যতম মজুরীর দ্বিগুণের চেয়েও বেশি অর্থাৎ গড়ে মাসে প্রায় ৪ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াইলাখ টাকা । যেখানে বিশ্বখ্যাত কোম্পানি যেমন ওয়ালমারট , ম্যাগদোনাল্ড , কে এফ সি ,পিজ্জাহাট এখনো নুন্যতম বেতন প্রদান করে থাকে , এবং এখানে প্রতি কর্ম ঘণ্টা হিসাব করে বেতন দেয়া হয়। কিন্তু কানাডার নির্মাণ শ্রমিকদের বেশিরভাগই রাশিয়ান বা দক্ষিণ অ্যামেরিকান এরা শারীরিক দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে অনেক বড় এবং বেশি পরিশ্রমী , সরকারও কেবল সেদেশ গুলো থেকেই নির্মাণ শ্রমিক আমদানি করে থাকে ,যেখানে ভারত বা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক হিসাবে আসার জন্য আবেদন করার সুযোগই নাই , যদিও বাংলাদেশে অনেক ভুয়া এজেন্সি অনেক মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে থাকে । কানাডায় এশিয়ানরা সাধারণত বেশি পরিশ্রমের কাজগুলো করে না বা করতে পারে না ।

যখন ভাবি একজন বাংলাদেশি শ্রমিক সিঙ্গাপুর বা মালয়শিয়াতে অথবা মধ্যপ্রাচ্যে একই কাজ করে বড়জোর বাংলাদেশি টাকায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করে , তখন আমার খুব খারাপ লাগে। আমি ভাবি , আমি যদি একজন কানাডিয়ান আদম বেপারী হয়ে বাংলাদেশ থেকে লোক আমদানি করতে পারতাম তাহলে নিজে অনেক বড়লোক হতে পারতাম ,সাথে অন্যদের ভাগ্যের চাকাও পরিবর্তন করতে পারতাম ! কিন্তু বাস্তবে এটা এখানে সম্ভব না , তাই অনেক সময় বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনরা ভুল বুঝে থাকে ।এখানে একজন নির্মাণ শ্রমিকের বাসায় দামি কম্পিউটার ,ল্যাপটপ , স্মার্ট ফোন , স্মার্ট টিভি থেকে শুরু করে নিজস্ব গাড়ি দামি আসবাবপত্র সবই আছে । আজকের এই মহান মে দিবসে সারা দুনিয়ার মজদুর ভাইদের প্রতি ,আমি এই অধম মজুরের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।বাস্তবে কিন্তু আমরা যারা চাকুরি করি তারা সবাই মজুর ,কারন অর্থের বিনিময়ে অন্যের অধীনে করা মানেই মজুরি , কেউ হয়ত একটু বড় পদে কেউ ছোট পদে , এখানে ভাব নেবার কিচ্ছু নাই । উল্লেখ্য ,মে দিবসের সূচনা যেখানে হয়েছিল অর্থাৎ উত্তর আমেরিকায় কিন্তু মে দিবসকে কালো দিবস বলে আজকে পালন করা হয় না।

-সন্তোষ মল্লিক, লেখক, টরন্টো

 

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন