ফিচার্ড মত-মতান্তর

মন্ত্রী বলে কথা! 

বাংলাদেশের-ভবিষ্যৎ-কি

মন্ত্রী বলে কথা!  

শিতাংশু গুহ, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, নিউইয়র্ক।। শর্ষীনার পীর স্বীকৃত রাজাকার, তাঁর মুরীদ মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ, ম, রেজাউল করিম হিন্দুদের দেশপ্রেমের ছবক দিয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউন ১০ই ডিসেম্বর ২০২১ এ মর্মে একটি সংবাদ ছেপেছে। রিপোর্টের হেডিং, ‘’নিজেদের বংলাদেশের নাগরিক ভাবতে হবে: সংখ্যালঘুদের প্রতি প্রাণিসম্পদমন্ত্রী’। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে মন্ত্রী বলেছেন, ‘নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক ভাবতে হৰে’। তিনি আরো বলেছেন, ‘দেশের নাগরিক হিসাবে আপনাদের দৃঢ়চেতা মানসিকতা রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যে কাজ করতে হবে, ভয়শূন্য চেতনার জন্যে কাজ করতে হবে। মন্ত্রীর ওয়েবসাইটে ঢুকে আমি মন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছি, তাঁকে বলেছি, ‘আপনার কাছে হিন্দুদের দেশপ্রেম শিখতে হবেনা’।

আজকাল আমাদের দেশের মন্ত্রীরা কত কথাই না বলেন, এনিয়ে কে মাথা ঘামায়! একজন প্রতিমন্ত্রী সদ্য এক নায়িকাকে ‘কুকথা’ বলে সরকারের দয়ায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, কোথাও ঠাঁই না পেয়ে আবার দেশে ফিরেছেন। কিন্তু রাজাকার যখন মুক্তিযোদ্ধাকে দেশপ্রেম শেখায়, তখন তা এড়িয়ে যাওয়া যায়না। মন্ত্রী পরিবারে কতজন রাজাকার ছিলেন বা এখনো আছেন, তা তিনি নিজেই ভালো জানেন, তবে মন্ত্রী হয়ে তাঁরা ভুলে যান যে, মুক্তিযুদ্ধকালে পুরো হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন রাজাকার ছিলেন না? যেই দেশের তিনি মন্ত্রী সেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছিলো, সিনেটর রবার্ট কেনেডীর রিপোর্ট বলছে,  ক্ষতিগ্রস্থদের আশি শতাংশ হিন্দু। এক কোটি হিন্দু দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলো, মন্ত্রী এতসব এতথ্য জানেন বা মানেন কিনা কেজানে?

বেশিদিনের কথা নয়, ‘মৎস ও পশু–মন্ত্রণালয়’-র নাম পাল্টে ‘মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়’ হয়েছে; অল্পের জন্যে আমরা মন্ত্রীকে আদর করে ‘পশুমন্ত্রী’ বলতে পারলাম না? রাজাকারের সাথে যার শান্তিপূর্ণ সহবস্থান, সেই মন্ত্রীর কাছে হিন্দুদের দেশপ্রেম শিখতে হবে? জন্মগত ও ধর্মীয়ভাবে হিন্দুরা দেশপ্রেমিক। ‘জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপী গরিয়সী’ এটি মন্ত্রীর জন্যে প্রযোজ্য না হলেও হিন্দুরা তা মানে। হিন্দুরা ভূমিপুত্র, আরব দেশ থেকে মুসাফির হয়ে এদেশে আসেনি? যতকাল এ অঞ্চলে মনুষ্য বসবাস ততকাল হিন্দুরা এই মাটির সন্তান। হিন্দু একটি সভ্য জাতি; বাঙ্গালী সংস্কৃতির ধারক-বাহক। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও হিন্দু বাঙ্গালীর অবদান অবিস্মরণীয়।

দেশে কিছু নেতা ও মন্ত্রী নিজেকে ‘আমি কি হনুরে’ ভাবেন; প্রায়শ: হাস্যকর কথাবার্তা বলেন, ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল’ ভাব ধরেন এবং হটাৎ ‘ধপাস’ করে ভূতলে পতিত হন? তাঁরা ভুলে যান, ‘ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ বলে কিছু নেই? মন্ত্রী রেজাউল করিম ‘বিনে পয়সায়’ হিন্দুদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন? অথচ তাঁর এলাকায় এক হিন্দু সচিবের সম্পত্তি দখল ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে তাঁর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ হোয়াইট হাউস পর্যন্ত পৌঁছেছে? এই মন্ত্রীর সাথে জামাতের সখ্যতার অভিযোগ আছে, সদ্য যুক্তরাষ্ট্র ৱ্যাব ও পুলিশের ৭জন কর্মকতার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এর পেছনে জামাতের অর্থ ও লবিং কাজ করেছে। বাইডেনের ডেমোক্রেসি সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত না হওয়ার পেছনেও জামাত। মন্ত্রীর উচিত হিন্দুদের উপদেশ না দিয়ে আত্মীয়-জামাতকে উপদেশ দেয়া! [email protected];

 





সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন