সোশ্যাল মিডিয়া

যুগে যুগে বিভিন্ন আদর্শে  রাজনীতির মোড়কে ধর্ষণের রাজনীতি 

বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাবস্থায় হাজার হাজার নারী ধর্ষিত প্রতিক

যুগে যুগে বিভিন্ন আদর্শে  রাজনীতির মোড়কে ধর্ষণের রাজনীতি

ধর্ষণ নিয়ে যেখানে সবাই সোচ্চার হওয়ার কথা সেখানে তা না করে আমাদের দেশে তা নিয়ে রীতিমত চলে রাজনীতি; এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। তাও তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের ধর্ষকরাই আজ সাধুব্যক্তি, তারাই রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে। কিন্তু তাদের সেই জঘন্য বর্বরোচিত কর্মকান্ডের কথা মানুষের অন্তরে গেঁথে আছে। তারা যে গণহারে সংখ্যালঘু কিশোরী নারীদের ধর্ষণ করেছে, সেটা তারা হয়তো ভুলে গেছে,আমরা ভুলিনি। তারাই এখন ধোয়া তুলসীপাতা জগতের সেরা ব্যক্তি।
বর্তমান সরকারের আমলে ধর্ষণ নিয়ে সরকার বিরোধীদের মনোভাব দেখলে মনে হয় সবাই সাধু সাবিত্রী। ধর্ষণ কম বেশী সব সরকারের আমলে সংগঠিত হয়েছে, তবে এর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন সরকার কতটুকু সোচ্চার হয়েছে সেটাই ভাবতে হবে। তাই বিগত দিনের কিছু ধর্ষণের চিত্র তুলে ধরলাম।
প্রথম ছবিতে এই সেই পুর্ণিমা রাণী শীল, নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের পালিত ২২ ক্যারটের ২০/১২ সোনার টুকরার গণ ধর্ষনের শিকার হওয়া এই সেই শিশু পুর্ণিমা রাণী শীল।
সেইদিনের বীভৎস মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে পূর্ণিমার মা বারবার ঠুকরে ঠুকরে কেঁদে উঠেন,তিনি বললেন, সেইদিন নরপিশাচ হায়েনা-দুর্বৃত্তদের হাত থেকে শত চেষ্টা করেও নিজের শিশু কন্যাকে রক্ষা করতে পারেনি। সেদিন ধর্ষকদের একসাথে আক্রমণ দেখে পরিশেষে পূর্ণিমার মা বাধ্য হয়ে বলেছিলেন “বাবারা,মেয়েটা আমার একদম ছোট, তোমরা সবাই একসাথে ধর্ষণ করলে ও মারা যাবে বরং একজন একজন করে আসো! “কি করুণ আর্তানাদ ছিল মায়ের এই কথাগুলোতে?কতটা অমানবিক পৈশাচিক বর্বরোচিত ঘটনা, তাও তাদের উল্লাস তারা অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলছে। ছিঃ তোরা যে নরকের কীট এই কথাটা আবারও মনে করিয়ে দিলাম।
দ্বিতীয় ছবি ২০০২ সালের ২২ শে মার্চের কথা! কুমিল্লার বড়ুরায় এই মেয়েটিকে সারারাত ধর্ষণ করে গাছের সাথে ঠিক এই ভাবে বেঁধে রেখেছিল ধর্ষকরা। ২০০৩ সালে তৎকালীন ঝালকাঠির বিএনপি নেতা হুমায়ুন কমিশনারের নামে পর পর তিনটি ধর্ষন মামলা হয়েছিল,সিমা-কলি-রেশমা ধর্ষণ মামলা। মামলায় ধর্ষকরা গ্রেফতার হওয়া তো দুরের কথা বরং সে-সব মামলার আসামীরা দিনেদুপুরে সীনা টান করে সকলের নাকের ডগায় চলাফেরা করতো। পরবর্তী ইতিহাস সবারই জানা।
তৃতীয় ছবিটিতে আছে, ছবি রাণী বিশ্বাস, আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন। বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। ২০০২ সালের ২১ শে অগাস্ট তৎকালীন ক্ষমতাসীন ক্যাডাররা ছবি রানীকে বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে কাপড় খুলে ফেলে এরপর তাকে বি এন পি অফিসে নিয়ে গিয়ে গণহারে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণেও ওইসব হায়েনা বর্বর,নরপিচাশ দের মন ভরেনি। তাই ছবি রানীর যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়া, বালি আর কাচের গুড়া ঢুকিয়ে দেয়। কী অমানবিকতা। ছবি রানী যখন ধর্ষিত হচ্ছিল তখন পাশের দোকানে আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা বিড়ি ফুঁকছিল। তার চিৎকারে সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, পুলিশ ও সেদিন এই চিৎকারকে সিৎকার ভেবে কিছু বিনোদন পাচ্ছিলো! ; একটিবার ফিরেও তাকায়নি। ভেবে দেখুন প্রশাসনের লোক হয়েও আইনের প্রতি কতটা অশ্রদ্ধাশীল কর্তব্যহীন ছিল।তআরাই আবার আইনের প্রতি কটক্ষ করে কথা বলে!
ববর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন,এখন ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে,কখনো ক্রসফায়ার দেয়া হচ্ছে, আইনিপদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত রায় ঘোষণা সহ সব হচ্ছে। তাও একটা গোষ্ঠী ঢাবির ছাত্রী ফাতেমাকে নুরুল হক নুরুর সহযোগির ধর্ষন নিয়ে সন্দিহান এটাই বুঝি রাজনৈতিক ভাবে হয়রাণী? কি তাজ্জব ব্যাপার এটাই বুঝি সাইন্স আর লজিক?
আরে ভাই, লাফালাফি করার আগে নিজেদের শরীরের গন্ধ কতখানি তা দেখে নেন, তারপর অপরের শরীরের গন্ধ নিয়ে লাফালাফি কইরেন না, অপরের দিকে তীর ছুঁড়ে মাইরেন না!

#Snigdha Sheikh এর ফেসবুক থেকে

 

 

⇒এসএস/সিএ

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন