দেশের সংবাদ

ময়মনসিংহে চায়ের দোকানের আড্ডায় ধাওয়া

ময়মনসিংহে

 

ময়মনসিংহে চায়ের দোকানের আড্ডায় ধাওয়া!

ময়মনসিংহে ভালুকা শহরে গতকাল বুধবার রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে  চায়ের দোকান গুলোতে আড্ডা চলছিল। ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমেন শর্মার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

 

গতকাল রাত আটটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ভালুকা পৌর সদরের মেজর বিটা এলাকা, উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, শাপলা সিনেমা হল মোড়, স্মৃতিসৌধ চত্বর, বাসস্ট্যান্ড চত্বর, পাঁচ রাস্তার মোড়, পাইলট স্কুল মোড় এলাকায় অভিযান চালায়।

 

ম্যাজিস্ট্রেট রোমেন শর্মা বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাতেও যাতে মানুষ রাস্তার মোড়ে চায়ের স্টলে আড্ডা, অযথা ঘোরাঘুরি করতে না পারে সে জন্য তাঁদের বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

গাইবান্ধায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর

gaibandha

গাইবান্ধায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা ১০৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ জনকে শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয়ভাবে ১৬ জনকে শনাক্ত করে। তবে ১০৫ জনের মধ্যে কতজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা জানায়নি আইইডিসিআর।

 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ বলেন, অল্প কয়েকজনের রক্ত ও কফ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তা কত, সেটা বলা যাচ্ছে না। আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার রাতে এসব নমুনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাইবান্ধায় করোনাভাইরাসে আরও আক্রান্ত আছেন কি না, তা জানা যাবে।

 

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২। তাঁরা ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের গাইবান্ধায় আসেন। ১৫ মার্চ গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রবাসী মা ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে আইইডিসিআর জানায়, তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সেই থেকে তাঁরা গাইবান্ধা শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় আছেন।

 

কুষ্টিয়ায় শিশু আইসোলেশনে, বাবা সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। ওই শিশুর বয়স মাত্র ৭ মাস। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

তাপস কুমার বলেন, ২৩ মার্চ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় তার জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ছিল। ওই দিনই পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের কেউ বিদেশে থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে কেউ যাননি। ওই শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আজ বৃহস্পতিবার অবনতির দিকে যায়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করবে।

 

বরিশালে করোনা সন্দেহে দুই নারী আইসোলেশনে

করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আরও দুই রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হলো।

জানা যায়, কাশি ও জ্বর নিয়ে বরিশাল সদর উপজেলার এক নারী (২৬) এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার অপর এক নারী (৪৫) গতকাল বুধবার বিকেলে এই হাসপাতালে আসেন। পরে তাঁদের মধ্যে করোনার লক্ষণ সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁদের দুজনকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করেন। সেখানে তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ভর্তি হন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার এক তরুণ (২৫)। তিনিও বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন।

 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ নিয়ে এই হাসপাতালে সাতজন রোগী করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি হন। এঁদের মধ্যে দুজনের পরীক্ষায় করোনা–সংক্রমণের প্রমাণ না মেলায় চিকিৎসা শেষে তাঁরা ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। এখনো পাঁচজন আইসোলেশনে আছেন।

 

বাঅ/এমএ



 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =