সাইফুজ্জামান শেখ -এর ফেসবুকের পাতা থেকে
বাঙ্গালী জাতির ভিতরে একটা নষ্ট গোষ্ঠী আছে, সেই নষ্ট গোষ্ঠীর নষ্টামির জন্যই আজ এই পোস্ট। আমি সাধারণতঃ সপ্তাহে ২/৩টির বেশি পোষ্ট দেই না কারন আমি চাই, আমার পোষ্টের সব বন্ধুদের কমেন্টের উত্তর দিতে । যাই হোক, যা বলছিলাম, ঐ নষ্ট গোষ্ঠী ১৯৭১ সালে সৃস্টি, যারা দেশের স্বাধীনতায় সরাসরি অস্ত্র হাতে বাঙ্গালি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।
পাকিস্তানের জাতির পিতা হিসাবে জিন্নাহকে সবাই মানে কিন্তু শেখ মুজিবের বেলায় নষ্টরা ধর্ম টেনে আনে, পাকিস্তানের রুপিতে জিন্নাহর ছবি থাকলে অসুবিধা হয় না কিন্তু বাংলার টাকায় মুজিবের ছবি থাকলে নষ্টরা নানাভাবে জাতির পিতাকে অসম্মান করতে দ্বিধা করে না। ‘৭৫ সালের পর এই নষ্টরা বাঙ্গালি জাতিসত্তা, দেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ঘোষনা এমন কি মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যাকে বিতর্কিত করেছে। এরা এতটাই নিকৃষ্ট যে করোনা ভাইরাসে দেশের মানুষ যখন ভীত-আতঙ্কিত, ঠিক তখন টাকার গায়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে মাস্ক পরিয়ে অসম্মান করতেও এদের বিবেকে বাঁধে না। চিন্তা করা যায় এই গোষ্ঠীটা কতটা নোংরা?
যার ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের সংগ্রামে বাঙ্গালি জাতী স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, তাঁর ২৫ শে মার্চের পাকিস্তানী সৈন্যের কাছে আত্মসমর্পণ নিয়েও বিতর্ক ছড়ায়। অথচ বঙ্গবন্ধু ছিল দূরদর্শি ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পারদর্শি এক রাজনীতিবিধ। এই নষ্টাদের বলি, সক্রেটিসকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়লে তখন তাঁর শিষ্যরা সক্রেটিসকে পালিয়া যেতে সুযোগ করে দেয় কিন্তু সক্রেটিস পালিয়ে যাননি। প্লেটো সক্রেটিসের পালিয়ে না যাবার কারন সম্পর্কে বলেছিলেন, “ সক্রেটিস মূলতঃ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে চাননি। রাষ্ট্র ভুল করলেও তা যে গুরুত্বপূর্ণ, সাধারণের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য তা বোঝাতে তিনি মৃত্যু মেনে নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের আইনকে অস্বীকার করলে রাষ্ট্র অবান্তর হয়ে ওঠে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অবান্তর প্রমাণ করতে তিনি চাননি। ভুল রায় জেনেও তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুকেই বেছে নিয়েছিলেন এবং তিনি এও বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্র তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুকে অন্ততঃ একদিন বুঝতে পারবে। এই জন্যই তিনি বলেছিলেন, `আই হ্যাভ টু ডাই, উই হ্যাল টু লিভ, হুইচ ইজ বেটার অনলি গড নোজ।’ফলে আত্মদানের ভেতর দিয়ে রাষ্ট্রকে তিনি বাঁচিয়ে গিয়েছিলেন।”
বঙ্গবন্ধুও সক্রেটিসের মত নিজের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও বাঙ্গালিদের বাঁচাতে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা দিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছেন, ” আমি যদি পালিয়ে যায় বাঙ্গালি জাতির মধ্যে আর কোন সাহসী সন্তান জন্ম নিবে না।” বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা বিশ্বের ঐ মহামানবেদের মতই, সুতারং ঐ নষ্টরা তাঁর কৃতিত্ব ও মহত্বকে বুঝবে কি করে? যেমন করে সহস্র বছর পরে আদালতে সক্রেটিসকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে, তেমনি করে সহস্র বছর পরেও জাতির পিতা হিসাবে শেখ মুজিবের মহত্ব ও কৃতিত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে কিন্তু তখন ঐ নষ্টরা কোথায় থাকবে?
–সাইফুজ্জামান শেখ-এর ফেসবুকের পাতা থেকে ।।
সিঅ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন